ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ৩০ এপ্রিল ২০১৫

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ

বিভাষ বাড়ৈ ॥ তিন সিটি কর্পোরেশনে সংঘর্ষ জাল ভোটসহ অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও এর যৌক্তিকতা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কারণ সঙ্ঘাত ও অনিয়মের প্রায় প্রতিটি ঘটনাই ঘটেছে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের পর। এমনকি বিএনপির পিছুটানের সময়েও দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষরা নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে বলে মত দিয়েছিলেন। কেবল তাই নয়, সঙ্ঘাত ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠা ঘটনাগুলোর মূলে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ দুই কাউন্সিলর প্রার্থীই। যেখানে বিএনপির স্বার্থ খর্ব হওয়া কিবাং তাদের অধিকার কেড়ে নেয়ার অভিযোগ তোলার কোন সুযোগ নেই। সরকার সমর্থকরা বিএনপির ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছেন কিংবা তাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে এমন ঘটনা প্রায় নেই বললেই চলে। এমন অবস্থায় বরাবরের মতো তথ্য প্রমাণ ছাড়া কিছু গদবাঁধা অভিযোগ তুলে বিএনপির হঠাৎ নির্বাচন বর্জনের ঘটনায় হতাশ বিশ্লেষকরা। হতাশ খোদ বিএনপির নির্বাচনী কর্মী, সমর্থকরাও। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ভোট গ্রহণকালে প্রথমে চট্টগ্রামে বিএনপি যখন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। একইসঙ্গে চলতে থাকে ঢাকাতেও একই প্রস্তুতি। কিছুক্ষণ পরই দুপুর ১২টায় ঢাকাতেও তারা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করে। বিএনপি নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় কেবলই কেন্দ্র দখল, তাদের নেতাদের ওপর হামলা, জাল ভোটের অভিযোগ তুললেন। অভিযোগ তুললেন প্রতিটি কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে তাদের ভাষায় দখল করা হয়েছে ৮০ ভাগ কেন্দ্র। ঢাকায় অধিকাংশ কেন্দ্রে সরকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনলেন কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই। ‘ভোটারবিহীন’ ভোট হচ্ছে অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতারা নির্বাচন বর্জনেরও ঘোষণা দিলেন। অথচ ঠিক এ সময়েও দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষরা নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে বলে মত দিয়েছিলেন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭৬ জন বিদেশীসহ সাড়ে তিন হাজারের বেশি পর্যবেক্ষক ছিলেন। দেশীয় ১৭টির সংস্থার পক্ষ থেকে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। সকালে ঢাকা সিটি উত্তরের কেন্দ্র বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন করে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট গিবসন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আজিমপুর গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেছিলেন, এখন পর্যন্ত কোন বিশৃঙ্খলা নেই। প্রিসাইডিং অফিসার বলেছে কোন সমস্যা হয়নি। তারপরেও কারও কোন অভিযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশন আছে, তারা বিষয়টি দেখবেন। কেন্দ্রে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতেতে খুশি মন্তব্য করে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্লুম বার্নিকাট সহিংসতার খবরে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। ঢাকা উত্তরের বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে দুপুর ১২টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অর্থপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ভোটারদের ভোটের সুযোগ দিতে হবে। দুপুরে আজিমপুর গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন আইন সহায়তা কেন্দ্রের পর্যক্ষেকরা। সংস্থার কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা আটটির মতো কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। কোথাও কোন অনিয়ম চোখে পড়েনি। সবগুলোর অবস্থাই ভাল। মানুষ অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশে আইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছে। ভোটার উপস্থিতিতেও ভাল। বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ডেমোক্র্যাসি ওয়াচের কর্মকর্তা জগলুল আবেদীন। তিনিও বলছিলেন, আমি বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। কোথাও কোন অনিয়ম দেখিনি। যে যার মতো ভোট দিয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন ফেমা’র পর্যবেক্ষক শাহজাহান সিদ্দিক সিদ্ধেশরী গার্লস কলেজ, ভিকারুন্নেসা গার্লস কলেজসহ দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি বলেন, ভোট সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছে। তবে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকনের এজেন্ট ছাড়া আর কারও এজেন্ট দেখা যায়নি। ভোট শুরুর দিকে ভোটাদের উপস্থিতি অনেক বেশি থাকলেও ঘণ্টাখানেক পরেই তা কমতে শুরু করে। তবে পরিস্থিতি ভাল। অথচ এ অবস্থার মধ্যেই বিএনপি দাবি করে নির্বাচনে কেবল অনিয়ম আর সংঘর্ষ হচ্ছে। হামলা চালানো হচ্ছে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর। এ অভিযোগ তুলেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় দলটি। এদিকে কেন্দ্র পরিদর্শনকালে দেখা যায়, সংঘর্ষ জাল ভোটসহ অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও এর প্রতিটি ঘটনাই ঘটেছে নির্বাচন বর্জনের পরে। এবং সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লক্ষ্মীবাজারে কাউন্সিলর পদের প্রার্থী দুই আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ১২টার দিকে কবি নজরুল কলেজ কেন্দ্রের বাইরে প্রায় আধাঘণ্টার সংঘর্ষের পর ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখানে সংঘর্ষের সঙ্গেও নেই বিএনপির কোন সম্পৃক্ততা। ঘুড়ি মার্কার কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইয়ার মোহাম্মদ ইয়ারু এবং আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়ে না পাওয়া টিফিন ক্যারিয়ার মার্কার