ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কঠিন বাধার মুখে পড়তে পারে চূড়ান্ত ইরান চুক্তি

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ১২ এপ্রিল ২০১৫

কঠিন বাধার মুখে পড়তে পারে চূড়ান্ত ইরান চুক্তি

ইরানের পরমাণু কর্মসূচীর ওপর আন্তর্জাতিক নজরদারি জোরদার করা তেহরান ও বড় বড় শক্তির মধ্যে কোন চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দেখা দিতে পারে। গত সপ্তাহে এক প্রাথমিক চুক্তি হলেও ওই বাধা রয়েই গেছে। খবর ইয়াহু নিউজের। প্রাথমিক চুক্তির আওতায় জাতিসংঘ পরিদর্শকরা ইরানের অবশিষ্ট পরমাণু কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের ‘বর্ধিত’ সুযোগ পাবেন বলে ইরান ও ওই সব শক্তি একমত হয়। পরিদর্শকরা ইরানের বড় বড় স্থাপনা আগে থেকেই পর্যবেক্ষণ করেন। কিন্তু পরিদর্শকরা ঠিক কী ধরনের নতুন সুযোগ পাবেন, তা আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে স্থির করা হবে। এর ফলে এক জটিল ও দুরূহ ইস্যুর মীমাংসা করার গুরুদায়িত্ব আলোচকদের ওপর পড়বে। পরমাণু কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে দেয়া ইরানী নেতাদের জন্য খুবই সংবেদনশীল বিষয়। ইরানী পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর উপযুক্ত নজরদারির সুযোগ আদায় কোন চূড়ান্ত চুক্তি নিশ্চিতভাবে কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির পক্ষে অপরিহার্য। চূড়ান্ত চুক্তিটি মেনে নিতে সন্দেহবাদী মার্কিন কংগ্রেস ও ইসরাইলকে রাজি করাতেই ওই সুযোগ আদায় অপরিহার্য। ৩০ জুনের মধ্যে ইরান ও বিশ্বশক্তিগুলোকে চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছতে হবে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচীর উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করলেও এর স্থাপনাগুলোর পর্যবেক্ষণের পদক্ষেপকে কখনও স্বাগত জানায়নি এবং অতীতে এর কোন কোন পরমাণু স্থাপনাকে গোপন রেখেছে। গত সপ্তাহের কাঠামো চুক্তিতে কী বলা হয়েছিল, তা নিয়ে খুবই ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা প্রকাশ পেয়েছে। এটি আগামী আলোচনা কঠিন হওয়ার আভাস বলে কূটনীতিক ও পরমাণু বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী বৃহস্পতিবার তাঁর দেশের পরমাণু কার্যক্রমের ওপর কোন অতিরিক্ত তদারকির সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। সামরিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করা যাবে না বলেও তিনি জানিয়ে দেন। এটি সুইজারল্যান্ডে গত সপ্তাহের দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত ‘তথ্য বিবরণী’র বিরোধী বলে মনে হয়। এ বিবরণীতে বলা হয়েছিল, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ইরানের সব পরমাণু কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার নিয়মিত সুযোগ পাবে। খামেনীর উক্তি আইএইএ ইরানের পরমাণু কাজকর্ম পর্যবেক্ষণের বর্ধিত সুযোগ পাবে বলে এক যৌথ ইরানিয়ান-ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিবৃতিরও বিরোধী। ইরানের সম্মতির প্রশ্নটি বাদ দিলেও দেশটির স্থাপনাগুলোতে বর্ধিতমাত্রায় পর্যবেক্ষণ চালানোর সাজসরঞ্জামের ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন হবে। সেজন্য আরও ক্যামেরা, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্যাটেলাইটের সাহায্যে নজরদারি ও অন্যান্য পদ্ধতির প্রয়োজন হবে। আইএইএকে এর ইরান টিমে আরও লোকবল ও সম্পদ যুক্ত করতেও হতে পারে।
×