ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পানির স্তর নেমে যাচ্ছে

তিস্তা পানিশূন্য ॥ হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য, নদী এখন মাঠ

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২৬ মার্চ ২০১৫

তিস্তা পানিশূন্য ॥ হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য, নদী এখন মাঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ২৫ মার্চ ॥ এক সময়ের প্রমত্ত তিস্তা নদী এখন মৃত নদীতে পরিণত হয়েছে। তিস্তা সড়কসেতুর নিচে কোন পানির প্রবাহ নেই। ধু ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে। হারিয়ে গেছে জীববৈচিত্র্য। তিস্তাপারের গ্রামগুলো পরিণত হয়েছে রূক্ষ মরুভূমির মতো। তিস্তাপারের গোকুণ্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা স্বপন জানায়, তিস্তা নদীতে এখন পানি বছরের ৯ মাস থাকে না। তিস্তা নদীর প্রায় দুইশত কিলোমিটার তিস্তা ব্যারাজের ভাটিতে রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলা বর্তমানে পানিশূন্য হয়ে রয়েছে। জেগেছে চর। তিস্তা নদীর কোন পানিপ্রবাহ নেই। তিস্তাপারের খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও খুনিয়াগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খায়রুজ্জামান ম-ল বাদল জানায়, তিস্তা নদী পানিশূন্য হয়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর জীববৈচিত্র্য হারিয়ে গেছে। ধু ধু বালুচরের কারণে নদীতে শুশুক, মিঠাপানির ডলফিন, ইলিশমাছ, বাগাড়মাছ, ঘরিয়াল, কুমিরের এখন অস্তিত নেই। হারিয়ে গেছে প্রায় ৫০ প্রকারের মিঠাপানির দেশী মাছ। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় তিস্তাপারের সবুজ বৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে গেছে। তবে তিস্তা বালুচরে কৃষক এখন বছরের ৯ মাস বিভিন্ন ধরনের শস্য চাষ করছে। তারপরও তিস্তাপারের কৃষকের মনে কষ্ট। তিস্তায় তারা বালুর স্থানে পানি দেখতে চায়। তিস্তা নদীর অবিচ্ছন্ন পানির স্রোতধারা দেখতে চায়। মহিষখোঁচা তিস্তা নদীর ঘাটের নৌকার মাঝি রহিম বকস(৪৫) জানায়, কয়েক বছর আগেও তিস্তা নদীতে সবসময় পানি ছিল। তিস্তা নদী ছিল প্রমত্তা। তিস্তা ব্যারাজ হতে তিস্তা সড়কসেতু পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি নদীর ঘাট ছিল। এখন তিস্তা নদীতে পানি না থাকায় ঘাটগুলো সরকারের কাগজেকলমে হয়ত আছে। কিন্তু নদী ঘাটগুলো কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। নদীতে পানি নেই, তাই বালুর ওপর দিয়ে যে যেদিকে পাচ্ছে হেঁটে পার হচ্ছে। লালমনিরহাট জেলা কৃষি কমর্ কর্তা মোঃ সাফায়াত হোসেন জানায়, এভাবে আর কয়েক বছর চললে, উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিনত হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে তিস্তার পানি শূন্যতার প্রভাবে পানি স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। তিস্তা পাড়ের কৃষক সেচ সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়েছে। বরিশাল ও ফরিদপুরে দোকান বাড়ি ভস্মীভূত স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মঙ্গলবার গভীর রাতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের অগ্নিকা-ে সাতটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর থেকে জানান, আলফাডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে গেছে ১০ পরিবারের ১৭টি ঘর। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে অগ্নিকা-ের এ ঘটনা ঘটে বুরাইচ ইউনিয়নের বিলকুটিয়া গ্রামে। জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লার রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের ঘর বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। বোয়ালমারী থেকে দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট এসে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় সোয়া ৯টার দিকে অগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
×