ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিটি নির্বাচন চায় ইডব্লিউজি

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৪ মার্চ ২০১৫

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিটি নির্বাচন চায় ইডব্লিউজি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সব দলের অংশগ্রহণ এবং সব প্রার্থীর সমান সুযোগ দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয় গত দশম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও এর পরেই উপজেলা নির্বাচনের পর নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর মানুষের হারিয়ে গেছে। আসন্ন সিটি নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে, সেই আস্থা ফিরিয়ে এনে মানুষের বিশ্বাসকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, গণতন্ত্রে নির্বাচনের অপরিহার্য ভূমিকার কারণে ইউব্লিউজি সব ধরনের নির্বাচনকে স্বাগত জানায়। তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। প্রার্থী ও ভোটাররা যেন নির্ভয়ে থাকতে পারে, এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে ব্যাপকভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন যেহেতু নির্দলীয়, কাজেই রাজনৈতিক মনোনয়ন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক তালেয়া রেহমান বলেন, বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা উদ্বেগের। তবে যেহেতু দীর্ঘদিন পর একটি নির্বাচন হচ্ছে, তাকে গ্রহণযোগ্য করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান কাজ হচ্ছে জনগণের হয়ে কাজ করতে জনপ্রতিনিধিত্ব করা। এক্ষেত্রে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ বা সহিংসতা কোন রাজনৈতিক দলেরই কাম্য হতে পারে না। ইউব্লিউজির সদস্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, যদিও স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হয় না, তার পরও দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা ছাড়া বাকি সব কিছুই হয়। তবে আসন্ন এ নির্বাচনে যেন সবাই অংশ নেয় সেটা নিশ্চিত করবে সরকার। সংগঠনের পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল আলীম বলেন, নির্বাচনের সময়ে ভীতিকর অবস্থা এড়াতে প্রত্যেকেই নির্বাচনী নীতিমালা মেনে চলবেন। সবাই মোটরসাইকেল শোডাউন বা অন্যান্য ভীতিকর অবস্থা থেকে বিরত থাকবেন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে নারী ভোটারদের ভোটগ্রহণে নারী কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচন কেন্দ্রে বাধ্যতামূলক পোলিং এজেন্ট নিয়োগসহ মোট ১১ দফা সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বলা হয় ঢাকা সিটি নির্বাচনে তাদের ৪৬ জন দীর্ঘমেয়াদী পর্যবেক্ষক ও নির্বাচনের দিন এক হাজার পর্যবেক্ষক কাজ করবেন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২১ জন দীর্ঘমেয়াদী পর্যবেক্ষক ও ভোটের দিন ৭০০ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা আছে।
×