ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ৪ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

দীর্ঘদিন ধরে পুরনো ঢাকার সূত্রাপুরস্থ ভূমি অফিসের নিয়ন্ত্রণাধীন বা আওতাভুক্ত পুরান ঢাকাতে নামজারিকরণ ও খাজনা নেয়া বন্ধ কেন তা সঠিকভাবে কোন তথ্য কেউ দিতে পারছে না এমনকি সহকারী অফিসাররাও না। আবার অনেকে বেশি টাকা-পয়সা ঢাললে কাজগুলো সূচারুভাবে করা হয়ে থাকে। তবে পুরান ঢাকার অধিকাংশ বাড়ির মালিকরা নামজারি ও ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা সময়মতো দিতে না পারায় দুর্ভোগ ও বিবিধ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ দেয়া হযনি। কেউ বলে পুরান ঢাকা সরকারের ‘খাস’ জমি সেজন্য খাজনা নেয়া হবে না। দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকায় খাজনা ও নামজারি বন্ধ থাকার কারণে জমি বিক্রয় অথবা ব্যাংক লোনে বাড়ি নির্মাণ করা, গরিব মধ্যবিত্ত পরিবাররা তাদের সামান্যতম বাড়িটি ডেভেলপার কোম্পানিকে বা পিতা-মাতা মৃত্যুর পর জমি বণ্টন করে ভূমি অফিসের কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এগুলো সবই টাকা পয়সার দৌরাত্ম্য। এমতাবস্থায় সূত্রাপুর ভূমি অফিসকে সর্বপ্রকার জটিলতা দূর করে বাড়ির মালিকদের সুবিধার্থে খাজনা গ্রহণ ও নামজারি করার সুযোগ প্রদানের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, ঢাকা। বেকুটিয়ায় সেতু নির্মাণ আমরা বরিশাল ও খুলনা দেশের অন্য জেলার তুলনায় অনেকটা বাণিজ্যিকভাবে পিছিয়ে আছি। বাংলাদেশের অন্যতম নদীবহুল অঞ্চল হলো বরিশাল। এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস হলো কৃষি আর কৃষি রফতানি সম্প্রসারণের জন্য বরিশাল থেকে খুলনা, মংলা, যশোর, বেনাপোল, যাতায়াতের জন্য একমাত্র মহাসড়ক হলো বরিশাল-খুলনা মহাসড়ক। এ সড়কের মাঝে অবস্থিত আছে সুপ্রসিদ্ধ কচা নদী যা পারাপার করা হয় বেকুটিয়া ছোট ছোট দুটি ফেরি দ্বারা। এই পথে এত পরিমাণ বাস, ট্রাক, পিকাপ, ভ্যান এবং প্রাইভেট গাড়ি চলাচল করে যে, নদীর দু’পাড়ে সবসময়ই যানজট লেগেই থাকে। মাত্র ২ কি. মি. পথ পাড় হতে সময় লাগে ২ ঘণ্টার বেশি। তাই দক্ষিণবঙ্গের কোটি কোটি মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে বেকুটিয়ায় একটি সেতু নির্মাণ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জনগণের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। মোঃ রুহুল আমিন (দুলাল) কাউখালী, পিরোজপুর। ধূমপান একটি বদ-অভ্যাস বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ‘বিয়ে করলে হয় সংসার আর বিড়ি (তামাকজাতপণ্য অর্থাৎ ধূমপান) খাইলে হয় ক্যান্সার।’ ধূমপায়ীদের পরোক্ষ প্রভাবটা পড়ছে অধূমপায়ীদের ওপর। ক্যান্সার ছাড়াও যক্ষ্মা, হুপিংকাশির মতো মারাত্মক রোগসমূহ ধূমপানের কারণেই সাধারণত হয়ে থাকে। মানুষ এসব জেনেও প্রতিনিয়ত বিষপান করছে। এক জরিপে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে শতকরা ৪৫ ভাগ মানুষ পাবলিক প্লেসে ধূমপানের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে শতকরা ৬৯ ভাগ পুরুষ আর শতকরা ২০ দশমিক ৮ ভাগ নারী। হোটেল বা রেস্তোরাঁগুলোতে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় শতকরা ২৭ দশমিক ছয় ভাগ মানুষ। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে আবদ্ধ পরিবেশে শতকরা ৬৩ ভাগ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। তামাক চাষ শুধু খাদ্য নিরাপত্তার জন্যই হুমকি নয়, এই বিষাক্ত বৃক্ষ চাষ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণন সর্বক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে সংশ্লিষ্ট মানুষদের। এছাড়াও রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাবে জনগণ, বনভূমি, উদ্ভিদ, পানি, জলজ ও স্থলজপ্রাণী, পরিবেশ মারত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তামাক চাষীরা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবুল খায়ের ভূঁইয়া হাজীপাড়া, ঢাকা শযধুধৎ১৫নযঁরুধ@মসধরষ.পড়স
×