ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইল ও না’গঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৩০

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৫ মে ২০১৫

টাঙ্গাইল ও না’গঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৩০

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৪ মে ॥ দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য খন্দকার আব্দুল বাতেন লাঞ্ছিত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেলদুয়ার থানা পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, দেলদুয়ার উপজেলায় আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি দুইটি কমিটি থাকায় এবং সংঘর্ষ এড়াতে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রবিবার রাতেই দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় সংসদ সদস্য খন্দকার আব্দুল বাতেন ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা সোমবার সকালে সম্মেলনস্থলে এসে উপস্থিত হন। এদিকে আওয়ামী লীগের অপর গ্রুপ দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার ফজলুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মল্লিকের নেতৃত্বে বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরাও সম্মেলনস্থলে এসে উপস্থিত হন। এ সময় মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলমগীর খান মেনু কেন্দ্রীয় নির্দেশে সম্মেলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। এর কিছুক্ষণ পরই সংসদ সদস্য খন্দকার আব্দুল বাতেন সমর্থিত গ্রুপের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা দুইটি গাড়ি ভাংচুর করে। উভয় গ্রুপের কর্মী-সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরিফুল ঘটনাস্থলে আসেন। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলমগীর খান মেনু, দফতর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হুদা নবীন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শামছুজ্জামান পাশা, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক, আবুল কালাম মঈন সিদ্দিকী, দেলদুয়ার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতোয়ার রহমান ইকবাল, ছাত্রলীগ নেতা সুমন, আওয়ামী লীগ নেতা সহিদসহ অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দফতর সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং সহিদকে দেলদুয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আড়াইহাজারে সংঘর্ষ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। ঘটনার সময় উভয় পক্ষের বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কুরুচিপূর্ণ ছবি নিয়ে ওই এলাকার দুই যুবকের দ্বন্দ্বের রেশ ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহতদের মধ্যে মজিবুর মেম্বারকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতরা হলো- কাউসার (১২), কুরবান (২০), সোহরাব (১৫), আজিজুল (১৬), মোক্তার (২৮), জিকু (২২), সুমন (২৫), পনির (৪২), সুমি বেগম (৪৪), জায়েদা (৩৫)। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি মোঃ আলমগীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম (ইবু)-এর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় তার ভাতিজা আরমান বাদী হয়ে ওয়াদুদ চেয়ারম্যান গ্রুপের ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।
×