ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলী ও তালতলীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশির ভাগ ঘর পরিত্যক্ত

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৪ এপ্রিল ২০১৫

আমতলী ও তালতলীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশির ভাগ ঘর পরিত্যক্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৩ এপ্রিল ॥ বরগুনার আমতলী ও তালতলীর অধিকাংশ আশ্রয়ণের ঘর কোন কাজে আসছে না। আশ্রয়হীন হতদরিদ্র পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে গড়ে তোলা এ আশ্রয়ণে তারা থাকছে না। অধিকাংশ আশ্রয়ণের ব্যারাক পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এতে চলছে মস্তানদের আড্ডা এবং অসামাজিক কাজ। আমতলী ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নদী ভাঙ্গনে গৃহহারা ও হতদরিদ্র পরিবারগুলো আবাসনের জন্য ৯১ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আবাসন প্রকল্পের অধিনে গৃহ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ১৭টি আশ্রয়ণ প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে আমতলীতে ৮ ও তালতলীতে ৯টি। এ আশ্রয়ণে ২৯৮টি ব্যারাক হাউসে ১৫১০টি ঘর রয়েছে। বর্তমানে এ ব্যারাকে ৫৭৭টি পরিবারে বসবাস করছে। আমতলীর ১৬৭ টি ব্যারাক হাউসের ৬৮০ টি ঘরে ৩৪৩ পরিবার। তালতলীর ১৩১ ব্যারাক হাউসের ৮৩০টি ঘরে ২৩৪ পরিবার রয়েছে। শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, তালতলীর ছোটবগী ইউনিয়নের গাবতলী আশ্রয়ণে ১২০ পরিবার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৫০টি। বড়বগী ইউনিয়নের আমখোলা আশ্রয়ণে ৮০টি পরিবারের স্থলে রয়েছে মাত্র ২০টি। আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা আশ্রয়ণে ৩০টি পরিবার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ১টি। গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া আশ্রয়ণে কোন পরিবার নেই। আশ্রয়ণের চারপাশে রয়েছে ইটের খোয়া ও বালু। দরজা জানালা ভাঙ্গা। ঘরের মধ্যে রয়েছে সিগারেটের খোসা। অনেক ব্যারাকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। যে কয়টি গভীর নলকূপ রয়েছে তা অকেজো। পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলেও তা অপরিষ্কার। ব্যারাকে যাতায়াতের জন্য কোন সংযোগ রাস্তা নেই। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আবাসনগুলোতে কোন পরিবার বসবাস না করায় সন্ধ্যার পরে মস্তানদের আড্ডা বসে। বিভিন্ন সরকারের আমলে অপরিকল্পিত ও কাজের অনিয়মের কারণে অধিকাংশ ঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আঠারগাছিয়া চাউলা আশ্রয়ণের রণজিৎ জানান, ‘এ আশ্রয়ণে মুই এ্যালহা থাহি। অনেক ঘর পইড়া রইছে কেউ থাহে না।
×