নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৩০ মার্চ ॥ কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সাগরবক্ষে মাছ শিকাররত জেলেদের দুর্যোগকালীন আশ্রয়ের লক্ষ্যে আন্ধার মানিক মোহনা থেকে সাগরের কাউয়ার চর মোহনা পর্যন্ত শিববাড়িয়া চ্যানেল খনন কাজ সাড়ে তিন বছরেও শুরু হয়নি। ফলে দুর্যোগকালীন চরম ঝুঁকিতেই সাগরে মাছ শিকার করছে হাজার হাজার জেলে। ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ভরাট হওয়া চ্যানেলটিতে পুনরায় নাব্য সৃষ্টি, মহীপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দরের জেলেদের লোডিং-আনলোডিংয়ের সুবিধাসহ চ্যানেলটির দুই পাড়ে বেড়িবাঁধের ভেতরের সংযোগ খালের সøুইসখালে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখতে সরকারীভাবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়। চ্যানেলটি খনন করা হলে দুর্যোগকালীন জেলেদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয় নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া কুয়াকাটায় আসা পর্যটক দর্শনার্থী নৌযানে এই চ্যানেল দিয়ে পর্যটনপল্লী গঙ্গামতি যাওয়ার সুযোগ পাবে। সরকারীভাবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়, ২০১০-১১ অর্থবছরে। এ সংক্রান্ত একটি পিপি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। চ্যানেলটি পুনর্খননের প্রকল্প ব্যয় প্রায় ৬৭ কোটি টাকা ধরা হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া নির্বাহী প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না পাওয়ায় আজ পর্যন্ত এ কাজটি শুরু হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের সূত্র মতে, চ্যানেলটির তলদেশ তিন মিটার থেকে কোথাও কোথাও আট মিটার পর্যন্ত গভীর খনন করতে হবে। এছাড়া প্রস্থ ৩০ মিটার থেকে সর্বোচ্চ ৬০ মিটার পর্যন্ত খনন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। শিববাড়িয়া চ্যানেলটি খনন করলে জেলেদের সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে বলে জানালেন, উপকূলীয় মাঝি সমিতির সভাপতি মোঃ নুরু মিয়া। এছাড়া বরফ, মাছসহ বিভিন্ন মালামাল ওঠানামা করাতে জেলেদের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে জানান, মৎস্য আড়ত মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দাস। সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন চারটি ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষক। তাদের জলাবদ্ধতা দূর হবে। সøুইসগুলো দিয়ে অভ্যন্তরের খালে পানি ওঠানামা করাতে সমস্যা হবে না। তাই জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী, কৃষকসহ সব শ্রেণীর মানুষের দাবি দ্রুত এই চ্যানেলটির খনন কাজ শুরু করা হোক।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: