ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:৪০, ২৩ এপ্রিল ২০১৫

ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের এক ক্যাফেতে নারীকর্মীর চুল ধরে টানার জন্য ক্ষমা চাইলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জন কি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মী তার ব্লগে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির কাছের একটি ক্যাফেতে কাজ করতেন তিনি। অনেকবারই প্রধানমন্ত্রী তার চুলের ঝুঁটি ধরে টেনেছেন। তাকে মানা করলেও তিনি শুনেননি। খবর বিবিসির। কির দফতর থেকে বুধবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়া হয়, ওই ক্যাফের কর্মীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জন কির সুসম্পর্কের জন্যই তিনি বার বার ওই ক্যাফেতে যেতেন। তার লঘু আচরণে কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে প্রধানমন্ত্রী দুঃখিত। ওই কর্মী ডেইলি ব্লগে লিখেছেন, গত বছরের নবেম্বরে নির্বাচনী প্রচারের সময় এই চুল টানা শুরু হয়। ওই নির্বাচনে জন কির দল ন্যাশনাল পার্টি পুনর্নির্বাচিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ক্যাফেতে আসতেন তখন তিনি তাকে এড়িয়ে চলতেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা কর্মীদের বলেছেন যে তিনি এই চুল টানা পছন্দ করেন না। তারপর শেষ পর্যন্ত তিনি মার্চে ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীকে চুল টানা বন্ধের অনুরোধ জানান। কিন্তু তিনি তা শুনেননি। শেষে ওই কর্মী কার্যত হুমকি দেন, আর একবার আমার চুল ধরে টানলে আমি আপনাকে পাল্টা ঘুষি মারব। আপনার আচরণ আমার পছন্দ নয়। এতেই টনক নড়ে প্রধানমন্ত্রীর। পাশের দোকান থেকে দু’বোতল দামী মদ কিনে এনে ওই কর্মীকে উপহার দেন তিনি এবং নিজের আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন। তবে এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী দল ও নাগরিকবৃন্দ। নিউজিল্যান্ডের বিরোধী দল গ্রিন পার্টির এক নেত্রী মাটিরিয়া তুরেই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কর্মকা-ে কর্মক্ষেত্রে হয়রানি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিহারে প্রবল ঝড়ে নিহত ৩২, আহত শতাধিক মাধিপুরা ও পুর্নিয়াসহ বিহারের তিন জেলায় মঙ্গলবার রাতে শক্তিশালী ঝড়ে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। এতে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং উঠতি ফসল বিনষ্ট হয়েছে। বিহার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুখ্য সচিব ভিয়াসজি সাংবাদিকদের জানান, পুর্নিয়া জেলা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, এছাড়া ঝড়ে মাধিপুরায় ছয় জন ও মধুবানিতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। পুর্নিয়া, মাধিপুরা, সাহারসা, মধুবানি, সমস্তিপুর ও দ্বারভাঙ্গায় ঝড়ের আঘাতে হাজার হাজার গাছপালা উপড়ে যায়। এসব জেলার অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং হাজার হাজার একর জমির উঠতি ফসল বিনষ্ট হয়। তিনি বলেন, ঝড়ের ফলে এসব জেলার রাস্তাঘাটের উপরে গাছপালা উপড়ে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। পাটনায় ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পরিচালক জানান, ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৬৫ কিলোমিটার। -এএফপি
×