ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণে ভাবাই হয় না ওদের কথা

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২ এপ্রিল ২০১৫

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণে ভাবাই হয় না ওদের কথা

আনোয়ার রোজেন ॥ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন মহুয়া পাল। নির্দিষ্ট সময়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য সঞ্চালক মহুয়া পালের নাম ঘোষণা করলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। মহুয়া পাল জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের নেত্রী। তিনি নিজেও শারীরিক প্রতিবন্ধী। হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেন কারও সাহায্য ছাড়াই। কিন্তু র‌্যাম্পের (ঢালু ও চওড়া পথ) ব্যবস্থা না থাকায় তিনি মিলনায়তনেই ঢুকতে পারছিলেন না। পরে কয়েকজনের সাহায্যে মিলনায়তনে ঢুকতে পারলেও সিঁড়ি বেশি উঁচু হওয়ায় মূল মঞ্চে ওঠার ক্ষেত্রে ফের তাঁকে নাজেহাল হতে হয়। মাইক হাতে নিয়ে অসহায় কণ্ঠে তিনি বললেন, নিজেকে প্রতিবন্ধী ভাবতে মন সায় দেয় না। অথচ মিলনায়তনের এই উঁচু সিঁড়িগুলোই তা মনে করিয়ে দেয়। যারা এসব স্থাপনার নকশা করেন তারা যদি আমার মতো মানুষদের কথা মনে একবার করতেন! এই অনাবশ্যক অসহায়ত্ব শুধু মহুয়া পালের একার নয়, ক্রাচ ব্যবহারকারী ব্যক্তি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, স্বল্প দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরও। আর শুধু ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনই নয়, ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৯০ শতাংশ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে সুবিধাÑঅসুবিধাগুলো বিবেচনায় নেয়া হয়নি। দেশের জনসংখ্যার বিশাল একটি অংশ প্রতিবন্ধিতার শিকার। ২০১১ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ১৫.৭ শতাংশ। অথচ এই মানুষগুলোর জন্য ২১ বছর আগে প্রণীত বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডে (বিএনবিসি) নির্মীয়মাণ ভবনে সার্বজনীন প্রবেশগম্যতার বিষয়টি স্থান পায়নি। সংবিধানের ১৯ (১) ও ২৮ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের নাগরিকদের সকল ক্ষেত্রে সুযোগের সমতা বিধানের কথা বলা হয়েছে। আর ২০০৭ সালে জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সনদ (সিআরপিডি) অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে এর বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ হিসেবে বিভিন্ন সরকারী ভবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রবেশগম্যতাকে উপক্ষো করা সংবিধান ও আন্তর্জাতিক সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। মূলত স্থাপনা ও ভবন অথবা ফুটপাথের পাশে ঢালু পথ বা র‌্যাম্প, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য ব্রেইল ব্লক, লিফটে ফ্লোর এ্যানাউন্সমেন্ট, ব্রেইল বাটন, স্বল্প দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য কিছু রঙের ব্যবহার এবং শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জন্য কিছু ছবির ব্যবহার বা ভবনের ম্যাপ, এসব অপ্রতিবন্ধী মানুষের চলার পথকেও সহজ করে। কিন্তু এ সমস্ত ব্যবস্থা নেয়া না হলে প্রতিবন্ধী মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যক্তির প্রতিবন্ধিতা নয়, সামাজিক এবং অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতাই প্রতিবন্ধী ব্যক্তির চলার পথের অন্তরায়। বিভিন্ন সরকারী অফিস ও ভবনে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক র‌্যাম্প ও তাদের ব্যবহার উপযোগী টয়লেট (প্রতি তলায় ন্যূনতম একটি অথবা মোট টয়লেট সংখ্যার ৫ শতাংশ) নির্মাণের ব্যবস্থা করতে ৬ বছর আগে (২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট ৯টি সরকারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। পরিপত্রে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক