ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হল্যান্ডের কাছে ফের হার স্পেনের

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ২ এপ্রিল ২০১৫

হল্যান্ডের কাছে ফের হার স্পেনের

আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল, রোনাল্ডোহীন পর্তুগালকে হারিয়ে কেপ ভার্দের ইতিহাস, ইব্রার নৈপুণ্যে সুইডেনের জয়, ইতালি-ইংল্যান্ড ম্যাচে কেউ হারেনি, ইতালি ১-১ ইংল্যান্ড, হল্যান্ড ২-০ স্পেন, পর্তুগাল ০-২ কেপ ভার্দে, সুইডেন ৩-১ ইরান স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আরও একবার হল্যান্ডের কাছে নতি স্বীকার করতে হয়েছে স্পেনকে। মঙ্গলবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ডাচদের কাছে ২-০ গোলে হার মানে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন। এর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও হল্যান্ডের কাছে ৫-১ গোলে হেরে বিধ্বস্ত হয়েছিল ভিসেন্টে ডেল বস্কের দল। দারুণ এই জয়ে ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের প্রতিশোধ আরও একবার নিতে সক্ষম হয়েছে টোটাল ফুটবলের জনকরা। হল্যান্ড-স্পেন ম্যাচ ছাড়াও পরশু রাতে প্রীতি ম্যাচের হাট বসেছিল বিশ্বজুড়ে। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি ও একবারের শিরোপাধারী ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। সবচেয়ে বড় চমক ছিল কেপ ভার্দের কাছে পর্তুগালের ২-০ গোলে হার। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো না খেললেও পর্তুগীজদের হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে কেপ ভার্দে। তারকা ফরোয়ার্ড জ¬াতান ইব্রাহিমোভিচের নৈপুণ্যে সুইডেন ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইরানকে। অন্য ম্যাচে কানাডা ৩-০ গোলে পুয়ের্টো রিকোকে ও তুরস্ক ২-১ গোলে পরাজিত করে লুক্সেমবার্গকে। এস্তোনিয়া-আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন-লাটভিয়া ও অস্ট্রিয়া-বস-হার্সের মধ্যকার ম্যাচগুলো ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকে। রাশিয়া ও কাজাখস্তানের মধ্যকার ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়। বিশ্বকাপে লজ্জার হারের প্রতিশোধ নেয়ার লক্ষ্যেই ডাচদের বিরুদ্ধে ময়দানী যুদ্ধে নেমেছিল স্প্যানিশরা। কিন্তু প্রতিশোধ দূরে থাক, আরও একবার হারের তিক্ত স্বাদ নিতে হয়েছে ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচের শুরু থেকেই অতিথি স্পেনের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে স্বাগতিক হল্যান্ড। মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। আমস্টারডাম এ্যারনায় ম্যাচের ১৩ মিনিটে ওয়েসলি স্নেইডারের ক্রস থেকে স্টেফান ডি ভ্রিজের হেডের গোলে এগিয়ে যায় ডাচ্রা। তিন মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ান ডাভি ক্লাসেন। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় হল্যান্ড। বিরতির পর ৫৪ মিনিটে ডাচ্দের হয়ে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন মার্টিন্স ইন্ডি। এরপরও অবশ্য জয় নিয়ে তাদের চিন্তা করতে হয়নি। কেননা স্পেন তেমন কোন ভাল সুযোগই পায়নি। ২০০৮ সালে স্পেনের দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম একই দলের কাছে দুইবার হারের স্বাদ পেয়েছেন ম্যাচে কিছুটা পরীক্ষামূলক দল নামানো ডেল বস্ক। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে গোল করতে না পারাটা আর শুরুর ধাক্কাটাকে হারের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে স্পেন কোচ বলেন, মনে হচ্ছিল, আমাদের পক্ষে গোল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রথম ২০ মিনিটই আমাদের পেছনে ফেলে দিয়েছে। পরে আমরা খেলার নিয়ন্ত্রণ নিলেও কাজের কাজ গোল পায়নি। তুরিনে স্বাগতিক ইতালি ও অতিথি ইংল্যান্ডের ম্যাচটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। ম্যাচের ২৯তম ইতালিকে এগিয়ে নেন উঠতি তারকা গ্রাজিয়ানো পেল্লি। জর্জো চিয়েল্লিনির অসাধারণ ক্রস থেকে হেডে গোলটি করেন সাউদাম্পটনের স্ট্রাইকার। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে ওয়েন রুনির দল। বিরতির পর গোল পরিশোধে মরিয়া আক্রমণ শাণাতে থাকে রয় হডসনের দল। ৭৯ ইংলিশদের সমতায় ফেরান বদলি হিসেবে নামা টাউনসেন্ড। টটেনহ্যামের উইঙ্গারের ২০ গজ দূর থেকে নেয়া বুলেট গতির শটটির কাছেই যেতে পারেননি তারকা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন। কেপ ভার্দের বিরুদ্ধে দলের অধিনায়ক রোনাল্ডোসহ বেশ কয়েকজন তারকাকে নিয়েই খেলতে নামে পর্তুগাল। এরপরও তাদের হার বিস্মিত করেছে সবাইকে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের ৩৮ নম্বরে থাকা আফ্রিকার দলটির বিরুদ্ধে নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েছিলেন পর্তুগালের কোচ ফের্নান্ডো সান্টোস। যার মাশুলও দিতে হয়েছে তাকে। ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে ওডাইর ফোর্টেসের গোলে এগিয়ে যায় কেপ ভার্দে। ছয় মিনিট পর সবাইকে চমকে দিয়ে অতিথিদের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন এস্টালাইন ডায়াস বারোস। পর্তুগালকে আরও লজ্জা উপহার দেন আন্দ্রে পিন্টো দ্বিতীয়ার্ধে লালকার্ড দেখে। ২০১৪ সালের নবেম্বরে কেপ ভার্দের দ্বীপ ফোগোতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য এই ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ম্যাচটি জিতে তাই আনন্দের আতিশষ্যে ভাসেন অতিথি ফুটবলাররা। ইরানের বিরুদ্ধে সুইডেনের প্রীতি ম্যাচ জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন দেশটির তারকা খেলোয়াড় ইব্রাহিমোভিচ। ফরাসী ক্লাব পিএসজির ফরোয়ার্ড নিজে একটি গোল করেন, একটি গোলে অবদান রাখেন। ম্যাচের ১১ মিনিটে সুইডেনকে এগিয়ে নেন ইব্রা। দশ মিনিট পর মার্কুস বারি ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এই গোলটির উৎসদাতা ইব্রাহিমোভিচ। তিন মিনিট পর ইরান এক গোল পরিশোধ করে। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে ওলা টেভোনেনের গোলে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সুইডিশরা।
×