ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা;###;অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ॥ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

কারাবন্দী বিএনপি নেতা পিন্টু হৃদরোগে মারা গেছেন

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৪ মে ২০১৫

কারাবন্দী বিএনপি নেতা পিন্টু হৃদরোগে মারা গেছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিডিআর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। রবিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর। বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নামাজে জানাজা শেষে পিন্টুর মরদেহ আজ সোমবার আজিমপুর কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। বিএনপি আজ দলের সকল কার্যালয়ে কালোপতাকা উত্তোলন করে শোক প্রকাশ করবে। এদিকে পিন্টুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। অপর দিকে পিন্টুকে মেরে ফেলার অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর পিন্টুর চিকিৎসায় আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়নি বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করেছেন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি আরও অভিযোগ করেন কারাকর্তৃপক্ষের অবহেলায় পিন্টুর মৃত্যু হয়েছে। নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ২০ দলীয় জোটের বিভিন্ন শরিক দলের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। রাজশাহী কারাগারে বন্দী থাকা নাসির উদ্দিন পিন্টু রবিবার হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাকে দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জরুরী বিভাগ থেকে তাকে হৃদরোগ বিভাগে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়টি রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দীন সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হাসপাতালে নেয়ার সময় পথেই নাসির উদ্দিন পিন্টুর মৃত্যু হয়। এরপরও হাসপাতালে আনার পর জরুরী বিভাগ থেকে তাকে হৃদরোগ বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ২০ এপ্রিল তাকে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শাহাদাৎ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে ওই কারাগারে নেয়ার পর তাকে ৫নং সেলে রাখা হয়েছিল। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পর সুস্থ বোধ করলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই দিনই তাকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। এর পর থেকে তিনি সুস্থ থাকলেও রবিবার দুপুরের দিকে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিআইজি (প্রিজন) বজলুর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। মৃত্যুর পর তার পরিবারের কাছে খবর দেয়া হয়। হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পিন্টুর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডাঃ রইস উদ্দিন জানান, কারাবন্দী নাসিরুদ্দিন পিন্টু হার্ট, কিডনী, ডায়াবেটিস, ব্লাডপ্রেসারসহ চোখ ও বুকের সমস্যায় ভুগছিলেন। ছাত্রদলের সভাপতি থাকা অবস্থায় বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকা-৮ (লালবাগ-কামরাঙ্গীরচর) এলাকা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। এর আগে যে কমিটিতে ঢাকা মহানগর বিএনপির বর্তমান সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন সে কমিটিতে পিন্টু ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পাঁচবছরে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ নানা ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বহুবার নাম আসায় পত্রিকার শিরোনাম হয়েছেন পিন্টু। এরকম একটি ঘটনায় নিজের দল সরকারে থাকা অবস্থাতেই তাকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। তখন তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য ও ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের পর আবার গ্রেফতার হন পিন্টু। ২০০৮ সালে কারাগারে একজন ডেপুটি জেলারকে পিটিয়ে আহত করেন এই বিএনপি নেতা। ত্রাণের টিন আত্মসাতের একটি মামলার শুনানি চলাকালে গতবছর ঢাকার একটি আদালতে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘মালাউন’ গালি দিয়ে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন তিনি। নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর জন্ম ১৯৬৭ সালে। তার বাবা মরহুম নিজাম উদ্দিন পুরনো ঢাকায় সমাজসেবক ছিলেন। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে পিন্টু ছিলেন সবার বড়। পিন্টু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন। পিন্টু বিয়ে করেছেন ঢাকার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ছাত্রদল নেতা ছাইদুর রহমান নিউটনের বোন নাসিমা আক্তার কল্পনাকে। তাদের বড় ছেলে শাহরিয়া আহমেদ রাতুল কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। আর ছোট ছেলে নাহান আহমেদ স্কলাস্টিকা অধ্যায়ন করে। উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে কারাগারে থেকেই নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের পর গত ১ এপ্রিল তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের হলফনামা অনুসারে ১৮টি মামলা ৮টি মামলায় খালাস পেয়েছেন নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর ছিল বর্ণাঢ্য জীবন। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য এরপর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত লালবাগ, কামরাঙ্গীর চর, চকবাজার, কোতোয়ালি, সূত্রাপুরসহ পুরনো ঢাকায় বিএনপির রাজনীতি তিনিই নিয়ন্ত্রণ করতেন। ১৯৯১ সালে লালবাগ এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন প্রয়াত বিএনপি নেতা মীর শওকত আলী। তার আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ওই এলাকার ৬৫ ও ৬৬ নং ওয়ার্ডের কমিশনার নির্বাচিত হন হাজী মোহাম্মদ সেলিম। এর পর হাজী সেলিম যোগদান করেন বিএনপির রাজনীতিতে। ওই সময় একই এলাকার ছাত্রদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুও মীর শওকত আলীর আশীর্বাদপুষ্ট হন। এ সময় হাজী সেলিম ও পিন্টু মিলে ওই এলাকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। এর পর হাজী সেলিম আওয়ামী লীগে যোগ দিলে মীর শওকতের আশীর্বাদে নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেন। