ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নতুন ব্যাংকগুলোকে আগ্রাসী ব্যাংকিং না করার পরামর্শ

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৬ এপ্রিল ২০১৫

নতুন ব্যাংকগুলোকে আগ্রাসী ব্যাংকিং না করার পরামর্শ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে অর্থায়ন যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক গবর্নর ড. আতিউর রহমান। একইসঙ্গে নতুন ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী ব্যাংকিং বন্ধে প্রধান নির্বাহীদের সতর্ক করেছেন তিনি। রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে নতুন ৯ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ সতর্ক বার্তা দেন। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিক বার্ষিক প্রতিবেদনের ওপর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নতুন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা ছাড়াও ডেপুটি গবর্নর এসকে সুর চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালনক মোহাম্মদ নওশাদ আলী চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক রবিউল হাসানসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নূরুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, ব্যবসা পরিচালনার বিভিন্ন আর্থিকসূচক নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। যে সব ব্যাংকের আর্থিকসূচক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃষ্টিতে অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া নতুন ব্যাংকগুলোকে আগ্রাসী ব্যাংকিং থেকে দূরে থাকার সতর্কবার্তা দিয়েছেন গবর্নর। মধুমতি ব্যাংকের এমডি মিজানুর রহমান বলেন, বৈঠকে নিয়মের মধ্যে থেকে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নতুন ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন গবর্নর। এ সব ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘন করে আগ্রাসী ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বৈঠকে নতুন ব্যাংকগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করাসহ সার্বিক ব্যবসার উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা যথাযথ পরিপালনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এছাড়া উৎপাদনশীল খাতে বিশেষ করে কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম বেগবান করতে এমডিদের তাগাদা দেয়া হয়েছে। প্রবাসী মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকগুলোকে রেমিট্যান্স আহরণ কার্যক্রম জোরদারের ওপর নজর দিতে পরামর্শ দেন গবর্নর। বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, যাত্রা শুরুর দুই বছরের বেশি সময় পরও নতুন ব্যাংকগুলোর ব্যাংকের ব্যবসা পরিচালনার বেশির ভাগ নিম্নমুখী রয়েছে। ব্যাংকগুলো সন্তোষজনকভাবে ঋণ বিতরণ ও আমানত সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কৃষি ঋণ বিতরণ, বিদেশী বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স আহরণেও পিছিয়ে পড়েছে। অন্যদিকে নতুন শাখা খোলা ও জনবল নিয়োগ করা থেমে নেই। এ সব বিষয় নিয়ে নতুন ব্যাংকগুলোর এমডিদের ওপর ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন গবর্নর।
×