ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চরমপন্থীদের শেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইরাক-সিরিয়া

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৩ এপ্রিল ২০১৫

চরমপন্থীদের শেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইরাক-সিরিয়া

বিদেশী চরমপন্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক শেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে ইরাক ও সিরিয়া এবং আরও কয়েকটি দেন। ২৫ হাজারের বেশি বিদেশী যোদ্ধা আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতো জঙ্গী গ্রুপগুলোতে যোগ দেয়ার জন্য ওই দেশগুলোতে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, চরমপন্থীদের এ তৎপরতা বিশ্ব নিরাপত্তার প্রতি এক তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদী হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। খবর গার্ডিয়ান ও বিবিসি অনলাইনের। নিরাপত্তা পরিষদে পেশ করা রিপোর্টটিতে বলা হয়, বিদেশী যোদ্ধাদের গমনাগমন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি। ইরাক, সিরিয়া লিবিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে বিদেশী যোদ্ধারা পৌঁছেছে কমপক্ষে ১শ’টি দেশ থেকে। রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ২০১৫ সালের মার্চের মধ্যে বিদেশী সন্ত্রাসী যোদ্ধাদের সংখ্যা বেড়েছে ৭১ শতাংশ। অথচ এক দশক আগে এদের সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক হাজার। এ সংখ্যা আজ ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, দুটি দেশ ইরাক ও সিরিয়ায়ই রয়েছে ২০ হাজারের বেশি বিদেশী সন্ত্রাসী যোদ্ধা। তারা বিশেষ করে আইএসের পক্ষে লড়াই করতে সে দেশগুলোতে গেছে। যে হাজার হাজার বিদেশী যোদ্ধা সিরিয়া ও ইরাক গেছে তারা ভবিষ্যতের কথা ভাবা হলে চরমপন্থীরা আসলেই একটি আন্তর্জাতিক শেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বাস করছে এবং কাজ করে যাচ্ছে, ঠিক যেমনটি হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে আফগানিস্তানে।রিপোর্টে বলা হয়, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের সামরিক পরাজয়ের পর বিদেশী সন্ত্রাসী যোদ্ধাদের সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার অনাকাক্সিক্ষত পরিণাম ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার যখন দেশে ফেরত যোদ্ধাদের হুমকি প্রতিহত করতে চাইছে, তখন এরকম ঘটতে পারে যে, কেউ কেউ মানসিকভাবে জরাগ্রস্ত হয়ে পড়বে তারা লড়াই করতে গিয়ে যা দেখেছে তা ভেবে এবং তাদের তখন প্রয়োজন হবে মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসার। অন্যদের অপরাধী চক্রগুলো রিক্রুট করতে পারে। রিপোর্টে সিরিয়া ও ইরাক প্রসঙ্গে বলা হয়, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী মার্চে যে হিসাব দিয়েছে তাতে দেখা যায়, প্রায় ছয় হাজার ৫শ’ বিদেশী যোদ্ধা দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে। ইয়েমেন, লিবিয়া ও পাকিস্তানে লড়াই করছে শত শত যোদ্ধা। সোমালিয়াতে রয়েছে প্রায় ১শ’ যোদ্ধা এবং আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলে ও ফিলিপাইনে সক্রিয় রয়েছে অন্যান্য যোদ্ধা। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সন্ত্রাসী যোদ্ধা গেছে তিউনিসিয়া, মরক্কো, ফ্রান্স ও রাশিয়া থেকে। মালদ্বীপ, ফিনল্যান্ড, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো থেকেও যোদ্ধা যাচ্ছে এবং এ সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া থেকেও যোদ্ধা সংগ্রহ করছে জঙ্গী গ্রুপগুলো।
×