ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মমতাজ লতিফ

জঙ্গীরা প্রগতিশীলদের খুন করছে

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ৬ এপ্রিল ২০১৫

জঙ্গীরা প্রগতিশীলদের খুন করছে

প্রধানমন্ত্রী, এই অগ্রহণযোগ্য অনাচার- জঙ্গীরা খুন করে জামিনে বের হয়ে আবার খুন করবেÑ লাখো হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, আদিবাসীর রক্তে ভেজা, ত্যাগের মহিমায় অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে এটা চলতে পারে না। মৌলবাদী জঙ্গীদের প্রধান টার্গেট আপনি, বঙ্গবন্ধুকন্যা, যিনি অসীম ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ, জঙ্গীমুক্ত, সব ধর্মের মানুষের স্বদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনি খুব ভাল করে অবগত আছেন যে, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের জন্মের শত্রু, যারা একাত্তরে আঁতুড় ঘরেই বাংলাদেশকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল, সেই একাত্তরে যুদ্ধাপরাধীরা ও তাদের দল জামায়াতে ইসলামী হচ্ছে এ জাতির প্রধান শত্রু। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে রক্ষায় সরকারকে কতগুলো কঠিন কিন্তু শাসকের জন্য সম্ভবপর কাজ সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমে সরকারকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, উদার বিজ্ঞান ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিতে শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে সুরক্ষা দিতে হবে। এরাই আমাদের বিশ্বস্ত মিত্র। জঙ্গী-মৌলবাদী অন্ধকারের শক্তি খালেদা-তারেকের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে-সহযোগিতায়-উস্কানিতে একের পর এক চাপাতির কোপে এই তরুণদের হত্যা করে তারা নাকি তাদের হুজুরের নির্দেশে ‘ইমানি’ দায়িত্ব পালন করছে। আর উল্টোদিকে, আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এই তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের হাতে মুক্তিযুদ্ধের দেশকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব প্রদান করেছি। তাদের এভাবে জঙ্গীদের হাতে খুন হতে আমরা দিতে পারি না। শুধু আমরা জনগণই নই, মুক্তিযুদ্ধপন্থী সরকারের জন্য অতন্দ্র প্রহরীস্বরূপ এই নতুন তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞানসমৃদ্ধ তরুণ, যারা আধুনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে- ফেসবুক, টুইটার, ব্লগে নানা যুক্তিপূর্ণ মত, মন্তব্য লিখে জঙ্গী দেশবিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ওরা মসি দিয়ে লড়াই করছে অথচ জঙ্গীরা অসি দিয়ে তাদের হত্যা করছে। এ তো কোন যুক্তিতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এমন কি জামায়াতী ধর্মজীবীরা কি বলতে পারবে যে, মানুষ খুন করে বেহেশতে যাওয়া যাবে? একমাত্র আক্রান্ত ব্যক্তি আত্মরক্ষায় আক্রমণকারীকে প্রত্যাঘাত করতে গিয়ে হত্যা করতে পারে- এটিই তো আইন বা ধর্ম নির্দেশিত ব্যাখ্যা। এর ওপর, ওহাবীবাদী কট্টর রক্ষণশীল মুসলিম, বিশেষত সুন্নি মুসলিমরা জিহাদী ইসলামের জন্ম দিয়ে শান্তির দূত হিসেবে ইসলাম ধর্ম প্রচারের বিরুদ্ধে জঙ্গী-জিহাদী, ইসলামী দল-পন্থীদের জন্ম দিয়েছে আইএস এবং প্রথমে মূর্খ, খুনী, আল কায়েদা, তালেবান ও পরে আফ্রিকার দেশে দেশে শান্তিপূর্ণ ইসলামের পরিবর্তে উগ্র, খুনী, উন্মত্ত জিহাদী ইসলামী দলÑ বোকো হারাম, আল শাবাব, তারপর ইয়েমেনে আল-নূসরা, আরও পরে, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আইএস। এখন কথা হচ্ছে- কেন, কারা ইসলাম বা মুসলমানদের কিছুতেই শান্তিপূর্ণ, ধর্মনিরপেক্ষ, সবধর্মের প্রতি সহনশীল সম্প্রদায় হিসেবে অবস্থান করতে না দিয়ে সব মুসলিমপ্রধান দেশে দেশে এইসব জঙ্গী জিহাদীর জন্ম দিয়েছে? প্রশ্ন ওঠে, কাদের স্বার্থ রক্ষিত হয় যদি সব মুসলিমপ্রধান দেশে মুসলিমরা জঙ্গী জিহাদীতে পরিণত হয় এবং মারামারি কাটাকাটি, গোত্রে গোত্রে সহিংসতা, হত্যাকা- পরিচালনা হতে থাকে এবং ক্রমশই যা বাড়তে থাকে? কারা আসলে মধ্যপ্রাচ্যে বা আফ্রিকা, এশিয়ার খনিজ সম্পদের ওপর তীক্ষè