ভবন নির্মাণের প্ল্যান পাশের সময় বিভিন্ন সরকারী ভবন এবং পাবলিক প্লেস হিসেবে ব্যবহার্য ভবন, যেমন- ব্যক্তিমালিকানাধীন বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক হোটেল, কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবান্ধব র‌্যাম্প ও টয়লেট নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে এসব নির্দেশনার সিকিভাগও বাস্তবায়িত হয়নি। কেবল সচিবালয় ও জাতীয় জাদুঘরে প্রতিবন্ধীবান্ধব র‌্যাম্পের ব্যবস্থা রয়েছে। আর ওই নির্দেশনা জারির আগেই সুপ্রীম কোর্ট ২০০৬ সালে নিজ উদ্যোগে প্রতিবন্ধীবান্ধব র‌্যাম্পের ব্যবস্থা করে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসচেতনতা, আইনের অকার্যকারতিা এবং ভবন নির্মাণের সময় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহজে প্রবেশগম্যতার অধিকারের বিষয়টি উপক্ষো করাই নির্দেশ বাস্তবায়িত না হওয়ার অন্যতম কারণ। গত বছরের জুন মাসে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংগঠন (ডিপিও) থেকে ৫ ধরনের প্রতিবন্ধী মানুষের অংশগ্রহণে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২০টি সরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় প্রবেশগম্যতা বিষয়ে নিরীক্ষা চালানো হয়। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ২০টি স্থাপনার মধ্যে ঢাকার সব এবং চট্টগ্রামের ৯টি স্থাপনাতে মূল প্রবেশ পথেই বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন প্রতিবন্ধী মানুষ। কিছু স্থাপনায় মূল প্রবেশপথে র‌্যাম্প থাকলেও তাকে র‌্যাম্প ভাবার উপায় নেই। ভেতরেও রয়েছে নানান বাধা। শুধুমাত্র চট্টগ্রামে সিডিএ ভবনে একটি চমৎকার র‌্যাম্প থাকলেও এর প্রবেশমুখ সবসময় মোটরসাইকেলে ঘেরা থাকে। ইমারত বিধিতে ১ ইঞ্চি অনুপাত ১২ ইঞ্চি লম্বা র‌্যাম্প নির্মাণের কথা বলা হলেও কোন কোন জায়গায় ১ ইঞ্চি অনুপাতে ৩ ইঞ্চি র‌্যাম্প রয়েছে যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, নিউমার্কেট ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সেøাপের মতো ঢালু পথ থাকলেও ইমারত বিধি অনুযায়ী তাকে র‌্যাম্প বলা যায় না। এগুলো অত্যন্ত খাড়া, পিচ্ছিল এবং এতে কোন রেলিং নেই। এ ঢালু পথগুলো মূলত মালামাল ও রোগী বহনের ট্রলি বা স্ট্রেচার নিয়ে ওঠানামার জন্য তৈরি হয়েছে। ঢাকায় ওয়াসা ভবন, সমাজসেবা কার্যালয়, দক্ষিণ নগরভবন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী ও বহির্বিভাগ, নিউমার্কেট, গাবতলী বাস টার্মিনাল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, তেজগাঁও থানা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন এবং চট্টগ্রামে ওয়াসা ভবন, শিক্ষা বোর্ড, সমাজসেবা কার্যালয়, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন, নিউ মার্কেট, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), সিটি করপোরেশন, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী ও বহির্বিভাগ, ডাবলমুরিং থানা ইত্যাদি স্থাপনায় সার্বজনীন প্রবেশগম্যতার নিরীক্ষা চালানো হয়। দৃষ্টি ও স্বল্পদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ব্যক্তি, ক্রাচ ব্যবহারকারী ব্যক্তি ও শ্রবণ-বাক প্রতিবন্ধী মানুষের অংশগ্রহণে এসব স্থাপনায় এ সরেজমিন নিরীক্ষায় দেখা যায়, মূলত সচেতনতার অভাবেই মূল প্রবেশ পথ থেকে সম্পূর্ণ স্থাপনায় অনুসন্ধান কেন্দ্র সিঁড়ি, করিডর, দরজা, কক্ষ ও সভাকক্ষ, টয়লেট, ওয়াটার পয়েন্ট, পার্কিং এলাকা ইত্যাদি জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালার সার্বজনীন প্রবেশগম্যতার নকশা অনুযায়ী নির্মিত বা পরবর্তীতেও সংস্কার করা হয়নি। যে কোন ভবনে জরুরী অবস্থায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকেন। অথচ ২০টি স্থাপনার একটিতেও জরুরী নির্গমন পথ নেই। এমনকি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবান্ধব টয়লেটও নেই। নির্বিঘœ অবস্থানের জন্য প্রবেশগম্য