ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেলফোনের সিমের ওপর ট্যাক্স প্রত্যাহার ও কর্পোরেট কর হ্রাসের আহবান

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৮ এপ্রিল ২০১৫

সেলফোনের সিমের ওপর ট্যাক্স প্রত্যাহার ও কর্পোরেট কর হ্রাসের আহবান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মোবাইল ফোনের সিমের ওপর ট্যাক্স প্রত্যাহার ও কর্পোরেট কর কমানোসহ কয়েক দফা দাবি জানিয়েছে এ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর্স বাংলাদেশ (এ্যামটব)। সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলনকক্ষে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি করা হয়। অলোচনায় মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্বের অন্য কোন দেশে সিমের ওপর এই কর নেই। তাই দেশের সাধারণ মানুষ ও কোম্পানিগুলোর লোকসানের কথা বিবেচনা করে এ কর প্রত্যাহারের দাবি জানায় তারা। উল্লেখ্য, বর্তমানে মোবাইল ফোনের নতুন সিম বিক্রির ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা হারে ভ্যাট ও ট্যাক্স দিতে হয়। এনবিআরের শুল্কনীতির সদস্য ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনায় সংগঠনের মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির ও বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধি এবং এনবিআরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ্যামটবের বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন মোবাইল অপারেটর রবি’র চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমদ। এতে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি হলেও মোবাইল ব্যবহারের প্রবৃদ্ধি কম। সিমের দাম কমালে প্রান্তিক মানুষকে সহজে এ সেবা দেয়া যায়। তা বিবেচনায় এনে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো প্রতিটি সিম ১০০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করে। তবে সিম’র ওপর ৩০০ টাকা করারোপের কারণে এখন তাদের লোকসান গুনতে হয়। তিনি জানান, বর্তমানে মোবাইল গ্রাহকদের প্রতিটি সিম ও রিম কার্ডের বিপরীতে ১০৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ টাকা ভ্যাট এবং ১৯০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়, যার কারণে একটি সিম কার্ডের মূল্যে অতিরিক্ত ৩০০ টাকা কর আরোপিত হয়। এশিয়ার অন্যান্য দেশের মোবাইল ফোন কোম্পানির কর্পোরেট করের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশে এই কর পদ্ধতিকে ‘অদ্ভুত’ বলে আখ্যা দেয় এ্যামটব। এ সময় তারা জানায়, এশিয়ার প্রায় সব দেশেই এ কর ৪০ শতাংশের নিচে। বাংলাদেশে তা ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত দিতে হয়। মহাসচিব নুরুল কবির বলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত সব ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ কর দিতে হয় মোবাইল ফোন অপারেটরদের। মোবাইল অপারেটররা অন্যান্য কোম্পানির মতো হলেও তাদের কাছ থেকে এ কর ৩৭ শতাংশ না নিয়ে ৪৫ শতাংশ নেয়া হয়। কর্পোরেট করসহ অন্যান্য করের হার বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে বিদেশী কোম্পানিগুলো ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবি ছাড়া বাকি কোম্পানিগুলো লোকসানে থাকায় আন্তর্জাতিক টেলিকম গ্রুপগুলো এসব প্রতিষ্ঠানে তাদের শেয়ার থাকা গুটিয়ে নিয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি ২ লাখ ৬৮ হাজার। এরমধ্যে গ্রামীণফোন ৪২ শতাংশ, বাংলালিংক ২৬ শতাংশ, রবি ২২ শতাংশ, এয়ারটেল ৬ শতাংশ, টেলিটক ৩ শতাংশ ও সিটিসেলের গ্রাহক ১ শতাংশ। দিনের অপর এক আলোচনায় বাংলাদেশ সিরামিক ওয়্যারস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিসিডব্লিউএমএ) নেতারা অভিযোগ করেন, চীনের নিম্নমানের সিরামিকপণ্যের সঙ্গে দেশীয় শিল্প প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।
×