জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ উপমহাদেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির অন্যতম পথিকৃৎ, কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের নেতা ও অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- আলোচনাসভা, মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাত। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাসস জানায়, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। প্রায় অর্ধশতাব্দীর অধিককাল তিনি গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পূর্ব বাংলার গবর্নরের (১৯৫৬-১৯৫৮) পদসহ বহু উঁচু রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, তিনি ছিলেন অসাধারণ মেধাবী ও বাগ্মী। এ দেশের কৃষক-শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ কে ফজলুল হকের অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শেরে বাংলা এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য শেরে বাংলার অসীম মমত্ববোধ এ দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।
‘বাংলার কৃষক ও মেহনতি জনতার অকৃত্রিম বন্ধু শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক এ দেশের কৃষকদের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনের ফলেই দেশে প্রজাস্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। বাঙালী কৃষক সমাজ সামন্তদের শোষণ থেকে মুক্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী মহান আল্লাহর দরবারে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
এদিকে দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকাল ৭টায় মরহুমের মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ ও তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ), জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, শেরে বাংলা স্মৃতি একাডেমিও কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
