ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পড়শী ঘটকের খপ্পরে কিশোরী ॥ বাধায় রক্ষা

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১১ এপ্রিল ২০১৫

পড়শী ঘটকের খপ্পরে কিশোরী ॥ বাধায় রক্ষা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১০ এপ্রিল ॥ বাল্যবিয়ের ছোবল থেকে রক্ষা পেল সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী (১৩)। এ বয়সে তার কপাল পুড়ছিল। স্ত্রী-সন্তান থাকা এক বিয়ে পাগলার সঙ্গে বিয়ের প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। পড়শী ওয়ালিউল্লার স্ত্রী কথিত ঘটক মনিরা বেগম সেলাইয়ের কাজ শেখানোর কথা বলে তার বাড়িতে ডেকে কিশোরীকে নাকফুল পরিয়ে দেয়। বাড়িতে ফিরে কিশোরী বিষয়টি মাকে জানায়। এদের বাড়ি নীলগঞ্জের সলিমপুর গ্রামে। কিশোরীর মা-বাবা জানতে পেরে সেখানকার কিশোরী ক্লাব এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ নেটওয়ার্কের সহায়তা নেন। তারা বিয়েটি বন্ধ করতে সক্ষম হয়। কিশোরী ক্লাব নেত্রী মার্জিয়া, মনি, প্রতিরোধ নেটওয়ার্কের সভানেত্রী লাইলি বেগম ও উপজেলা জনকল্যাণ সংঘের সভাপতি জয়নাল আবেদীন ঘটক মনিরা বেগমের বাড়িতে গিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে চাপ প্রয়োগ করলে বাল্যবিয়ের কবল থেকে রক্ষা পায় এ কিশোরী। কিশোরীর মা জানান, তিনি বাড়িতে ছিলেন না। এ সুযোগে মনিরা তার মেয়ের এমন সর্বনাশ করতে যাচ্ছিল। মনিরাকে পাওয়া যায়নি। তবে কিশোরীর মা জানান, তার মেয়ে সুখেই থাকবে মনে করে বিয়ের এমন প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে মনিরার দাবি। জনশ্রুতি রয়েছে, সজন এবং প্রতিবেশীর মধ্যে দ্বন্দ্ব- সংঘাত লাগাতে পটিয়সী মনিরা বেগম গৃহস্থালীর পাশাপাশি ঘটকালির কাজ করে।
×