ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজিল্যান্ড দ. আফ্রিকা সেমির লড়াই আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২৪ মার্চ ২০১৫

নিউজিল্যান্ড দ. আফ্রিকা সেমির লড়াই আজ

শাকিল আহমেদ মিরাজ ॥ দেখতে দেখতে শেষের পথে ১১তম বিশ্বকাপ ক্রিকেট। শিরোপা স্বপ্নের মাঝে দুটি মাত্র ম্যাচ। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। শেষ লড়াইয়ে মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। যেখানে ফাইনালের টিকেট পেতে প্রথম সেমিতে আজ সহ-আয়োজক নিউজিল্যান্ডকে মোকাবেলা করবে ‘চোকার’ দক্ষিণ আফ্রিকা! বৃহস্পতিবার অপর সেমিফাইনালে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ‘ডিফেন্ডিং’ চ্যাম্পিয়ন ভারত। অস্ট্রেলিয়া চারবার ও ভারত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার বিজয়ী দল! সুতরাং আজকের প্রথম সেমিফাইনালকে ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে রয়েছে অন্যরকম আগ্রহ। অনেকের চাওয়া পূরণের পথে ‘নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ আসতে পারে এখান থেকেই! অকল্যান্ডে খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটায়। সেই ইডেন পার্কে যেখানে গ্রুপপর্বে অস্ট্রেলিয়ার ১৫১ রানের জবাব দিতে গিয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে বসেছিল দুরন্ত কিউইরা। ব্রেন্ডন ম্যাককুলামরা জিতেছিল ১ উইকেটে! আজ তেমন কিছু হবে না বলেই আশাবাদী কিউইরা। সেনাপতি ম্যাককুলাম যেমন বলেন, ‘সেমিতে সম্ভবত সেদিনের মতো সুইং ও অসম বাউন্স দেখব না। এ পর্যন্ত উইকেট ভাল মনে হচ্ছে, অনেকটা নেটের অনুশীলন পিচের মতো। সুতরাং এসব নিয়ে না ভেবে সতীর্থদের উদ্দেশে বলব, মাঠে নামো, নিজেকে মেলে ধর ও খেলা উপভোগ করো। সবাই জানে ইতিহাস গড়ার জন্যই আমাদের এত পরিশ্রম, এতকিছু। সেটিকে বাস্তাবয়ন করার সময় এসেছে।’ চাপমুক্ত থেকে নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলতে চান তিনি। কোয়ার্টারে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়ে সেমির টিকেট পাওয়ার দিনই নিউজিল্যান্ড কোচ মাইক হেসন বলেছিলেন, সেরা চার দলই শিরোপার দৌড়ে উঠে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ড অবশ্যই সেরা, তবে বিশ্বকাপ ভাগ্যের ইতিহাসটা তাদের সুপ্রসন্ন নয়! এ পর্যন্ত নয়বার করে কোয়ার্টার বা সেমিতে উঠেও ফাইনালটাই যে খেলা হয়নি। এবার ঘরের মাটিতে অবশ্য অবিশ্বাস্য ক্রিকেটই খেলছে ‘ব্ল্যাক ক্যাপসরা’। গ্রুপপর্বে ছয় ম্যাচের সবকটিতেই জয় তাদের। অন্যদিকে কোয়ার্টারে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয়া দক্ষিণ আফ্রিকা আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম চিত্তাকর্ষক দল। নিজেদের দিনে যে কোন প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম এবি ডি ভিলিয়ার্স বাহিনী। অবশ্য তাদের জন্য বড় প্রতিপক্ষ হতে পারে চাপ! এর আগে ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭, ২০১১-এ নকআউটে ‘অদ্ভুত’ ও ‘নাটকীয়’ কারণে থামতে হয় প্রোটিয়াদের! ৯৯-এ সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অবিশ্বাস্য সেই ‘টাই’ ম্যাচ বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই সেরা নাটকের জন্ম দিয়েছিল। একাধিকবার নকআউটে কাটা পড়ায় ক্রিকেট বিশ্বে দলটির নামই হয়ে গেছে ‘চোকার’। এবার আর তেমনটা হবে না বলে আত্মবিশ্বাসী ডি ভিলিয়ার্স, মরনে মরকেলরা। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক যেমন বলেন, ‘অতীত নিয়ে ভাবতে চাই না। এটা ২০১৫ সাল এবং টুর্নামেন্টে আমরা নিজেদের খেলায় সন্তুষ্ট। আগেও বলেছি, নিজেদের সামর্থ্যরে পুরোটা দিতে পারলে সেমিতে কেন, টুর্নামেন্টে কোন দলই আমাদের সামনে বাধা নয়!’ লঙ্কানদের উড়িয়ে দিয়ে নকআউটে হারের বদনাম তারা ইতোমধ্যে ঘুচিয়েছে। তবে ‘চির চোকার’ অপবাদ ঘোচাতে যেতে হবে আরও ওপরে, অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স তা ভাল করেই জানেন।
×