স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গা পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের পর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত কোটি টাকা মূল্যের জায়গায় ফের বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। ২১ এপ্রিল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে ওই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। রবিবার থেকে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে একই স্থানে ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, উচ্ছেদ অভিযানের পর তারা মোটা অঙ্কের টাকায় এক শ্রেণীর সওজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, চিরিঙ্গা সাবেক এবিপি হোটেলের আশপাশের এলাকাটি কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছে, চকরিয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত ওই জায়গাটি দখলে নিয়ে পৌরসভার কাহারিয়াঘোনার জনৈক মঈন উদ্দিন, নাজেম উদ্দিন ও সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রভাবশালীরা বহুতল ভবন (মার্কেট) নির্মাণ কাজ শুরু করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে জায়গাটি দখলমুক্ত করে।
দখলকারী মঈন উদ্দিন জানান, মৃত মোজাহের আহমদ কোম্পানির কাছ থেকে ওই জায়গা ক্রয় কওে সেখানে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, ক্রয়কৃত জায়গায় এবিপি হোটেলসহ কয়েকটি দোকান নির্মাণ শেষে প্রভাবশালীরা তাদের জায়গার সামনের অংশে সড়ক বিভাগের জায়গাটি জবরদখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে। তবে এ প্রসঙ্গে মার্কেট নির্মাণকারী মঈন উদ্দিন বলেন, সওজের অধিগ্রহণকৃত জায়গাতে নয়, আমাদের ক্রয়কৃত সম্পদের ওপর ওই মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, মৃত মোজাহের আহমদ কোম্পানির কাছ থেকে ওই জায়গা ক্রয় করা হয়েছিল ইতোপূর্বে। সেখানে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ চকরিয়ার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, ২১ এপ্রিল উচ্ছেদ অভিযানের পর অভিযুক্ত নাজেম উদ্দিনদের ওই জায়গায় কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ না করতে নোটিস দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, উচ্ছেদ এবং নোটিসের পরও জড়িতরা সড়ক বিভাগের জায়গায় ফের স্থাপনা নির্মাণের কাজ করছে। কয়েকদিনের মধ্যে সেখানে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে খুঁটি পুঁতে দেয়া হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: