ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মজুদ থাকার পরও এলসির মাধ্যমে চাল আমদানি অর্থহীন

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৯ এপ্রিল ২০১৫

মজুদ থাকার পরও এলসির মাধ্যমে চাল আমদানি অর্থহীন

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ আমাদের দেশে খাদ্য মজুদ আছে। মিল মালিকদের চাল গোডাউনে মজুদ আছে। মজুদ থাকার কারণে বাজারে চাল বিক্রি করা যাচ্ছে না। সেখানে এলসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করার কোন অর্থই হয় না। শুধু এটাই নয়, সরকার জোর গলায় বলছে শ্রীলঙ্কায় চাল রফতানি করার কথা। আমরা যখন চাল রফতানিই করছি, তখন চাল আমদানি করে রফতানি করার দরকার কি? একদিকে আমদানি করছি অন্যদিকে রফতানি করছি। এই দ্বৈতনীতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি। শনিবার সকালে ঈশ্বরদী চাল কল মালিক গ্রুপের বার্ষিক সাধারণ সভা ও উন্নত ধান সিদ্ধকরণ বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অটো মেজর এ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুর রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন একই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী, জার্মানি কোম্পানি (জেআইজেড) বাংলাদেশের প্রোগাম ম্যানেজার ডেবিট হ্যানকক, পাবনা জেলা আ’লীগ নেতা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান মাহজেবিন শিরিন পিয়া, আ’লীগ সভাপতি আনিছুন্নবী বিশ্বাস, সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মাহাবুবুর রহমান, প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, আল-মোস্তাবির বিন আনাম। চাল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি ফজলুর রহমান মালিথার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ ম-ল, আলহাজ খায়রুল ইসলাম, আলহাজ মজিবর রহমান, জুলমত হায়দার। বিআইএএ সভাপতি সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে শোকজ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ইনডেন্টিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএস সিদ্দিকীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সংগঠনকে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নোটিসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইনডেন্টিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএএ) সভাপতি এমএস সিদ্দিকী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সংগঠনটির কার্যালয়কে ব্যক্তিগত অফিস হিসাবে ব্যবহার এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রবন্ধসমূহ প্রচারের জন্য অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। যা ট্রেড সংগঠনের পরিপন্থী। এ বিষয়ে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়েছে। হোয়াইটপার্ল ইন্টারন্যাশনাল নামে এক সদস্যের অভিযোগের ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই কারণ দর্শানো নোটিস জারি করেছে। পণ্যের সঠিক বর্ণনা ছাড়া ঋণপত্র খোলা যাবে না অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আমদানিনীতি আদেশ অনুযায়ী সঠিকভাবে পণ্যের এইচএস কোড উল্লেখ না করে ব্যাংক কর্তৃক কোন এলসি অথরাইজেশন ফরম ইস্যু ব ঋণপত্র ইস্যু করতে পারবে না। তবে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে জারিকৃত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পরও বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলো এ নির্দেশ সঠিকভাবে পরিপালন করছে না। বেনাপোল কাস্টমস হাউস কর্তৃক এমন অভিযোগের পর গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক পুনরায় এ সার্কুলারটি জারি করেছে এবং সকল অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা পালনের নির্দেশ দেয়া হয়। এতে বলা হয়, পণ্যের এইসএস কোড, সুনির্দিষ্ট নাম ও সঠিক বর্ণনা ছাড়া এখন থেকে কোন ডিলার ব্যাংক এলসি অথরাইজেশন ফরম ইস্যু বা ঋণপত্র ইস্যু করতে পারবে না।
×