ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের গবেষকরাও সহায়তা পাবেন

গবেষণায় ৮ হাজার কোটি ইউরো ব্যয় করবে ইইউ

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৩ এপ্রিল ২০১৫

গবেষণায় ৮ হাজার কোটি ইউরো ব্যয় করবে ইইউ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণায় ৮ হাজার কোটি ইউরো ব্যয় করবে। ‘দিগন্ত-২০২০ : গবেষণাগার থেকে বাজার’ শীর্ষক এই প্রকল্প থেকে বাংলাদেশের গবেষকরাও সহায়তা পাবে। ৭ বছর মেয়াদী এই প্রকল্প আগামী ২০২০ সালে শেষ হবে। বুধবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন এই প্রকল্পের বিষয়বস্তু তুলে ধরার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের প্রধান পিয়েরে মায়াদ্যু, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আঞ্চলিক গবেষণা পরামর্শক ডেনিস ড্যাম্বয়েস ও বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান মুন্সী ফয়েস আহমেদ। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. গওহর রিজভী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের গবেষকদের গবেষণা করা আরও সহজ হবে। বিশেষ করে উদ্ভাবনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের গবেষকরা আরও নতুন নতুন গবেষণা করতে পারবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পিয়েরে মায়াদ্যু বলেন, গবেষণা সব সময় আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন খাতে গবেষণা প্রয়োজন। সে কারণেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই উদ্যোগ নিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী, গবেষক ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায় লাভবান হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে ডেনিস ড্যাম্বয়েস জানান, তিনটি খাতে গবেষণার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৮ হাজার কোটি ইউরো খরচ করবে। বিজ্ঞান, শিল্পখাতে নেতৃত্ব ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা। বাংলাদেশের গবেষকরা তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি, পরিবহন, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণার জন্য এখান থেকে সুযোগ নিতে পারেন বলেও তিনি জানান। ডেনিস ড্যাম্বয়েস আরও জানান, বিশ্বে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও প্রসারের জন্যই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রযুক্তির উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাজারে প্রভাব বিস্তারের বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়। সে কারণেই এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ‘দিগন্ত : ২০২০ গবেষণাগার থেকে বাজার’। মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বিভিন্ন খাতে তারা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। নতুন এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও বাড়বে। সেমিনারে উম্মুক্ত আলোচনায় প্রশিকার চেয়ারম্যান কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন এই উদ্যোগে নিরাপত্তার বিষয়েও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ ও ধর্মীয় মৌলবাদ অন্যতম প্রধার সমস্যা। এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিও বটে। এই খাতে এখনও ব্যাপক গবেষণা চালানো প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
×