নজর রাখছে? পশ্চিমা শক্তিগুলো যারা অন্তত দুই শ’ বছর আগে ভূগর্ভ থেকে কয়লা, তেল, গ্যাস, মণিমুক্তা, হীরা আহরণ করার কৌশল, যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করে উপনিবেশগুলো থেকে এসব সম্পদ আহরণ করে অতি সমৃদ্ধ যন্ত্র ও শিল্প বাণিজ্য-ভিত্তিক সভ্যতার নেতৃত্ব দিয়েছে। এখন এই নেতৃত্ব ওরা সহজে মাঝারি-উন্নত দেশগুলো ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে গ্রহণ করতে দিতে চাচ্ছে না। এরা নিজেদের উন্নয়ন নিজেরা সংঘটন করবে, পশ্চিমা, উন্নত, প্রভু দেশগুলোর মুখাপেক্ষী আর থাকবে না- এটা প্রভুদের পক্ষে মেনে নেয়া অসম্ভব। সেজন্য পশ্চিমা দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে গণতন্ত্র রফতানির নামে অস্ত্র রফতানি করছে। জন্ম নিচ্ছে নতুন নতুন মুসলিম জঙ্গী জিহাদী গোষ্ঠী। একদল অতি ব্যবহারে কলঙ্কিত হতেই, আবার নতুন নামে নতুন দলের জন্ম দেয়া হচ্ছে। সিরিয়া সরকার বলেছে- পশ্চিমা হামলার পরই আইএস-এর জন্ম হয়েছে এবং এ দলটি দ্রুত ইরাক-সিরিয়ার বড় অঞ্চল দখল করে সব মুসলিম রাষ্ট্রের জন্যই হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। দেখা যাচ্ছেÑ এই আইএস হোক বা আল-নূসরা হোক, বোকো হারাম বা আল শাবাব হোক, তালেবান-আল কায়েদা কিংবা আইএসআইএস অথবা পাকিস্তানী গোয়েন্দা আইএসআই হোক, সিআইএ হোক বা ইন্দোনেশিয়ার জামা ইসলামিয়া হোক অথবা পাকিস্তান-বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী হোক, এমন কি ২০০১-থেকে দেখা বিএনপির খালেদা-তারেক পর্যন্ত যেসব জঙ্গী দল ও জঙ্গীমিত্র-জঙ্গী সহায়ক নেতা-নেত্রীর উত্থান হয়েছে প্রতিটি মুসলিম রাষ্ট্রে, এদের সবাই একই লক্ষ্যে কাজ করছেÑ মুসলিম দেশের ধর্মনিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক দল ও নেতা-নেত্রীদের ধ্বংস করা! এর পাশাপাশি এসব দেশে ধর্মনিরপেক্ষ, বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার অনুসারী ব্লগ, ফেসবুক, টুইটারের মতো আন্তর্জাতিক মত প্রকাশের মাধ্যম ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শের পক্ষে, অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন, কট্টর ধর্মান্ধতা ও জিহাদী মতবাদবিরোধী লেখক-ব্লগাররাও হয়েছে এদের হামলার লক্ষ্য ও হত্যাকা-ের শিকার। পৃথিবীজুড়ে বর্তমানে যে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চলছে, সরকার পতন করা হচ্ছে, দেশে দেশে মুসলিম গোষ্ঠীগুলো একে-অপরের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে রত, প্রতিদিন নিহত হচ্ছে হাজার হাজার নিরীহ নারী-পুরুষ-শিশু, যাদের মানবাধিকারের প্রশ্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রভৃতি কোন সংস্থাকে বিচলিত করে না। আশ্চর্যের নয় কি? অথচ এদের বাংলাদেশের জঙ্গীর কিরিচে দ্বারা নিহত অভিজিত ও ওয়াশিকুরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। একি বাংলাদেশের বর্তমান দেশপ্রেমিক সরকারের প্রতি এবং এ সরকারের নিরাপত্তাবাহিনীর দুর্বলতার প্রতি সমালোচনা? সরকারের এত বাধার মধ্যেও অব্যাহতভাবে শক্ত হাতে উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখার ফলে পশ্চিমা সরকারগুলো সরকারকে সমালোচনা করার ইস্যু খুঁজতে যখন ব্রতী, তখন স্বাভাবিক ও কিছুটা সঙ্গত কারণে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, বৈজ্ঞানিক তত্ত্বে বিশ্বাসী ব্লগারদের হত্যাকাণ্ডকে নিন্দা ও সমালোচনায় ঝাঁপিয়ে পড়বে, এটা অস্বাভাবিক নয়। অথচ, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে এফবিআই তদন্ত চালাচ্ছে, খুনের পরিকল্পনাকারী বিদেশে পালিয়ে আছে। তা হলে এসবের অর্থ কি? চোরকে চুরি করতে বলে গৃহস্থকে সজাগ থাকতে বলার মতো দ্বিমুখী আচরণে অভ্যস্ত পশ্চিমা গোয়েন্দা ও সরকারগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিয়ে এক মরণ খেলা খেলছে না কি? ফিরে আসি জঙ্গীদের হাতে ব্লগারদের খুন হওয়া এবং ঐ জঙ্গীদের জামিন লাভের প্রসঙ্গে। জনগণের মনে আশঙ্কা হয়, একই সঙ্গে প্রশ্ন ওঠেÑ বার বার পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে