ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় মোবাইল ফোনে প্রতারণার মূল হোতাসহ গ্রেফতার চার

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ১৮ এপ্রিল ২০১৫

নওগাঁয় মোবাইল ফোনে প্রতারণার মূল হোতাসহ গ্রেফতার চার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৭ এপ্রিল ॥ নওগাঁয় মোবাইল ফোনে প্রতারণা করে অর্থ আদায় চক্রের নারী গডফাদারসহ ৪ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে এই প্রতারকচক্রের মূল হোতা নওগাঁর ধামকুড়ি গ্রামের মোছাঃ রিনা বেগম (২৬) ও তার বর্তমান স্বামী শাকিল হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করে দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। শাকিল রাজশাহীর গোদাগাড়ির শেখেরপাড়ার আইনুল হকের পুত্র। বেশ কিছুদিন থেকে সে নওগাঁর ধামকুড়ি গ্রামের স্বামী পরিত্যক্ত রিমা বেগমকে বিয়ে করে সেখান থেকেই এই প্রতারক চক্র গড়ে তোলে। পুলিশ জানায়, নওগাঁ সোনালী ব্যাংকের সাবেক এজিএম আশীষ কুমার আচার্যকে মোবাইল ফোনে নিজেদের থানা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডেকে নিয়ে অস্ত্রের মুখে এবং মহিলাসহ অশ্লীল ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা আদায় করে। সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে আশীষ কুমারকে মোবাইলে নিজেকে নওগাঁ সদর থানার এসআই সুমন পরিচয় দিয়ে বলে, আপনার বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন রকম অভিযোগ আছে। এসব ঝামেলা থেকে বাঁচতে ১২ এপ্রিল বেলা ১১টার মধ্যে এসএ পরিবহন নওগাঁ শাখায় ০১৭০৪-৮৭১৬০১ নং মোবাইলে ৪ লাখ টাকা পাঠাবেন। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলা যাবে না। এবার বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি নওগাঁ সদর থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করেন। ১২ এপ্রিল আশীষ কুমার নাটোর এসএ পরিবহন থেকে অপরাধী কথিত সুমনের কথামতো মোছাঃ রিমির উল্লেখিত মোবাইল নম্বরে ১ লাখ টাকা পাঠিয়ে নওগাঁর পুলিশকে জানায়। পুলিশ ১৪ এপ্রিল রাত ৯টায় নওগাঁ এসএ পরিবহন থেকে ওই টাকা উত্তোলনের সময় আসামি মিনহাজ রহমান রুবেল (২৮) ও মোছাঃ ইছমত রহমান আনিকা রওফে রিমিকে (১৯) গ্রেফতার করে। রুবেল রানীনগর উপজেলার আকনা আকন্দপাড়ার নূরুল ইসলামের পুত্র ও রিমি নওগাঁ সদর হাসপাতাল সড়কের মসজিদ সংলগ্ন আসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মিজানুর রহমানের মেয়ে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী রিনা বেগম ও শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়। তারা পুলিশকে জানায়, এর আগে আশীষ কুমারের কাছে যে ৫ লাখ টাকা তারা আদায় করেছিল, তার ৩ লাখ টাকা রুবেল ও ২ লাখ টাকা রিমা বেগম ভাগ করে নিয়েছে। ঘটনাটি শহরে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
×