ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হুমকিতে গোদাগাড়ীর ১ গ্রাম

নদীর মাটি ইটভাঁটিতে

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৪ এপ্রিল ২০১৫

নদীর মাটি ইটভাঁটিতে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গাঙোবাড়ি এলাকায় নদী থেকে মাটি কেটে ইটভাঁটিতে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের আশঙ্কার মধ্যে পড়েছে আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নদীর মাটিকাটা বন্ধে তারা শুরু থেকেই প্রতিবাদ করে আসছেন। কিন্তু প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছে। অবৈধভাবে এ মাটি কাটা বন্ধে অভিযোগের পরও ব্যবস্থাও নিচ্ছে না প্রশাসন। অভিযোগে জানা যায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন মহানন্দার পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ওই এলাকায় কমপক্ষে ২০ ফুট গভীর করে নদী তীরবর্তী মাটি কেটে ইটভাঁটিতে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের একটি চক্র। গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ও মাইফুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি নদীর মাটি বিক্রির হোতা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন ভোর ৩টা থেকে একটানা মাটি কাটা চলে বেলা ৩টা পর্যন্ত। ১৭৫ টাকা ট্রলি হিসাবে এসব মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটের ভাঁটিতে। এলাকাবাসী জানায়, নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর তারা সেখানে ধানসহ নানা ফসলের আবাদ করেন। তবে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাঁটিতে। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে নদীপাড়ের গাঙোবাড়ি, সুলতানগঞ্জ, সারেংপুর ও কবুতরপাড়াসহ অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষের মধ্যে। কোন নিয়ম না মেনে অবাধে মাটি কাটায় ভরা মওসুমে এলাকায় তীব্র নদী ভাঙনের আশঙ্কা করছেন এসব গ্রামের অধিবাসীরা। গাঙোবাড়ি এলাকার কৃষক আব্দুল জাব্বার অভিযোগ করেন, নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কবুতরপাড়া বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে। ফলে গোটা রাস্তাটি এখন হাঁটুসমান ধুলোয় ভরে উঠেছে। তিনি জানান মাটি কাটা বন্ধ না হলে বর্ষা মওসুমে বেড়িবাঁধের পুরোটিই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর বেড়িবাঁধ ভাঙলে কয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদসহ অন্তত ১০টি গ্রাম হুমিকের মুখে পড়বে। অভিযুক্ত মাইফুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইয়ের চর অনুপনগর এলাকার বেশ কয়েকজন এভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। তাঁদের দেখে তিনিও কাটছেন। তবে এতে গ্রামবাসীর খুব বেশি অসুবিধা হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি তিনি জানতেন না। খোঁজ নিয়ে শিগগির অবৈধ এ মাটি কাটা বন্ধে তিনি পদক্ষেপ নেবেন।
×