ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগের হরতালবিরোধী মিছিলে জামায়াত শিবিরের হামলা

দুই বছরেও ফটিকছড়ি তাণ্ডবের বিচার হয়নি

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ১১ এপ্রিল ২০১৫

দুই বছরেও ফটিকছড়ি তাণ্ডবের বিচার হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ১০ এপ্রিল ॥ ফটিকছড়ি তা-বের দ্বিতীয় বার্ষিকী আজ ১১ এপ্রিল। এ দিন জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা ছাত্রলীগের হরতালবিরোধী গাড়ি মিছিলে মিথ্যা গুজব রটিয়ে পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ফারুক ইকবাল বিপুল (৩৯), মোঃ রুবেল (২২), মোঃ ফোরকান উদ্দিন (২৭) নামে তিন ছাত্রলীগের নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। লাঠিপেটা ও কুপিয়ে আহত করে ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িসহ ২০৬টি যানবাহন। সেই ভয়াল স্মৃতি স্মরণ করে এখনও অনেক পারিবারের লোকজন ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠেন। এ বীভৎস বর্বরোচিত হামলাকারীদের মধ্যে ১শ’ ৭৩ জনকে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হলেও সবাই জামিনে মুক্তি পায়। কিস্তু, ঘটনার দুই বছর পূর্ণ হলেও এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রধান হোতা তৌফিকসহ বেশিরভাগ হামলাকারী এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। দুই বছরেও বিচার না পেয়ে নিহত, আহত এবং পঙ্গুত্ববরণকারী ব্যক্তিদের স্বজনরা চোখের জল ফেলছেন। এ ঘটনায় ভূজপুর থানায় পৃথক ৫টি মামলা দায়ের হয়। পুলিশ ৩টি মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করলে বাদী পক্ষ নারাজি দেয়ায় মামলাগুলো এখন সিআইডিতে রয়েছে। তাছাড়া ভূজপুর থানার পক্ষে ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে দায়ের করা পৃথক ২টি মামলা এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। বর্বোরোচিত এ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য ফটিকছড়ি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে নিহতদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি, কোরান খতম, বিশেষ মোনাজাত, কালো পতাকা উত্তোলন এবং ঘটনাস্থল ভূজপুরে শোক সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভূজপুর থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, দায়েরকৃত ৫টি মামলার মধ্যে বিপুল, রুবেল, ফোরকান হত্যা মামলায় ৬শ’ ২৩ জন সুনির্দিষ্ট আসামির নাম উল্লেখ করে চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করা হলে বাদী পক্ষ নারাজি দেয়ায় মামলাগুলো সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। ফলে, আসামি গ্রেফতার করতে সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পৃথক দুটি মামলা ন্যায় বিচারের স্বার্থে সঠিকভাবে তদন্ত করে আদালতে প্রেরণ করা হবে যাতে কোন নিরীহ লোক হয়রানির শিকার না হয়। সেই জন্য রিপোর্ট পাঠাতে বিলম্ভ হচ্ছে। তদন্তে যাদের সঠিক নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
×