ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলে বাবাকে বেঁধে রেখে দুই মেয়েকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ০৪:২১, ২৮ এপ্রিল ২০১৫

টাঙ্গাইলে বাবাকে বেঁধে রেখে দুই মেয়েকে ধর্ষণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৭ এপ্রিল ॥ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের যমুনা নদীতে নৌকায় বাবাকে বেঁধে রেখে দু’মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে একদল ডাকাত। এ সময় ডাকাতরা ধর্ষিতাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ডাকাতদের বাড়িঘর সোমবার সকালে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। ধর্ষিতাদের বাবা বাদী হয়ে রবিবার রাতে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। জানা গেছে, ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের বেলটিয়াপাড়া গ্রামের জনৈক কৃষকের দুই মেয়ে গাজীপুর গার্মেন্টসে চাকরি করে। গত ১৩ এপ্রিল ছুটি নিয়ে তারা দুই বোন বাড়ি ফিরতে রাত হওয়ার আশঙ্কায় তাদের বাবাকে ফোন করে ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী ঘাটে নৌকা নিয়ে আসতে বলে। মেয়েদের কথামতো বাবা বেলটিয়াপাড়া গ্রামের আকাব্বরের ছেলে সুজনের নৌকা ভাড়া করে গোবিন্দাসী ঘাটে আসেন। দুই বোন তাদের বাবার সঙ্গে গোবিন্দাসী ঘাট থেকে নৌকাযোগে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। যমুনা নদীর রামপুর নামকস্থানে পৌঁছলে একদল ডাকাত তাদের নৌকার গতিরোধ করে। ডাকাতদল নৌকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কৃষক বাবাকে হাত-পা-মুখ বেঁধে তাঁর সামনেই দুই বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। চলে যাওয়ার সময় ডাকাতদল এ ঘটনা জানাজানি বা মামলা করলে পরিবারের সবাইকে খুন করে লাশ যমুনায় ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এ কারণে হতদরিদ্র পরিবারটি কিছুদিন ঘটনাটি আড়াল করে রাখে। এক পর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠে। তারা ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। পরে দরিদ্র ওই কৃষক বাদী হয়ে রবিবার রাতে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বাদী দরিদ্র কৃষক জানান, নৌকা চালক সুজনের যোগসাজশে ডাকাত সর্দার আসাদুলের নেতৃত্বে নজরুল, রকমান, সাইদুলসহ ৮-৯ জনের একদল ডাকাত নৌকার গতিরোধ করে হামলা করে।
×