স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ গলাচিপা, দশমিনা, রাঙ্গাবালীসহ পটুয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চল ইলিশশূন্য হয়ে পড়েছে। পহেলা বৈশাখে শহুরে মানুষের পান্তা ইলিশের চাহিদা মেটাতে উপকূল থেকে রীতিমতো ইলিশ উধাও হয়ে গেছে। আড়ত-গদি, হাট-বাজার কোথাও মিলছে না ইলিশ। এমনকি দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি দাম দিয়েও ক্রেতারা ইলিশের নাগাল পাচ্ছে না। সাগর থেকেই সরাসরি মহাজন-আড়তদাররা ঢাকাসহ বড় বড় মোকামগুলোতে ইলিশ চালান করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি আড়ত ঘুরে এবং জেলেদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
পটুয়াখালীর এ তিন উপজেলা বরাবরই ইলিশের জন্য খ্যাত। এ তিন উপজেলায় ইলিশের ছোট-বড় শতাধিক আড়ত রয়েছে। বছরের বারো মাসই কমবেশি আড়তগুলোতে ইলিশ পাওয়া যায়। কিন্তু গত সপ্তাহ খানেক ধরে আড়তগুলোতে কোন ইলিশ আসছে না। সাগরপাড়ের চরমোন্তাজ বাজারের ইলিশ ব্যবসায়ী রুহুল আমিন জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকায় ইলিশের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। ঢাকা থেকে বেশ কয়েকজন বড় মাপের মহাজন-আড়তদার চরমোন্তাজ এসে ঘাঁটি গেড়েছে। তারা সরাসরি জেলেদের সঙ্গে কথা বলছে এবং জেলেদের দাদন দিয়ে সাগরে নামিয়েছে। ফলে সাগর থেকেই ইলিশ চলে যাচ্ছে শহরে। একই বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী আজাদ সাথী জানান, এমনিতে এ মুহূর্তে তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। তারওপরে চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়ে গেছে তিন-চারগুণ। মৌডুবি, বাহেরচর, কোড়ালিয়া, চরকাজল, চরবিশ্বাসসহ বেশ কয়েকটি মাছের ঘাটে খোঁজ নিয়ে একই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৬-৭ দিন আগেও এক কেজি থেকে তদুর্ধ ওজনের প্রতি কেজি ইলিশের দাম ছিল ১২-১৪শ’ টাকা। এখন একই সাইজের মাছ সাগরেই বিক্রি হচ্ছে ২৭-২৮শ’ টাকা। এক কেজির নিচে তবে ৬শ’ গ্রামের ওপরের ইলিশ ৮-৯শ’ টাকা থেকে লাফিয়ে ১৫-১৬শ’ টাকায় পৌঁছেছে। গলাচিপা মৎস্য আড়ত পট্টির আড়তদার মোঃ ইমন জানান, পুঁটি সাইজের ইলিশও ঢাকায় চালান হচ্ছে। ফলে এলাকায় ইলিশের সঙ্কট তীব্র আকার নিয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: