ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হুতিদের রুখতে নিরাপত্তা পরিষদের সহায়তা চাইলেন হাদি

সৌদি সাঁজোয়া ও গোলন্দাজ বাহিনী ইয়েমেন সীমান্তে

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২৬ মার্চ ২০১৫

সৌদি সাঁজোয়া ও গোলন্দাজ বাহিনী ইয়েমেন সীমান্তে

সৌদি আরব ইয়েমেনের সঙ্গে তার সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় গোলন্দাজ বাহিনীসহ ভারি সামরিক সাজসরঞ্জাম নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার মার্কিন কর্মকর্তারা এ কথা বলেন। এতে মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ তেল শক্তিধর দেশটির অবনতিশীল ইয়েমেনী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানসমর্থিত শিয়া চরমপন্থীদের গত সেপ্টেম্বরে রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ এবং সপ্তাহান্তে মধ্যাঞ্চলীয় শহর তায়েজ দখলের পর তাদের দক্ষিণমুখী অভিযানের সময় সীমান্তে সৌদি সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা হলো। হুতিরা এখন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আব্দরাব্বু মনসুর হাদির নতুন দক্ষিণাঞ্চলীয় ঘাঁটির কাছাকাছি চলে গেছে। সীমান্তে মোতায়েন সৌদি আরবের সাঁজোয়া ও গোলন্দাজ বাহিনী আক্রমণ অথবা প্রতিরক্ষা উভয় উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হতে পারে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা এ শক্তিবৃদ্ধি দৃশ্যত প্রতিরক্ষামূলক বলে উল্লেখ করেন। খবর টেলিগ্রাফ ও বিবিসির। এদিকে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট হাদি হুতি শিয়াবিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছুক দেশগুলোর’ সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণকে সমর্থন দানের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এক চিঠিতে তিনি অগ্রসরমান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘বৈধ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই’ অবিলম্বে সাহায্য প্রদানকে অনুমোদন করে একটি প্রস্তাব পাসের অনুরোধ জানান। গত মাসে রাজধানী সানা থেকে পলায়নের পর হাদি এখন দক্ষিণাঞ্চীয় বন্দরনগরী এডেনে অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীরা দুটি প্রধান শহর দখল করে নিয়েছে। গত জানুয়ারিতে তারা সানার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পর ঘোষণা করে যে, একটি ৫ সদস্যের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিল’ দেশ শাসন করবে। নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো চিঠিতে হাদি বলেন, ‘হুতিরা সমস্যার শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির আমাদের সবরকম প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে ইয়েমেনের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে দেশটি থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। প্রায় তিন হাজার ৫০০ ভারতীয় ইয়েমেনে বসবাস করছে। এরমধ্যে দুই হাজার ৫০০ জন রাজধানী সানায় রয়েছেন। তিকরিতে বিমান হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গী গ্রুপ ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কাছ থেকে তিকরিতের পুনঃনিয়ন্ত্রণ নিতে সেখানে বিমান হামলা চালানোর কথা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইরাকী ও শিয়া বাহিনীকে সাহায্য করতে কয়েক দিনের মধ্যেই তারা এই অভিযান শুরু করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, তিকরিত হচ্ছে ইরাকের প্রয়াত নেতা সাদ্দাম হোসেনের জন্মশহর। খবর এএফপির। মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী ইরাকের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে আইএস গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালালেও তিকরিত অভিযানে তারা অংশ নেয়নি। এক্ষেত্রে ইরান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, তিকরিতের কাছে সম্ভাব্য এ বিমান হামলা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। সেখানে কয়েকদিনের মধ্যে অভিযান শুরু হতে পারে।
×