ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আইপিএল খেলতে যাওয়ার আগে সাকিব আল হাসান

‘আমরাই পাকিস্তানের চেয়ে ফেবারিট’

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৩ এপ্রিল ২০১৫

‘আমরাই পাকিস্তানের চেয়ে ফেবারিট’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ানডেতে মিসবাহ উল হক নেই। থাকছেন না শহীদ আফ্রিদিও। বিশ্বকাপে যে ব্যর্থ নৈপুণ্য পাকিস্তানের, তাতে দলটি এ মুহূর্তে ভঙ্গুরই। এই দলটির বিপক্ষে ১৭ এপ্রিল থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর সেই সিরিজে পাকিস্তানের চেয়ে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখানো বাংলাদেশই ফেবারিট। খেলাটি হবে বাংলাদেশে। আর তাই সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে আইপিএল খেলতে যাওয়া সাকিবের মতে, ‘আমরাই এবার পাকিস্তানের চেয়ে ফেবারিট।’ শুধু কী ফেবারিট হয়েই বসে থাকতে চান সাকিব? এমনটি নয়। জিততে চান পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজও। দুপুরে নিজের বাসায় সাকিব বলেন, ‘নিজেদের মাটিতে আমরাই এবার পাকিস্তানের চেয়ে ফেবারিট। এবারই আমাদের সামনে সেরা সুযোগ পাকিস্তানকে হারানোর। আমরা এবার তাদের বিপক্ষে সিরিজ জিততে চাই।’ আইপিএল শুরু হবে ৮ এপ্রিল। শেষ হবে ২৪ মে। শুরুতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ ও ১১ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুরে বিপক্ষে ম্যাচটি খেলেই দেশে ফিরে আসবে সাকিব। এ জন্য বৃহস্পতিবার কলকাতায় কেকেআর দলের সঙ্গে যোগও দিয়েছেন। ১২ এপ্রিল দেশে ফিরেই বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে যোগ দেবেন। পরের দিন তিন ওয়ানডে, এক টি২০ ও দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান দল। ১৭, ১৯ ও ২২ এপ্রিল যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৪ এপ্রিল এক টি২০ ম্যাচটি হবে। ২৮ এপ্রিল প্রথম টেস্ট ও ৬ মে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। শুধু প্রথম টেস্টটি হবে খুলনায়। বাকি সব ম্যাচ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এ সিরিজ চলাকালেই চলবে আইপিএল। তাই সিরিজের আগে শুরুতে ২টি আইপিএলের ম্যাচ খেলবে সাকিব। সিরিজ শেষ হলে ১৪ মে যে আবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে কলকাতার ১৩ নম্বর গ্রুপ পর্বের ম্যাচ আছে, তা থেকে আবার খেলতে পারবে সাকিব। তখনও শেষদিকের দুটি ম্যাচ খেলতে পারবেন। যদি দল সেরা চার দলের একটি হতে পারে তাহলে আরও ম্যাচ খেলতে পারবে। সাকিব যেমন বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশে খেলে অভিজ্ঞতা দলের ক্রিকেটারদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন, অভিজ্ঞতা কাজেও লাগিয়েছেন। এবার আইপিএল থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে চান। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেই এর ফল দিতে চান। নিজেই বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের আগে বিগব্যাশে খেলে যেভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এবং সতীর্থদের মাঝে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি, এবারও তেমনটি করতে পারব বলে আশা রাখি।’ ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে যে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ, এরপর আর কোন ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি। এবার পাকিস্তান দল এতটাই খারাপ অবস্থায় আছে যে বাংলাদেশের সামনে ভালই সুযোগ আছে। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত নৈপুণ্য করে দল টগবগে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আছে। পাকিস্তান গ্রুপ পর্বে বাজে খেলার সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে। দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। এবার তাই পাকিস্তানকে হারানোর সুযোগ। সেই সুযোগ কাজে লাগাতেও চান সাকিব। সাকিব অবশ্য শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নিয়েই নয়, এখনই ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন। আগামী বিশ্বকাপ ১০ দলের হবে। সেই বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বরে থাকতে হবে। তা না হলে বাছাইপর্ব খেলতে হবে। সাকিব সরাসরি খেলতে চান। যেমনটি বলেছেন, ‘আমরা যদি বড় দলগুলোকে হারাতে পারি, র‌্যাঙ্কিংয়ে ওপরে ওঠার সুযোগ থাকবে। তাতে শীর্ষ আটে থাকা যাবে। এবার বিশ্বকাপে আমাদের নতুন খেলোয়াড়েরা ভাল করেছে। দল হিসেবে আমরা ভাল খেলেছি। সৌম্য (সরকার), (সাব্বির) রুম্মন, তাসকিন (আহমেদ) ভাল পরফর্ম করেছে। সিনিয়ররাও ভাল খেলেছে। দল ভাল অবস্থায় আছে। তরুণেরা যারাই আসবে ভাল খেলবে।’ আর ১৪ দিন পর ১৭ এপ্রিল থেকেই সেই ভালর শুরু হয়ে যাবে। বিশ্বকাপের দুর্দান্ত নৈপুণ্য বজায় থাকলে পাকিস্তান এবার দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে ধরাশায়ী হতেও পারে। আর তাইত চান সাকিব।
×