ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সানজিদা, মারিয়া, মৌসুমীর হ্যাটট্রিকে সেমিতে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২৩ এপ্রিল ২০১৫

সানজিদা, মারিয়া, মৌসুমীর হ্যাটট্রিকে সেমিতে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সোমবার থেকে এএফসি অনুর্ধ-১৪ গার্লস রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা নেপালের কাঠমান্ডুতে শুরু হয়েছে। ‘সাউথ এ্যান্ড সেন্ট্রাল জোন’-এ পড়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ ‘বি’ তে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে ভারত ও ভুটান। বুধবার বেলা সোয়া ৩টায় আর্মি ফিজিক্যাল সেন্টার স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ ভুটানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৪ বালিকা ফুটবল দল। ম্যাচে ভুটানকে ১৬-০ গোলে রীতিমতো শোচনীয় হারের লজ্জা দেয় বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ দলের পক্ষে হ্যাটট্রিক করে তিন ফুটবলার- সানজিদা আক্তার (৪), মারিয়া মান্দা (৪) ও মিশরাত জাহান মৌসুমী (৩)। এছাড়া জোড়া গোল করেন মারজিয়া। ১টি করে গোল করেন কৃষ্ণা রানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্না ও তহুরা খাতুন। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ দল এগিয়ে ছিল ৮-০ গোলে (ম্যাচ হয় ৭০ মিনিটের)। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ফরোয়ার্ড মারজিয়ার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ (১-০)। এরপরই শুরু হয় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যদের প্রতিপক্ষের জালে গোল প্র্যাকটিস। ৬ মিনিটে অধিনায়ক-মিডফিল্ডার কৃষ্ণা ১২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে (২-০)। ফরোয়ার্ড স্বপ্না ১২ মিনিটে গোল করলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-০। মিডফিল্ডার মারিয়া ১৪ মিনিটে করে দলের পক্ষে চতুর্থ গোল (৪-০)। মিডফিল্ডার মৌসুমী ১৯ মিনিটে ব্যবধান বৃদ্ধি করে (৫-০)। মারিয়া ২৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে (৬-০)। এএফসির সেরা সাত নারী ফুটবলারদের একজন ফরোয়ার্ড সানজিদা তার গোল-অধ্যায় শুরু করে ম্যাচের ২৬ মিনিটে (৭-০)। তিন মিনিট পরেই আবারও মারিয়ার গোল এবং ম্যাচের প্রথম হ্যাটট্রিক (৮-০)। প্রথমার্ধে আট গোলের লিড নিয়ে তৃপ্তি সহকারে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয়ার্ধেও সমান তা-বলীলা চালায় ছোটনের দল। সে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে ম্যাচের ৩৮ মিনিটে (৯-০)। ৪২ মিনিটে মারজিয়া করে নিজের দ্বিতীয় গোল (১০-০)। ৪৪ মিনিটে মৌসুমী করে নিজের দ্বিতীয় গোল (১১-০)। দুই মিনিট পরেই আরেকটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে মৌসুমী (১২-০)। মারিয়া-মৌসুমীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সানিজদাও হ্যাটট্রিক করতে অনুপ্রাণিত হয়ে ওঠে। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে হ্যাটট্রিক করে সে (১৩-০)। পরের মিনিটেই আরেকটি গোল তার (১৪-০)। মিডফিল্ডার তহুরা ৫৫ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে ৫৭ মিনিটেই গোল করে ফেলে (১৫-০)। খেলা শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে (৬৮ মিনিটে) ম্যাচের শেষ ও নিজের চতুর্থ গোল করে মারিয়া (১৬-০)। বাংলাদেশ দলের মুহুমুর্হু আক্রমণে দিশেহারা ভুটানের রক্ষণভাগ কখনই বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। তবে বাংলাদেশ দল আরও কিছু গোল করার সুযোগ নষ্ট না করলেই নিশ্চিতভাবেই গোলসংখ্যা আরও বাড়তে পারত। এ জয়ে বাংলাদেশ ভারতকে পেছনে ফেলে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো এবং পৌঁছে গেল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে। ২ খেলায় ১ জয় ও ১ ড্রতে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৪। সমান ম্যাচে ভারতেরও সমান পয়েন্ট।। তবে গোল পার্থক্যে ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ গোল করেছে ১৭, খেয়েছে ১টি (+১৬)। পক্ষান্তরে ভারত গোল করেছে ১৩, হজম করেছে ১টি (+১২)। ২ খেলার প্রতিটিতেই হেরে শূন্য হাতে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ২৮ গোল হজম করা ভুটান। এই টুর্নামেন্টে সাত দেশ দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল খেলবে সেমিতে। গ্রুপ ‘এ’তে আছে ইরান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। এই চার দল থেকে দুটি দল সেমিতে উঠবে। বুধবার নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে বাংলাদেশের শেষ চারে খেলা নিশ্চিত করার জন্য ন্যূনতম ড্র করলেই চলত। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ হতো গ্রুপ রানার্সআপ। মঙ্গলবার দশরথ স্টেডিয়ামে ভারতের সঙ্গে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ১-১ গোলে ড্র করেছিল ভারতের সঙ্গে।
×