ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দর্শনা চিনিকলে ৬৭ কোটি টাকার চিনি অবিক্রীত

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২৯ এপ্রিল ২০১৫

দর্শনা চিনিকলে ৬৭ কোটি টাকার চিনি অবিক্রীত

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা ॥ দর্শনা কেরুজ চিনিকলে ৬৬ কোটি ৮১ লাখ ৪৪ হাজার ১৫০ টাকার ১৮ হাজার ৫৭ দশমিক ৯৫ মেট্রিক টন চিনি এখনও অবিক্রীত রয়েছে। চিনিকলটির নিজস্ব উৎপাদিত চিনির পাইকারি বিক্রয় মূল্য কমিয়ে সর্বশেষ কেজি প্রতি ৩৭ টাকা পুনর্নির্ধারণ করলেও এই চিনির কোন খরিদ্দার মিলছে না। অপরদিকে বিগত তিন মাড়াই মৌসুমের পর চলতি মৌসুমের উৎপাদিত চিনি সংরক্ষণের জায়গা নিয়ে বিপাকে পড়েছে মিল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তিন বছর আগের উৎপাদিত চিনি খাবারের উপযুক্ততা নিয়ে। জানা যায়, আমদানিকৃত ফ্রেসসহ বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চিনির পাইকারি মূল্য ৩৭ টাকা কেজি দরে বেচাকেনা চলছে। বিদেশী আমদানিকৃত এই চিনি সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকগণ পাইকারি ব্যবসায়ীদের বিপণিকেন্দ্রে বাকিতে পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়া বাকিতে মূল্য প্রাপ্তি এবং বিক্রেতাদের স্ব স্ব বিপণিকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার সুবিধাসহ ইত্যাদি কারণে বিদেশী চিনিতে বাজার ভরপুর রয়েছে। এছাড়া আমদানিকৃত ও বেসরকারী রিফাইনারি ফ্যাক্টারির উৎপাদিত চিনি ধবধবে সাদা, ঝরঝরে ও বস্তার গায়ে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা থাকায় ক্রেতারা সহজেই এই চিনি কেনার প্রতি আগ্রহী হয়। কিন্তু কেরুর চিনি আখ হতে উৎপাদিত হওয়ায় চিনির গুণগত মান ভাল। তবে বেসরকারী রিফাইনারি ফ্যাক্টারির উৎপাদিত চিনি অপেক্ষা লালচে। বস্তায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদন, উৎপাদন তারিখ লেখা থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা না থাকায় ক্রেতারা কেরু চিনি কিনতে অনীহা প্রকাশ করে।
×