ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যানসিটিকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ১৪ এপ্রিল ২০১৫

ম্যানসিটিকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা রেসে ফিরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রবিবার ওল্ডট্রাফোর্ডে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের মর্যাদার ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’তে রেড ডেভিলসদের হয়ে গোল করেন এ্যাশলে ইয়াং, মারোয়ান ফেলাইনি, জোয়ান মাতা ও ক্রিস স্মালিং। অতিথি সিটির হয়ে দুটি গোলই করেন আর্জেন্টাইন তারকা সার্জিও এ্যাগুয়েরো। দারুণ এই জয়ে শিরোপা লড়াইয়ে ফেরার পাশাপাশি লীগে টানা চার ম্যাচে সিটির কাছে হারের প্রতিশোধও নিয়েছে ম্যানইউ। আরেক ম্যাচে চেস ফেব্রিগাসের শেষ মুহূর্তের গোলে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপার পথে আরেক পা দিয়েছে চেলসি। বর্তমানে ৩১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৭৩ পয়েন্ট ভা-ারে দ্য ব্লুজদের। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে ম্যানইউ। এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আর্সেনাল। টানা দুই হারে আগের ৬১ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে অবস্থান বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটির। এ কারণে শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা আরও ফ্যাকাশে হয়েছে ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির দলের। আগের ম্যাচে পয়েন্ট তালিকার নিচের সারির দল ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে হার মেনেছিল ম্যানসিটি। এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। এবার এগিয়ে যেয়েও ইউনাইটেডের কাছে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে এ্যাগুয়েরো, টোরে, হার্ট, জাবালেটাদের। ম্যাচের শুরুটা অবশ্য আভাস দিচ্ছিল অন্য রকম কিছুর। অতিথি হিসেবে মাঠে নামা সিটি প্রথম দিকে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল ইউনাইটেডের রক্ষণব্যুহে। এক গোলে এগিয়েও যায় তারা। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে সিটিকে এগিয়ে দেন সার্জিও এ্যাগুয়েরো। ডেভিড সিলভার বাড়িয়ে দেয়া বলটি বাঁ পায়ের আলতো টোকায় ইউনাইটেডের জালে জড়াতে কোন ভুল করেননি এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। গোল হজম করেই যেন জেগে ওঠে স্বাগতিকরা। মুহুমুর্হু আক্রমণে অতিথিদের ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন রুনি, ফেলাইনি, মাতারা। ১৪ মিনিটে ফলও আসে। এ্যাশলে ইয়াং গোল করে সমতায় ফেরান ইউনাইটেডকে। এরপর ২৭ মিনিটে ম্যানইউকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন মারোয়ান ফেলাইনি। এই গোলের পেছনে দারুণ অবদান ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম গোলদাতা ইয়াংয়ের। তার বাড়িয়ে দেয়া দুর্দান্ত পাস থেকেই হেড দিয়ে গোল করেন ফেলাইনি। বিরতির পর অধিনায়ক ওয়েন রুনির সহায়তায় ইউনাইটেডকে তৃতীয় গোলটি উপহার দেন মাতা। গোলটি নিয়ে অবশ্য খানিকটা বিতর্ক আছে। গোলটি মাতা অফ সাইড থেকে করেছিলেন কি না, বিতর্কটা এ নিয়েই। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে সিটির পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ক্রিস স্মালিং। এই গোলটিও এসেছে হেড থেকে। ফ্রিকিকটি নিয়েছিলেন ইয়াং। নিজে গোল করার পাশাপাশি আরও দুটো গোলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ইয়াং। সিটির হয়ে আরও একটি গোল করেন এ্যাগুয়েরো। যা সিটির জার্সি গায়ে তার ১০০তম গোল। লীগের আরেক ম্যাচে ঘাম ঝরানো জয় পায় চেলসি কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে। রেলিগেশনের শঙ্কায় থাকা দলটি জোশে মরিনহোর শিষ্যদের আটকে রেখেছিল ৮৮ মিনিট পর্যন্ত। চেলসির জয়সূচক গোলটি করেন ফেব্রিগাস। নাকে চোট পাওয়ায় এ ম্যাচে মুখে বিশেষ এক ধরনের আঘাত প্রতিরোধক ‘মুখোশ’ পরে মাঠে নেমেছিলেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। চলমান মৌসুমে ব্লুজদের সামনে আরও সাত ম্যাচ। এক ম্যাচ কম খেলেই পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের চেয়ে সাত পয়েন্টে এগিয়ে আছে চেলসি। সর্বশেষ ২০০৯-১০ মৌসুমে ইংলিশ লীগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। এ মৌসুমে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আর কয়েকটা ম্যাচ শেষেই ব্লুজদের পঞ্চম শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে। আর এ স্বপ্নই দেখছেন ইডেন হ্যাজার্ড। তিনি বলেন, আমরা শিরোপা জয়ের কাছাকাছি পর্যায়ে আসলেও সামনে এখনও কয়েকটি কঠিন ম্যাচ আছে। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উদযাপনে মাততে মুখিয়ে আছি। কিন্তু এখনও তা পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। ঘাম ঝরানো জয়ের রাতে কিউপিআর সমর্থকদের আক্রশের শিকার হতে হয়েছে চেলসি ফুটবলারদের। খেলা শেষ হওয়া মাত্রই মাঠের দিকে চেলসি খেলোয়াড়দের লক্ষ্য করে জিনিসপত্র ছুড়ে মারতে থাকেন কিউপিআর সমর্থকরা। ব্রানিসøাভ ইভানোভিচের মাথায় এসে আঘাত করে একটি লাইটার। মাঝ মাঠের খেলোয়াড় নেমাঞ্জা মাটিচের গায়ে আঘাত করে একটি ধাতব মুদ্রা।
×