ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৩০ মার্চ ২০১৫

বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা

(পূর্ব প্রকাশের পর) গ. বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রমনার রেসকোর্স ময়দানে ৭ই মার্চ যে ভাষণ দিয়েছিলেন তার প্রভাব বা তাৎপর্য নিম্নরূপ: পাকিস্তানী শাসকদের প্রতিক্রিয়া : ইয়াহিয়া খান ১৫ই মার্চ ঢাকায় আসেন ও বঙ্গবন্ধুকে আলোচনায় বসার জন্য অনুরোধ জানান। এর আড়ালে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করে জাহাজ ভরে পাকিস্তান হতে সৈন্য-অস্ত্র-রসদ আনা হয়। এরই ফলশ্রুতিতে দীর্ঘদিন সময় নষ্ট করে আলোচনা অসমাপ্ত রেখে ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার ও গণহত্যার নির্দেশ দিয়ে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’Ñ এর প্রভাবে বাঙালি জনমনে আন্দোলন দুর্বার হয়ে ওঠে। ২৩ শে মার্চ পাকিস্তান প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা সর্বত্র ওড়ানো হয়। উদ্যোমী তরুণরা পাড়া -মহল্লায় স্থানীয় অস্ত্রের মহড়া ও সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে। গ্রেফতারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়্যারলেসযোগে পৌঁছে দিয়ে তা প্রচারের নির্দেশ দেন। ফলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। তাই বলা যায়, ৭ই মার্চের ভাষণ একদিকে পাকিস্তানীদের ভিত কাঁপিয়ে দেয় অন্যদিকে বাঙালি জনতার মনে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা জাগিয়ে ছিল। ঘ. ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জনতার মনে স্বাধীনতার বীজ বুনে দেন। ছাত্র, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক তথা সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দেয় এবং অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করতে থাকে। গ্রামের ও শহরের পাড়া, মহল্লায় উৎসাহী তরুণরা বাঁশ ও স্থানীয় হাতিয়ারের সাহায্যে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ ও মহড়া দিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধু বেসরকারি সরকার চালু রাখেন। ৩৫ টি চিঠির আওতায় চলা প্রশাসনে পাকিস্তানি সরকার ব্যবস্থা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। বাঙালির মনে আসে স্বাধীনতার অনুভূতি আর হাতে আসে বাস্তবতার সার্বভৌমত্ব। পূর্বে বাংলার সামগ্রিক ব্যবস্থাতেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশের ছাপ পরিলক্ষিত হয়। তাই ৭ই মার্চের ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে আপামর বাঙালি প্রত্যক্ষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তি ছিনিয়ে আনতে প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করে। মুক্তিযুদ্ধে সকলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়া আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে হলেও স্বাধীনতা লাভ করার মহান উদ্দেশ্যের ফলেই অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময় ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের দাম, দুঃসহ যন্ত্রণা আর অপরিমেয় ক্ষয়ক্ষতি সকলের অংশ গ্রহণের দিকেই আঙ্গুল নির্দেশ করে। যার বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বিজয়। একটি স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন : ১। ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম সংগঠিত ও সংঘবদ্ধ আন্দোলন ছিল কোনটি? ক. নীল বিদ্রোহ খ. ফকির বিদ্রোহ গ. সিপাহি বিদ্রোহ ঘ. বারাসাত বিদ্রোহ ২। ফকির মজনু শাহের মৃত্যুর পর ফকির সন্ন্যাসী আন্দোলন স্থিমিত হয়ে পড়ে কেন? ক. অর্থের অভাবে খ. জমিদারদের অত্যাচারে গ. অস্ত্রের অভাবে ঘ. নেতৃত্বের অভাব ও অন্তর্দ্বন্দ্বে ৩। নীল বিদ্রোহের শিক্ষণীয় বিষয় কী? ক. সমাজের নিম্নশ্রেণীর মানুষেরাও আন্দোলনকে সফল করতে পারে খ. শিক্ষিতরাই কেবল আন্দোলন করতে পারে গ. আন্দোলনই একমাত্র শান্তির পথ ঘ. অশিক্ষিত ও দুর্বল কৃষক দ্বারা আন্দোলন সম্ভব নয় ৪। বাংলার সৈয়দ আহমদ কাকে বলা হয়? ক. নওয়াব আব্দুল লতিফকে খ. হাজী মুহম্মদ মুহসীনবে গ. সৈয়দ আমীর আলীকে ঘ. দুদু মিয়াকে ৫। ভারতীয় মুসলমানদের রাজনৈতিক আন্দোলনের পথপ্রদর্শকÑ ক. নবাব সলিমুল্লাহ খ. রাজা রামমোহন রায় গ. সৈয়দ আমীর আলী ঘ. নওয়াব আব্দুল লতিফ ৬। মর্লি মিন্টো সংস্কার আইনের বৈশিষ্ট্য ছিলÑ ক. প্রতিনিধিত্বশীল শাসন ব্যবস্থা খ. পরিষদের ক্ষমতা বৃদ্ধি গ. মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচন ঘ. সবগুলোই ৭। ক্রীপস মিশন কোন উদ্দেশ্যে এদেশে আগমন করে? ক. সাংস্কৃতিক খ. রাজনৈতিক গ. অর্থনৈতিক ঘ. সামাজিক ৮। ফজলুল হক সরকারি চাকরির শতকরা ৫০ ভাগ মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণ করার ফলে মুসলমাদের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়ে? র) মুসলমানদের আর্থিক উন্নতি হয় রর) মুসলিম লীগ আরো সক্রিয় হয়ে উঠে ররর) মুসলিম লীগ ও কংগ্রেস একই মঞ্চে উপনীত হয় নিচের কোনটি সঠিক ক) র খ) রর গ) র ও রর ঘ) ররর ৯। যুক্তফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়Ñ ক. ১৯৫৪ সালে খ. ১৯৬৪ সালে গ. ১৮৫৪ সালে ঘ. ১৯৭৪ সালে ১০। