ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তপ্ত লোকসভা, দিল্লীতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

উত্তপ্ত লোকসভা, দিল্লীতে বিক্ষোভ

দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ থেকে শুরু করে লোকসভায় তুমুল হট্টগোল হয়েছে। কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে ক্রমেই সরগরম হচ্ছে দিল্লীর রাজনীতি। বুধবার দিল্লীতে আম আদমি পার্টির সভা চলাকালীন কাছের একটি গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রাজস্থানের কৃষক গজেন্দ্র সিংহ।-খবর আনন্দবাজার অনলাইনের। এএপির মঞ্চের পাশেই ওই ঘটনা ঘটায় অস্বস্তিতে পড়েছে কেজরিওয়ালের দল। জমি বিল নিয়ে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের চলতি আন্দোলনের মাঝে এক কৃষকের আত্মহত্যায় অস্বস্তিতে পড়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারও। বিতর্ক থামাতে টুইটারে বিবৃতি দেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। গজেন্দ্রর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার যে কৃষকদের পাশেই আছে, তাও জানান তিনি। ঘটনায় পুলিশী নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিল এএপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লী পুলিশকে বাঁচতে এবং কেন্দ্রের অস্বস্তি কাটাতে আসরে নামেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন । এ দিন বৃহস্পতিবার সকল থেকেই দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে যুব কংগ্রেস। গজেন্দ্রর মৃত্যুতে বুধবারই এএপি নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদের অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। এ দিন সেই অভিযোগের সঙ্গে ঘটনায় এএপি নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের দাবিও তোলে কংগ্রেস। পোড়ানো হয় কেজরিওয়ালের কুশপুতুল। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, গজেন্দ্রকে বাঁচানোর কোনও চেষ্টাই করেননি মঞ্চের এএপি নেতারা। ঘটনার পর তাদের উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে সভা বন্ধ করা। বুধবারের ঘটনাস্থলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পাশাপাশি দিল্লী পুলিশের সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়ে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানায় তারা। বিজেপি নেতা সতীশ উপাধ্যায়ের অভিযোগ, এটা কোনওভাবেই আত্মহত্যার ঘটনা নয়। গজেন্দ্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে আম আদমি পার্টি। মাসদেড়েক আগে গজেন্দ্রকে এএপির সদস্যপদ দেয়া হয়। তাঁকে সভায় আমন্ত্রণ জানান এএপির মনীশ সিসৌদিয়া নিজে। এমনকী ঘটনার পরও প্রায় ৪৫ মিনিট সভা চালানো হয়। আপ নেতাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা শুরু করার দাবিও করেন তিনি। কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে এ দিন তুমুল হট্টগোল হয় পার্লামেন্টের দুই কক্ষে। তুমুল বাক্বিত-ায় স্থগিত হয়ে যায় দুই কক্ষের কাজ। বিষয়টি নিয়ে ‘রাজনীতি না করতে’ এবং লোকসভার কাজ চালাতে দিতে সংসদ বিষয়কমন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইড়ুকে হাত জোড় করে বিরোধীদের অনুরোধ করতেও দেখা যায়। অধিবেশনের শুরুতেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি জানায় কংগ্রেস। কিন্তু বিষয়টি দিনের শেষে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়ে স্পীকার সুমিত্রা মহাজন বলেন, অযথা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করবেন না। যখন ঘটনাটি ঘটে, কেউই তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে যায়নি। কৃষকদের সমস্যা সমাধানে কেউই আগ্রহী নয়। সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন বাম সদস্যরা। কংগ্রেসের তুমুল বিক্ষোভে অধিবেশন মুলতবি করেন স্পীকার।
×