ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ১২ মেয়র ও ২৭৪ কাউন্সিলর প্রার্থী চূড়ান্ত

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ১০ এপ্রিল ২০১৫

চট্টগ্রামে ১২ মেয়র ও  ২৭৪ কাউন্সিলর  প্রার্থী চূড়ান্ত

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে কোন মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে ১২ মেয়র প্রার্থীর সকলেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রইলেন। সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন ৬১ জন। তবে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের ৪০ প্রার্থী শেষদিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় ভোটযুদ্ধে রয়েছেন ২১৩ প্রার্থী। ফলে ৪১ সাধারণ ও ১৪ সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মোট প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৪ জনে। আজ শুক্রবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এদিকে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের একক কাউন্সিলর প্রার্থী ঠিক করার ক্ষেত্রে বন্দর-পতেঙ্গা আসনের এমপি জোর খাটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক প্রার্থীর অভিযোগ তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক প্রত্যাহারপত্রে সই নেয়া হয়েছে। এ অভিযোগ তারা রিটার্নিং অফিসারের কাছে জানিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনেও যারা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন তারা হলেনÑ আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিএনপি সমর্থিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের প্রার্থী এম মনজুর আলম, জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ, ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, ইসলামিক ফ্রন্টের হোসাইন মোহাম্মদ মজিবুল হক, বিএনএফ-এর অধ্যাপক আরিফ মঈনউদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মোঃ সফিউল আলম, মোঃ আলাউদ্দিন, সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি ও ইসলামী আন্দোলনের ওয়ায়েজ হোসেন ভুঁইয়া। আজ ১০ এপ্রিল শুক্রবার নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে রিটার্নিং অফিসার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেবেন। শেষদিন বৃহস্পতিবার কোন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেননি। ফলে সংরক্ষিত ১৪টি নারী ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৬১ প্রার্থী। এদিকে, কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে এমএ লতিফ এমপি ও শামসুল হক চৌধুরী এমপির বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলেছেন অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী। রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ে এসে কোন কোন প্রার্থী মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন, তাদের কাছ থেকে প্রত্যাহার পত্রে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করা হয়েছে। কর্পোরেশনের ৩৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এনামুল হক মুনিরী অভিযোগ করেন, তিনি কোন পত্র জমা দেননি। কিন্তু তার পক্ষে প্রত্যাহারপত্র জমা পড়েছে বলে তিনি শুনেছেন। জোরপূর্বক সাক্ষর আদায় হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমি জানি না আমার প্রার্থিতা বহাল আছে কিনা। এমএ লতিফ এমপি ও শামসুল হক চৌধুরী এমপি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আসেন। তাঁরা ৩৬টি প্রত্যাহারপত্র জমা দেন বলে তাঁদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার মোঃ আবদুল বাতেন জানান, তিনি ৫টি প্রত্যাহারপত্র পেয়েছেন। এগুলোতে স্বাক্ষরসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ঠিক আছে বলে জানান তিনি। একজনের পক্ষে অন্য কেউ প্রত্যাহারপত্র জমা দিতে পারেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রত্যাহারপত্র যে কেউ জমা দিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে স্বাক্ষরসহ আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হয়। এমপি লতিফ অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, দলীয়ভাবে কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে অনেকেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। আমি রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ে এসেছি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থীরা প্রত্যাহার পত্র জমা দিচ্ছেন কিনা তা দেখতে। কোন ধরনের জোর খাটানোর অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
×