জঙ্গীদের, খুনীদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠাচ্ছে, বার বার আইনজীবীরা ঐ জঙ্গীদের জামিন দিয়ে আবার ঐ একইভাবে আরেক ব্লগারকে হত্যা করার সুযোগ দিচ্ছে- কোন্ আইনে? জঙ্গী হত্যাকারীরা এত সহজে যদি জামিন পায়, তাহলে তো আমরা, ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি, মুক্তিযুদ্ধপন্থী দল ও চেতনাধারী ব্যক্তিরা, তরুণ প্রজন্ম, এমন কি সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, সরকারের প্রগতিশীল মন্ত্রী-সাংসদ, কেউই জঙ্গীদের ধারালো চাপাতির কোপ থেকে রেহাই পাব না। প্রধানমন্ত্রী, দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের রিভিউ আপীলগুলো শেষ করুন এবং জঙ্গী সৃষ্টিকারী জামায়াতকে নিষিদ্ধ করুন। নতুবা, এত দেরি হয়ে যাবে যে, পরে আফসোস করার মানুষও থাকবে না। সময়ের কাজ সময়ে না করার, সাপকে বিশ্বাস করার খেসারত দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী, বর্তমানে জেলা থেকে যেসব যুদ্ধাপরাধীর অপরাধ তদন্তের পর বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে আসছে, তাদের অপরাধের বিবরণ পড়ে গা শিউরে ওঠে এবং বোঝা যায়, এরা কেউই নিজামী-মুজাহিদের চেয়ে কম ঘৃণ্য অপরাধ করেনি! এরা বড় বড় গণহত্যা, ধর্ষণ, ধর্মান্তর, লুটপাট করেছে। সুতরাং, ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা কোনমতে কমাবেন না। কমালে সেটি হবে জামায়াতবান্ধব, যুদ্ধাপরাধীবান্ধব নীতি এবং খাল কেটে যেন আমরা কুমির না আনি- সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। একই জেলায়, গ্রামে ’৭১-এর লুণ্ঠিত সম্পদে এই যুদ্ধাপরাধীরা ধনী ও মাতব্বর হয়েছে- এদের জন্যই সংখ্যালঘু হিন্দু বার বার ভিটি-ভূমি হারাচ্ছে, এদের বিচার করা অবশ্য কর্তব্য। প্রধানমন্ত্রী, দেখেছেন বরগুনায় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের নেতাদের দ্বারা বিগত এক দশক যাবত ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ হিন্দু পরিবারের ৯০ নারী-পুরুষ-তরুণ-শিশু এদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে! এর অর্থ কি? ’৭১- এর স্বাধীন দেশ থেকে হিন্দুরা বার বার বিতাড়িত হবে কেন? এটি আমাদের জন্য গভীর লজ্জার! যখন মুক্তিযুদ্ধপন্থী সরকার ক্ষমতায় আছে! এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। বিদেশে এটি একটি বড় সমালোচনার ইস্যুÑ তা মনে রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী, আপনাকে ভুল পথে চালনার জন্য বহু মানুষ আপনার চারপাশে ঘুরঘুর করছে। আপনি দৃঢ় থেকে বিএনপি নেত্রী খালেদাকে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারার অপরাধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারে সোপর্দ করবেন, যাতে অন্তত পেট্রোলবোমায় নিহতদের এবং আহতদের স্বজনরা বিচার পেয়ে মানসিকভাবে শান্তি লাভ করে। আমরা তো মৃতকে বাঁচিয়ে তুলতে পারব না। কিন্তু মৃতের আহতের স্বজনদের বিচার তো দিতে পারবÑ যদি আমরা দৃঢ়ভাবে তা ইচ্ছা করি। সেটিই তো আইনের শাসন! প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে বলছিÑ দ্রুত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, যুদ্ধাপরাধীদের আপীলগুলোর নিষ্পত্তি, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, শাহ কিবরিয়া হত্যা মামলা, বিডিআর-বিদ্রোহের আপীল সম্পন্ন করে জাতিকে জঙ্গী উত্থানের কয়েকটি উৎস বন্ধ করে নিশ্চিন্ত করুন। অকারণে তেঁতুল হুজুরের দলকে তোষামোদ করার প্রয়োজন নেই। ওরাও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী! ওরা আপনার মিত্র নয়, কখনও মিত্র হবে না। আপনার ও আপনার সরকারের মিত্র হচ্ছেÑ ধর্মনিরপেক্ষ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তথ্যপ্রযুক্তি বিজ্ঞানের জ্ঞানসমৃদ্ধ তরুণ প্রজন্ম। আইটি আইনটি ভুল, এটি এদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে, অথচ জঙ্গীদের বিরুদ্ধে নয় কেন? ভারতে ইন্টারনেটে যে কোন মুক্তমত, মন্তব্য, বিতর্ককে নিষিদ্ধ করে তৈরি করা আইনটিকে বাক স্বাধীনতার বিরোধিতা বলে নিষিদ্ধ করেছে। লেখক : শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক
×