ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘পলাতক’ থাকায় পদ হারাতে পারেন রাসিক মেয়র বুলবুল

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১ মে ২০১৫

‘পলাতক’ থাকায় পদ হারাতে পারেন রাসিক মেয়র বুলবুল

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ শেষ পর্যন্ত পলাতকই থাকলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। গত সাড়ে ৩ মাস নগর ভবনে অনুপস্থিত থেকে গোপনে বিভিন্ন ফাইল স্বাক্ষর করছেন বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে। নির্বাচিত মেয়র হয়ে দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় নগর সেবাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সব ধরনের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। বিশেষ দিনে সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ শাখা থেকে বুলবুলের নামে শোক কিংবা বিবৃতি পাঠানো হলেও সংশ্লিষ্ট দফতরও জানে না বুলবুল কোথায় আছেন। মেয়রের দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে নগর উন্নয়নের সব সেবা কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের প্রতি জনরোষের সৃষ্টি হচ্ছে। নাগরিকদের কথা পালিয়ে বেড়ানোর জন্য ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করা হয়নি। অনেক ক্ষুব্ধ নাগরিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে অবিলম্বে তার বরখাস্ত দাবি করেছেন। ইতোমধ্যে বরখাস্তের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এভাবে পলাতক থাকায় তিনি মেয়র পদ হারাতে পারেন বলে অনেকের ধারণা। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী অবশ্য বলেছেন, মেয়রকে বরখাস্তের কোন চিঠি তারা এখনও পাননি। তবে রাসিকের একটি নির্ভরযোগ সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তাকে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য তদন্ত প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তাই বরখাস্তের চিঠির অপেক্ষায় রয়েছেন কর্মকর্তারাও। এক সময়ের চাঞ্চল্যমুখর ‘নগর ভবন’ এখন ঝিমিয়ে পড়েছে। সেবা না পেয়ে অনেকে আর নগর ভবনে যাচ্ছেন না। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দফতর দখলের চেষ্টা ॥ এদিকে ‘মেয়রহীন’ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) নগর ভবনে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় দখলের চেষ্টা চালিয়েছেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ওই কার্যালয়টি দখল করে নিজের নেমপ্লেট লাগিয়ে দেন। এ নিয়ে রাসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হলে বিকেলেই সেটি খুলে নেয়া হয়। তবে কার্যালয় দখল এখনও ছাড়েননি প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মাহাবুবুর রহমান। যোগাযোগ করা হলে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মাহাবুবুর রহমান বলেন, কে বা কারা আমার নেমপ্লেট সেখানে লাগিয়েছে। আমি কারও কার্যালয় দখল করিনি। তবে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী বলেন, ‘কার্যালয় দখলের বিষয়টি তার জানা নাই।’
×