পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর এক মাসব্যাপী অভিযানে শত শত বিদেশী জঙ্গী পালিয়ে আফগানিস্তানে নিরাপদ স্থান খুঁজছে। এ জঙ্গীরা এখানে এ বসন্তের শুরুতে তালেবানের প্রতি সহায়তা যোগাচ্ছে এবং কয়েক বছরের মধ্যে অন্যতম মারাত্মক রক্তক্ষয়ী তৎপরতা শুরু করেছে। আফগান কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইনের।
কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বাদাখশানে এ বিদেশী যোদ্ধাদের ক্রমেই প্রভাব বৃদ্ধি এ সপ্তাহে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এখানে কয়েক শ’ তালেবান জঙ্গী বেশ কয়েকটি সেনাঘাঁটি দখল করে নিয়েছে এবং ১৮ সৈন্যকে হত্যা করেছে, আহত করেছে ১০ জনকে। এদের মধ্যে আটজনকে তারা শিরñেদ করেছে। বিদ্রোহীরা আটককৃত অস্ত্রসহ পার্বত্য এলাকায় পালিয়ে যাওয়ার পূর্বে এ অঞ্চলে এই প্রথম শিরñেদের ঘটনা ঘটালো। প্রাদেশিক গবর্নরের মুখপাত্র আহমদ নাবিদ ফ্রুতান বলেন, বিদেশী তালেবান যোদ্ধারা আমাদের সৈন্যদের শিরñেদ করেছে, স্থানীয় তালেবান যোদ্ধারা তা করেনি। স্থানীয় তালেবান এ ধরনের বর্বরতা অতীতে কখনও ঘটায়নি।
এ বিদেশী জঙ্গীদের নতুন অনুপ্রবেশ আফগান সংঘাতে এক প্রচ্ছন্ন নতুন মাত্রার যোগ হলো এবং যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দীর্ঘকালের যুদ্ধের অবসান ঘোষণার পর প্রথম বছরেই দেশটি আরও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার হুমকি দেখা দিল।
এ বিদেশী যোদ্ধাদের সম্ভবত আল কায়েদা ও তালেবানের উগ্র সহিংস পাকিস্তানী শাখার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র্র ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর অধিকাংশ সৈন্য আফগানিস্তান ত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশী যোদ্ধাদের জন্য এর মধ্যেই অবরুদ্ধ আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর আরও একটি পরীক্ষা হয়ে দেখা দেবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে জঙ্গীদের সীমান্ত অনুপ্রবেশে আফগান পার্লামেন্ট সদস্য ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আফগানরা তাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চালানোর জন্য দীর্ঘকাল ধরে অভিযুক্ত করে আসছে পাকিস্তানকে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: