ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গে’র ডোপিং নিষেধাজ্ঞা কমানোয় ক্ষুব্ধ বোল্ট

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৬ এপ্রিল ২০১৫

গে’র ডোপিং নিষেধাজ্ঞা কমানোয় ক্ষুব্ধ বোল্ট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোপপাপী স্প্রিন্টার টাইসন গে গত গ্রীষ্মে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন আবার ট্র্যাকে। ফেরার পর থেকেই সাবেক বিশ্বরেকর্ডধারী এ স্প্রিন্টার বেশ দ্রুতবেগে দৌড়াচ্ছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্তমানে তিনি ১০০ ও ২০০ মিটারে বিশ্বরেকর্ডধারী দ্রুততম গতিমানব জ্যামাইকার উসাইন বোল্টকেও ছাড়িয়ে গেছেন টাইমিংয়ে। যদিও ফেরার পর গে-বোল্ট লড়াইটা হয়নি এখন পর্যন্ত। আগামী আগস্টেই প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে। বিশ্ববাসী যখন অধীর হয়ে যখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপসে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অপেক্ষার প্রহর গুনছে তখনই প্রতিপক্ত গে’কে মৌখিক আক্রমণ করে আগেভাগে দুর্বল করার প্রচেষ্টা চালালেন বোল্ট। তিনি মনে করেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়া গে’র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। বোল্ট মনে করেন এর চেয়ে কা-জ্ঞানহীন কিছু তিনি কখনও শোনেননি। ২০১৩ ইউএস চ্যাম্পিয়নশিপসে ডোপটেস্টে পজিটিভ হয়েছিলেন গে। তাঁর দেয়া রক্তের নমুনায় স্টেরয়েডের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। এরপর তাঁকে মাত্র ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ইউএস এন্টি ডোপিং এজেন্সির কাছে দেয়া নমুনাটি এক বছর আগেই দেয়ার কারণে এবং তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক এবং ভাল আচরণ করার সুবাদে তিনি এ কম নিষেধাজ্ঞা পান। অথচ তাঁর সাবেক কোচ নিষিদ্ধ ড্রাগটি প্রদান করায় ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। গত গ্রীষ্মেই ফিরেছেন গে। কিন্তু এতদিন এ বিষয়ে মুখ খোলেননি সর্বকালের সবচেয়ে গতিধর মানব বোল্ট। কিন্তু এগিয়ে এসেছে আরেকটি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপস। মানসিকভাবে চরম প্রতিদ্বন্দ্বী গে’কে আক্রমণ করার সুযোগটা ছাড়তে পারেননি। তিনি নিষেধাজ্ঞা কমানোর বিষয়ে বলেন, ‘এটা সব সময়ই একটা ভুল বার্তা দেয় এ্যাথলেটদের। বার্তাটা হচ্ছে- তুমি যদি এটা করেই ফেল তাহলে এ বিষয়ে যতটা জান আমাদের কাছে বল এবং আমরা সেক্ষেত্রে তোমার নিষেধাজ্ঞা কমাব।’ বিষয়টি দারুণ হতাশার বলেই মনে করেন বোল্ট। তিনি আরও বলেন, ‘এটাই আমার শোনা সবচেয়ে বড় মূর্খতা। বার্তাটা হওয়া উচিত ছিল- তুমি যদি প্রতারণা কর আমরা তোমাকে খেলা থেকেই বের করে দেব।’ বোল্ট ৬টি অলিম্পিক স্বর্ণ জিতেছেন এখন পর্যন্ত। ১০০ ও ২০০ মিটারে তিনি বর্তমানে বিশ্বরেকর্ডধারী। তবে গে নিষেধাজ্ঞার আগ পর্যন্ত বোল্টের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি ছিলেন। ২০০৭ বিশ্ব আসরে গে ১০০, ২০০ ও ৪ী১০০ মিটার রিলেতে স্বর্ণ জিতেছিলেন। দীর্ঘ বিরতির পর গত গ্রীষ্মে আবারও ফিরে পুরনো ছন্দেই দৌড়ে যাচ্ছেন এ মার্কিন স্প্রিন্টার। সাম্প্রতিক সময়ের টাইমিংগুলো বিবেচনা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বোল্টের চেয়ে দ্রুতবেগেই এখন দৌড়াচ্ছেন গে। সে কারণেই হয়ত এখন মার্কিন এ স্প্রিন্টারের পেছনে লেগেছেন বোল্ট। তিনি বলেন, ‘আমি টাইসনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টা নিয়ে মোটেও ভাবছি না। এটা সত্যিই আমার জন্য বিরক্তিকর মনে হচ্ছে। আমি তাঁকে অনেক বছর ধরে তাঁকে সম্মান করি। তিনি একজন প্রতিযোগী। তিনি সবসময় আমাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন এবং তাঁর তাড়া খেয়েই নিজের সেরাটা সবসময় বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু এরপর যখন তাঁকে আমি ড্রাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেলাম তখন বিষয়টা আমার কাছে এরকম মনে হলো- যখন বাচ্চারা কোন খারপা কিছু করে বাবা-মার উচিত তাদের ছুড়ে ফেলা। আমি মনে করি তিনি আমাকে এবং এই খেলাটিকে নিগৃহীত করেছেন।’ ২০১২ সালের আগ পর্যন্ত টাইসনের গড়া রেকর্ডগুলো মুছে ফেলা হয়েছে। কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন বোল্ট।
×