ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শাবি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে প্রশাসনিক পদ থেকে ৩৫ শিক্ষকের পদত্যাগ

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২১ এপ্রিল ২০১৫

শাবি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে প্রশাসনিক পদ থেকে ৩৫ শিক্ষকের  পদত্যাগ

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভিসির পদত্যাগ দাবিতে ৩৫ শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করেছেন। জনপ্রিয় লেখক ড. জাফর ইকবালসহ একযোগে ৩৫ শিক্ষকের বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক মস্তাবুর রহমানের নেতৃত্বে ওই শিক্ষকরা পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগকারী শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেনÑ ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির ডিরেক্টর থেকে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সেন্টার ফর এক্সিলেন্সর ডিরেক্টর থেকে অধ্যাপক ইউনুস, কোয়ালিটি এ্যাসিওরেন্সের পরিচালক থেকে অধ্যাপক আউয়াল বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এমদাদুল হক, সহকারী প্রক্টর, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, পরিবহন প্রশাসক, শাবির তিনটি ছাত্র ও দুটি ছাত্রী হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্টসহ ৩৭ পদের ৩৫ জন। শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক মস্তাবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দাবি অনুযায়ী রবিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে ভিসি পদত্যাগ না করায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’ শাবির রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হক জানান, ৩৫ শিক্ষকের পদত্যাগপত্র পাওয়া গেছে। নিয়মানুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত, ১৩ এপ্রিল ভিসির সঙ্গে একাডেমিক ভবনের স্পেস বিষয়ক জটিলতা নিরসনের ব্যাপারে কথা বলতে যান পদার্থবিজ্ঞান ও জিওগ্রাফি এ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (জিইই) বিভাগের ১৯ শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে প্রফেসর ড. জাফর ইকবালের স্ত্রী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হকও উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন ভিসির সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় ভিসি শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ আনেন শিক্ষকরা। এরপরই তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ দুই শিক্ষক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক এবং জিইই বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ মোহাম্মদ শরাফউদ্দিন বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে থাকে। দুর্নীতি, অনিয়ম, দুর্ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে শিক্ষকরা ভিসির পদত্যাগ দাবি করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও একসঙ্গে ভিসির দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রথম দফা পদত্যাগকারী দু’জন শিক্ষকের পদত্যাগ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়ে সম্মানজনক সমাধানের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়ে সমাবেশ করেন। কিন্তু বিষয়টির সমাধানে কোন উদ্যোগ না নেয়ায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। শেষ পর্যন্ত ৩৫ শিক্ষক একযোগে তাঁদের প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
×