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার পেছনে পাকিস্তানীদের কি উদ্দেশ্য ছিল? র) বাঙালির দাবির প্রতি অনীহা রর) একে রাষ্ট্রবিরোধী ও বিচ্ছন্নতাবাদী আন্দোলনরূপে চিহ্নিত করা ররর) বিদ্রোহীদের গ্রেফতার করা নিচের কোনটি সঠিক ক) র খ) রর গ) ররর ঘ) রও ররর ১১। কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কে? ক. স্যার সৈয়দ আহম্মদ খ. উমেশ চন্দ্র বন্দোপাধ্যায় গ. মাওলানা মুহম্মদ আলী ঘ. অস্ট্রোভিয়াম হিউস ১২। মোহামেডান লিটারেরী সোসাইটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হলোÑ র) মুসলমানদের পশ্চিমা ভাবধারায় অনুপ্রাণিত করা রর) মুসলমানদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেয়া ররর) সভ্যতায় মুসলমানদের অবদান সম্পর্কে সবাইকে বিশেষ সচেতন করা নিচের কোনটি সঠিক ক) র খ) র ও রর গ) ররর ঘ) র, রর ও ররর ১৩। ১৮৫০ সালে কী ঘটে? ক. পূববঙ্গ ও আসাম নামে নতুন প্রদেশ গঠিত হয় খ. সর্বভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন গ. ধর্মান্তকারীদের পৈত্রিক সম্পত্তি লাভ ঘ. ভারত শাসনের জন্য নতুন আইন পাস হয় ১৪। ব্যবসায়ী, জমিদার এবং আইনজীবীরা বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন দেনÑ র) মুসলমানদের শোষণ করা অবসান হয়ে যাবে রর) ব্যবসা-বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে ররর) আলীগড় আন্দোলনে মুসলমানদের স্বার্থ সম্পর্কে সচেতন করে তোলা নিচের কোনটি সঠিক ক) র খ) র ও রর গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর ১৫। ক্রীপস মিশনের প্রভাবের ব্যর্থতার কারণÑ র) কিছু প্রস্তাব কংগ্রেস বিরোধীতা করে রর) এই প্রস্তাবে ভারতের স্বাধীনতার বিষয়টি উল্লেখ ছিল না ররর) প্রদেশগুলোকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকার দেওয়া হয় নিচের কোনটি সঠিক ক) র খ) র ও রর গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬ ও ১৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : রাশেদ ১৯৭১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের একজন সদস্য ছিলেন। যুদ্ধ শুরু হলে আরো কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মীসহ গ্রামের বাড়িতে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন, তার এলাকায় পাক হানাদারদের যাতায়াত ও রসদ সরববাহের ব্যবস্থা বন্ধ করে দেন। ১৬। রাশেদ কোন বাহিনীর সদস্য ছিলেন? ক. মুজিব বাহিনী খ. কাদেরীয়া বাহিনী গ. গেরিলা বাহিনী ঘ. আঞ্চলিক বাহিনী ১৭। উক্ত বাহিনীর সকল সদস্য রণকৌশলে দক্ষতা অর্জন করেনÑ র) দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য রর) অসীম সাহসী ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ যোদ্ধা ররর) আধুনিক অস্ত্রবহনকারী নিচের কোনটি সঠিক ক) র খ) র ও রর গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর ১৮। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে কতজন সামরিক সেনা অংশগ্রহণ করেÑ ক. ১৫০০০ খ. ২০০০০ গ. ২৫০০০ ঘ. ৭৫০০০ ১৯। ১৮ এপ্রিল ১৯৭১ সালে উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ছাত্র-শিক্ষক গণহত্যার একটি বিবরণী বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেনÑ র) মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে রর) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে ররর) পাক সেনাদের সাফাই গাইতে নিচের কোনটি সঠিক ক) র খ) রর গ) র ও রর ঘ) ররর ২০। বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেনÑ ক. তাজউদ্দিন আহমদ খ. সৈয়দ নজরুল ইসলাম গ. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘ. এসএম কামারুজ্জামান উত্তরমালা : ১. খ ২.ঘ ৩.ক ৪.ক ৫.গ ৬.ঘ ৭.খ ৮.গ ৯.ক ১০.খ ১১.খ ১২.খ ১৩.গ ১৪.খ ১৫.ঘ ১৬.গ ১৭.খ ১৮.গ ১৯.খ ২০.খ বহুনির্বাচনী উত্তরমালা : প্রথম অধ্যায়- ১.খ ২.ঘ ৩.ঘ ৪.ক ৫.গ ৬.ক ৭.গ ৮.খ ৯.ঘ ১০.খ ১১.গ ১২.গ ১৩.ক ১৪.খ ১৫.খ ১৬.খ ১৭.ক ১৮.খ ১৯.খ ২০.গ ২১.ঘ ২২.গ ২৩.খ ২৪.খ ২৫.ঘ ২৬.ঘ ২৭.গ ২৮.খ ২৯.ঘ ৩০.ক ৩১.ঘ ৩২.গ ৩৩.খ ৩৪.ক ৩৫.ক
×