ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট সম্পর্ক নিয়ে চিন্তিত নন পাপন

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৩ এপ্রিল ২০১৫

বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট সম্পর্ক নিয়ে চিন্তিত নন পাপন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আইসিসির (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা) সভাপতি পদ থেকে সরে গেছেন। পদ ছেড়ে দেয়ার আগে আইসিসির নীতি নিয়ে বিষদগার করেছেন বুধবার আইসিসির সাবেক সভাপতি হয়ে যাওয়া আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেই বিষদগারে আইসিসির চেয়ারম্যান ও সাবেক বিসিসিআই (বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া) সভাপতি নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনকেও ধুয়ে ফেলেছেন। এতে করে বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট সম্পর্ক নিয়ে ভাবনা শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন চিন্তার কোন কারণ দেখছেন না। আইসিসি সভাপতির পদ থেকে আ হ ম মুস্তফা কামালের পদত্যাগকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন বিসিবি সভাপতি। বিশ্বকাপ শেষে ঢাকায় ফিরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পাপন। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দু’দেশের সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলবে না।’ বিশ্বকাপের ফাইনাল হয় ২৯ মার্চ। আগেরদিন হঠাৎ ডাকা জরুরী আইসিসির সভায় ছিলেন না বিসিবি সভাপতি। যেখানে আ হ ম মুস্তফা কামালকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ফাইনালের আগে একটা মিটিং হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমি মিটিংয়ে ছিলাম না। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় চেয়ারম্যান বিশ্বকাপ জয়ী দলকে শিরোপা দেবে। এটা ব্যতিক্রম আইসিসিতে। এটা দুর্ভাগ্যজনকও বটে। আমি জেনেছি কামাল সাহেব পদত্যাগ করেছেন। পুরো ঘটনাই অনাকাক্সিক্ষত। এটা না হলেই ভাল হতো।’ পাপন জানিয়েছেন, আইসিসির সিইও ডেভ রিচার্ডসন তাকে বলেছেন কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের বল বাই বল তদন্ত করা হবে এবং তারা পরে বিসিবিকে জানাবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমি কোন কারণ খুঁজে পাই না বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট সম্পর্ক অবনতি হওয়ার। এটা দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুই না। আমরা কোন নির্দিষ্ট দেশ সম্পর্কে অভিযোগ করিনি। আমরা আম্পায়ারিং নিয়ে কথা বলেছি। আমরা বলেছি, প্রযুক্তি থাকতেও তা ব্যবহার হয়নি। এটা কয়েকবার হয়েছে।’ আ হ ম মুস্তফা কামালের পরিবর্তে কাকে সভাপতি বানানো হবে এ বিষয়টি ১৫ ও ১৬ এপ্রিল আইসিসির সভায় আলোচনা হবে। এমনও হতে পারে তার মেয়াদের বাকি তিন মাস বাংলাদেশ থেকেই কেউ সভাপতি থাকতে পারেন। তেমন কিছু হলে আগের মতোই সরকারের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান পাপন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনও নেয়া হবে। আইসিসির সভাপতি পদটা অলঙ্কারিক। এটা সবারই জানা, তাই পাপন বলছেন, ‘আগামী তিন মাস কে সভাপতি থাকবেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সভাপতির একটাই সম্মান ছিল শিরোপা দেয়া। যেটা দিতে দেয়া হয়নি।’ কামাল কা-ে এখন জুনে যে বাংলাদেশ সফর করবে ভারত, সেটা নিয়েও একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছে। বিসিসিআইয়ে শ্রীনিবাসনের পক্ষ চাচ্ছে সফরটি না হোক। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পাপনত সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কিছুই দেখছেন না। এখন দেখা যাক, শেষপর্যন্ত কী হয়।
×