ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলের মধুপুর হাসপাতালে সাত দিন বিদ্যুত নেই

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২০ এপ্রিল ২০১৫

টাঙ্গাইলের মধুপুর  হাসপাতালে সাত দিন বিদ্যুত নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৯ এপ্রিল ॥ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১৩ এপ্রিল থেকে ৭ দিন যাবত বিদ্যুত নেই। এতে চিকিৎসা সেবায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ ও ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চলছে রশি টানাটানি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিদ্যুত বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ৫টি দফতরে চিঠি দিয়েছেন। জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫০ কেভি ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ নিজস্ব অর্থায়নে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে। ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ তাতে সংযোগ দিয়ে বিদ্যুত সরবরাহ দেয়। ওই ট্রান্সফরমার গত ১৩ এপ্রিল ভোরে বিকট শব্দে বিকল হয়ে পড়লে হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকা বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে। এতে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী, ভর্তি হওয়া রোগী, কর্তব্যরত চিকিৎসক, হাসপাতাল আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়ে। হাসপাতালের ইপিআই, প্যাথলোজি ও অন্য বিভাগের ফ্রিজগুলোতে ওষুধপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফ্রিজে ১১ সহস্র্রাধিক রোগীর জন্য রাখা বিভিন্ন টিকা, ভ্যাকসিনের ভ্যায়াল মজুদ আছে। প্যাথলোজিতে সংযোগ না থাকায় ফ্রিজে রাখা রি-এজেন্টসহ বিভিন্ন দামী ওষুধপত্র প্রয়োজনীয় তাপমাত্রার অভাবে নষ্ট হচ্ছে। মাইক্রোস্কোপ চলছে না। কালাজ্বরের টিকা নষ্ট হতে চলছে। এদিকে ভর্তি রোগীর চিকিৎসা সেবায় নানা সমস্যা হচ্ছে। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় টয়লেট ব্যবহারের ফলে দুর্গন্ধ সারা হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়ছে। স্বল্প আলোয় রাতের অনেক কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর রোগীরা মোমবাতি জ্বালিয়ে থাকছেন। চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বেলায়েত হোসেন জানান, বিদ্যুত সরবরাহের জন্য পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিকল হয়ে যাওয়া এ ট্রান্সফরমার বদলের দায়িত্ব পল্লী বিদ্যুত সমিতির নয় বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ এর মধুপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মোল্লা আবুল কালাম জানান, হাসপাতালের ওই ট্রান্সফরমার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর তাদের নিজস্ব অর্থায়নে স্থাপন করে। ওটি বিকল হলে পরিবর্তনের দায়িত্ব তাদের, আমাদের নয়। এক্ষেত্রে বিদ্যুত সরবরাহ শুধু আমাদের কাজ। আমরা জনস্বার্থে তাৎক্ষণিক এক ফেজে বিদ্যুত সরবরাহের ব্যবস্থা করে এসেছি। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেন জানান, এ অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সংশ্লিষ্টদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।
×