প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ সেলিমের সমর্থকদের অভিযোগ, ওই কেন্দ্রে জাল ভোটের খবর পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগের অপর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ভোট চলাকালে ঢাকা দক্ষিণের হাজারীবাগের একটি কেন্দ্রের বাইরেও কাউন্সিলর প্রার্থী দুই আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। বেলা ১টার দিকে দক্ষিণের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে হাজারীবাগের ‘জরিনা শিকদার স্কুল’ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাফরুলে একটি কেন্দ্রে কারচুপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে সংঘর্ষে জাড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক কাউন্সিলর প্রার্থী ও ‘বিদ্রেহী’ প্রার্থীর সমর্থকরা। বিএনপির ভোট বর্জনের পর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তর কাফরুল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনায় প্রায় দেড়ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। একই দলের দুই কাউন্সিলরের পাল্টাপাল্টি ভোট জালিয়াতির অভিযোগ সংঘর্ষে সুরিটোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত ৫৬৪, ৫৬৫ ও ৫৬৬ নম্বর কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। ৩৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু জোবায়ের মোহম্মদ মিরাতুল্লাহর পোলিং এজেন্ট ফারজানা জুবায়ের বলেন, আমাদেরকে পোলিং এজেন্টরা ব্যালট পেপার দিতে না পারায় ভোট দিতে পারিনি। এছাড়া আমাদের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। একটি অভিযোগ তোলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী। যেখানে সঙ্ঘাত সরকার সমর্থক কাউন্সিলদের মধ্যে সেখানে হঠাৎ ভোট শুরু হতে না হতেই বিএনপির বর্জন ও অভিযোগ নিয়ে এখন চলছে বিতর্ক। জাল ভোটের অভিযোগ এনে বর্জনের পর এখন ব্যাপক ভোট পাওয়ায় হতাশ বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী ও এজেন্টরাও। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি-সমর্থিত একজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ফল পেয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। অথচ, নির্বাচন নিয়ে তার দলের অবস্থান ঠিক উল্টো। বিএনপির এ কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর নাম সাজ্জাদ হোসেন। ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ১৪ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্র্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ইসমাইল হোসেন। ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৩৬ ভোট। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করা সত্ত্বেও ঢাকা উত্তর সিটির ২ নম্বর ওয়ার্ডে দলটির সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন জয়ী হওয়ার বিষয়টি এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাজ্জাদ হোসেন বিএনপির নির্বাচন বর্জন ও নিজের শপথ সম্পর্র্কে বলেন, অবশ্যই, অবশ্যই শপথ নেব। জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে। এলাকায় আমি বাস করি। শপথ তো নিতেই হবে। নির্বাচন বর্জন বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত। দল যদি আপনাকে শপথ নিতে মানা করে, তখন কী করবেন? সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কেন নেব না, অবশ্যই নেব। আমার জন্ম এখানে। এখানে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে। এদিকে নির্বাচন বর্জন ঘোষণার পরে মঙ্গলবারই বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে বিএনপি-সমর্থিত পদপ্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা ও ক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় আজিমপুর গার্লস স্কুল কেন্দ্রের সামনে কথা হয় বিএনপি মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পোলিং এজেন্ট জুয়েল ইসলামের সঙ্গে। অন্য প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা টেবিলের সামনে ব্যস্ত থাকলেও তিনি পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। কারণ জানতে চাইলে জুয়েল বলেন, শুনেছি বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। এখন আমরা কি করব বুঝতে পারছি না। তাও ভোটাররা সাহায্য চাইলে তাদের যতটা সম্ভব সাহায্য করা হচ্ছে। গাউসুল আজম মার্কেটের সামনে এক নারী চা বিক্রেতাকে ভোট দেয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে তিনি ভোট দিয়েছেন। তবে নির্বাচন বর্জনের কথা শোনার পর থেকে তার মন খারাপ। অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, সইরা আইবেন তাইলে খাড়াইলেন ক্যান? আমরা ভোট দিয়া ফাও টাইম নষ্ট করলাম। মাইনষে টেকা খরচ কইরা নির্বাচন করলো। পুরাই লস না? তিনটার দিকে তেজগাঁও বটমলী স্কুল কেন্দ্রের সামনে গিয়ে দেখা যায় বিএনপি সমর্থক পোলিং এজেন্টরা তাদের কাগজপত্র গুছিয়ে চলে গেছে। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বললেন, বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পরে পোলিং এজেন্টরাও চলে গেছে। জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিপপের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলছিলেন, ‘বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে যে নির্বাচন প্রত্যক্ষ করলাম, তাতে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়েছে, তা আরও বেড়েছে। তবে নির্বাচনের দিন যখন ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন, তখন দেখলাম বিএনপি নির্বাচন বর্জন করল। এভাবে সরে যাওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। জানিপপের চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা পোলিং এজেন্ট নির্ভর। তারাই কেন্দ্রের ভেতরে জালিয়াতি বন্ধে মূল দায়িত্ব পালন করেন। তারা যদি অনুপস্থিত থাকেন বা সক্রিয় না থাকেন, তাহলে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার থাকে না। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। নির্বাচন কমিশন হলো ফুটবল খেলার মাঠের রেফারির মতো। কোন দল যদি খেলতে না চায়, সেক্ষেত্রে রেফারির কিছুই করার থাকে না। রেফারি তো আর কোন দলকে খেলে দিতে পারবে না।
×