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পরে এই সংগঠনের সভাপতি হন তিনি। এর পর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজী সেলিম আওয়ামী লীগ ও নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে লালবাগ এলাকা থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেন। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ নির্বাচনে হাজী সেলিমের কাছে পরাজিত হন নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। এর ফলে এক সময়ের সতীর্থ হাজী সেলিম এবং নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এলাকায় অবস্থান করেন। ৫ বছর পর ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালবাগ এলাকা থেকে নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু নির্বাচিত হন, পরাজিত হন হাজী সেলিম। এর পলে পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ চলে আসে পিন্টুর হাতে। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পলাতক থাকার কারণে হাজী সেলিমের পরিবর্তে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে। মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন নির্বাচিত হয়ে হাজী সেলিম ও পিন্টুর লোকজনকে দূরে ঠেলে দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন। সর্বশেষ ২০১৩ সালের নির্বাচনেও মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তাই হাজী সেলিম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ মোস্তফা জালালকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে যান। এর পর আবার হাজী সেলিম আর পিন্টু পরিবারের মধ্যে পুরনো ঢাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে হাজী সেলিম মেয়র পদে নির্বাচন করতে চাইলে কারাবন্দী পিন্টুও নির্বাচন করতে চান। এক পর্যায়ে হাজী সেলিম আর নির্বাচনে অংশ নেননি। আর নাসিরউদ্দিন পিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার আমলে (২০০১-২০০৬) প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন হওয়ায় সর্বোচ্চ সরকারী আনুকূল্য পান নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সর্বোচ্চ ৭৬টি মামলা প্রত্যাহার করে তখন যাবতীয় অপরাধের অভিযোগ হতে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ পিন্টুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে ॥ পিন্টুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। রবিবার পুরান ঢাকায় পিন্টুর হাজারীবাগের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাসিরউদ্দিন পিন্টুর ছোট ভাই নাসিম উদ্দিন আহম্মেদ রিন্টু অভিযোগ করেন ‘আমার ভাই নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে’। তিনি বলেন, ‘অসুস্থ হওয়ার পর হাইকোর্টের স্পষ্ট আদেশ ছিল, পিন্টুকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা এর সমমানের কোন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার।’ তবে রাজশাহীতে এই মানের কোন হাসপাতাল নেই। ‘তিনি বলেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় আমার ভাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে ১ এপ্রিল বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। ২০ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পিন্টুর স্ত্রীর বড় ভাই মশিউর রহমান দীপু বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে পিন্টু হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে তাকে কোন প্রকার চিকিৎসা দেয়া হয়নি। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলা হয়েছে। মৃত্যুর পর তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি বলেন, পিন্টু ছিলেন নারায়ণগঞ্জ কারাগারে। সেখানে তিনি বেশ কিছু দিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পিন্টুর মৃত্যু হয়েছে -রিপন ॥ পিন্টুর চিকিৎসায় আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। রবিবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও অভিযোগ করেন কারাকর্তৃপক্ষের অবহেলায় পিন্টুর মৃত্যু হয়েছে। রিপন বলেন, পিন্টুর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলেও তাকে হাসপাতালে না নিয়ে বার বার কারাগার পরিবর্তন করা হয়। যদিও আদালতের নির্দেশনা ছিল ঢাকার দু’টি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পিন্টুকে রাজশাহী কারাগারে নেয়া হয়েছে। এটাকে সহজভাবে নেয়া যায় না। পিন্টুর বাসায় বিএনপি নেতারা ॥ মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা পিন্টুর হাজারীবাগের বাসায় যান। তারা পরিবারের সদস্যদের সান্ত¡না দেন। পিন্টুর বাসায় যাওয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা, সহ-সভাপতি রাবেয়া সিরাজ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস জাহান প্রমুখ। অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত- স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ॥ নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে মেরে ফেলার অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, পিন্টুকে কারাগারে সব সুযোগ-সুবিধাই দেয়া হয়েছিল। রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ অফিসে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন। পুলিশের অপমৃত্যু মামলা ॥ পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করেছে রাজশাহী পুলিশ। রবিবার বিকেলে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। খালেদা জিয়ার শোক ॥ নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া শোক প্রকাশ করেছেন। শোক বাণীতে তিনি বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা এবং সুচিকিৎসা দিতে ডাক্তারদের পরামর্শ উপেক্ষা করার কারণেই তার অকাল মৃত্যু হয়েছে।
×