ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাট-বলের নৈপুণ্যে সেরা দশ

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৩০ মার্চ ২০১৫

ব্যাট-বলের নৈপুণ্যে সেরা দশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে এবার মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। এ দুটি দেশই ছিল এবারের একাদশ বিশ্বকাপের আয়োজক। নিজেদের মাঠে পরিচিত পরিবেশে ব্যাটে-বলে সেরা নৈপুণ্য দেখাবে অসি-কিউই ক্রিকেটাররা সেটাই স্বাভাবিক। বিশ্বকাপ শেষে ব্যাট-বলের নৈপুণ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সেটাই দেখা গেল। ব্যাটিংয়ে সেরা পারফর্মার রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ ওপেনার মার্টিন গাপটিল। তিনি সর্বাধিক ৫৪৭ রান করেছেন এবার ৯ ম্যাচে ৬৮.৩৭ গড়ে। তার চেয়েও ধারাবাহিকতায় এগিয়ে ছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নেয়া শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা। দুই ম্যাচ কম খেলেও সাঙ্গাকারা ১০৮.২০ গড়ে ৫৪১ রান করেন। তবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উইকেট বরাবরের মতোই এবারও ছিল পেসবান্ধব। পেসারদের স্বর্গে গতির ঝড় তুলেছেন স্বাগতিক দু’দেশের দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও ট্রেন্ট বোল্ট। দু’জনেই শিকার করেছেন ২২ উইকেট করে। তবে স্টার্ক ৮ ম্যাচ খেলে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের পাশাপাশি দারুণ গড়ে বোলিং শেষ করেছেন এবারের আসরে। আর বোল্ট ৯ ম্যাচে ২২ উইকেট নিলেও ইকোনমিক রেট ও বোলিং গড়ে বেশ পিছিয়ে ছিলেন স্টার্কের তুলনায়। স্টার্ক মাত্র ১০.১৮ গড় ও ৩.৫০ ইকোনমিক রেট বজায় রেখে শেষ করেছেন। কতটা ভয়ঙ্কর ছিলেন তিনি এবার বিশ্বকাপে তা এ বিশ্লেষণ থেকেই বোঝা যায়। তবে বোল্ট খুব বেশি পিছিয়ে ছিলেন না। কিউই এ পেসার দুর্দান্ত বোলিং করেই দলকে প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার সুযোগটা সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ১৬.৮৬ গড় ও ৪.৩৬ ইকোনমিকে ২২ উইকেট শিকার করেছেন। তবে এক ম্যাচ কম খেলা এবং গড় ও ইকোনমিক রেট ভাল হওয়ার কারণে সিরিজের সেরা হয়েছেন স্টার্ক। সুযোগ ছিল ভারতের দুই পেসার উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ শামিরও। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন এ দু’জন। যাদব ৮ ম্যাচে ১৮ আর শামি ৭ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মরনে মরকেল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেরেমি টেইলরের দখলেও আছে ১৭ উইকেট। আর ব্যাটিংয়ে সাঙ্গাকারা অভূতপূর্ব ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। টানা চার সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শুধু বিশ্বকাপ নয় ওয়ানডের ইতিহাসই পাল্টে দিয়েছেন। দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৫ শতাধিক রানর করার তালিকায় তাকে অবশ্য ছাড়িয়ে গেছেন ফাইনালে ১৫ রান করা গাপটিল। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স ৮ ম্যাচে ৪৮২, জিম্বাবুইয়ের ব্রেন্ডন টেইলর ৬ ম্যাচে ৪৩৩, ভারতের শিখর ধাওয়ান ৮ ম্যাচে ৪১২ এবং অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ ৮ ম্যাচে ৪০২ রান করেন। সেরা দশে বাংলাদেশের কৃতী ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নামটাও আছে। তালিকার ৯ নম্বরে থাকা মাহমুদুল্লাহ ৭ ম্যাচে দুটি শতক ও একটি অর্ধশতকসহ করেছেন ৭৩.০০ গড়ে ৩৬৫ রান।
×