টয়লেট অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু বেশিরভাগ টয়লেটের ক্ষেত্রেই দরজাগুলো চাপা বা দরজার সামনে ২/৩ ইঞ্চি উঁচু চৌকাঠ রয়েছে এবং হুইলচেয়ার ঘোরানোর মতো পর্যাপ্ত জায়গা ও হাই কমোডের ব্যবস্থা নেই। এর ওপর ভবনগুলোর পয়ঃনিষ্কাশন ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। নিরীক্ষায় অংশ নেয়া সগীর হোসাইন খান (হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ব্যক্তি) জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের সুযোগ-সুবিধা দেখার যে সংস্থা, সেই সমাজসেবা কার্যালয়েই প্রবেশগম্যতা নেই। ঢাকা ও চট্টগ্রামের সমাজসেবা কার্যালয়ে হুইলচেয়ার নিয়ে দোতলায় যাওয়া তো দূরের কথা, এক তলাতেই প্রবেশ সম্ভব নয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুলতান মাহমুদ জনকণ্ঠকে বলেন, সরকারী ভবন নির্মাণের দায়িত্ব গণপূর্ত অধিদফতরের। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন মিটিংয়ে আমরা বিষয়টি তাদের অবহিত করছি। সার্বজনীন প্রবেশগম্যতায় শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী মানুষের চাহিদাগুলো একেবারেই উপেক্ষিত। কোথাও ইশারা ভাষার সহযোগিতা নেই। তথ্য অনুসন্ধান নোটিসবোর্ড বা সিটিজেন চার্টার লোকেশন ম্যাপ সব জায়গায় নেই। প্রবেশগম্যতা সম্পর্কিত বিষয়ক অভিজ্ঞ ব্যক্তি, বুয়েট ও চুয়েটের প্রকৌশলী, ইশারা ভাষার দোভাষী ও স্বেচ্ছাসেবীদের একটি দল নিয়ে ওই নিরীক্ষা চালানো হয়। এ প্রসঙ্গে নিরীক্ষা পরিচালনাকারী সংগঠনগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্যা চেঞ্জ এ্যান্ড এ্যাডভোকেসি নেক্সাসের (বি-স্ক্যান) সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব (হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী) জনকণ্ঠকে বলেন, পুরো একটা ভবন যদি ন্যূনতম এক কোটি টাকা ব্যয়েও নির্মিত হয়, সেখানে প্রতিবন্ধী মানুষের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতভাবেই খুব ব্যয়বহুল নয়। সদিচ্ছা এবং সচেতনতার অভাবই এটি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা ২০০৮-এর অকার্যকারিতাও এজন্য দায়ী। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় প্রতিবন্ধী মানুষের সর্বজনীন প্রবেশগম্যতা সম্পর্কিত বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে এবং এই বিধিমালা লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদ-ের শাস্তি প্রদানের কথাও উল্লেখ। তবে এখনও পর্যন্ত এটির কার্যকারিতা নেই। আইনটি প্রয়োগের এখতিয়ার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)। এ প্রসঙ্গে রাজউকের সদস্য আবদুল হাই (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) জনকণ্ঠকে বলেন, প্ল্যান পাসের সময় প্রতিবন্ধীবান্ধব র‌্যাম্প ও টয়লেটের নকশা থাকলেও ভবন নির্মাণের সময় অনেক ক্ষেত্রে তা মানা হয় না। রাজউকের নিজস্ব জনবল সঙ্কট থাকার কারণে অনেকেই এ অবৈধ সুযোগটি নিয়ে থাকেন। যদিও প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ তে বিভিন্ন স্থাপনায় প্রতিবন্ধী মানুষের প্রবেশগম্যতার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এর আলোকে জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা আজও আলোর মুখ দেখেনি। এ প্রসঙ্গে হাউজিং এ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রকৌশলী মুহাম্মদ আবু সাদেক জনকণ্ঠকে বলেন, চীন, জাপানসহ উন্নত দেশগুলোতে সার্বজনীন প্রবেশগম্যতা বিষয়ক আইন কঠোরভাবে মানা হয়। তাছাড়া ওইসব দেশের স্থপতি ও প্রকৌশলীরাও এ বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। কিন্তু আমাদের দেশের স্থপতি ও প্রকৌশলীদের মধ্যে এ বিষয়ে এখনও পেশাদারিত্ব ও সচেতনার ঘাটতি রয়েছে। তবে জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা যথাযথভাবে কার্যকর হলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতার সমস্যাটি সমাধান হবে বলেও মনে করেন এই স্থাপত্য বিশেষজ্ঞ।
×