ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উদ্দেশ্য অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়

মংলা-খুলনা রেলপথে রাতারাতি স্থাপনা

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২১ মার্চ ২০১৫

মংলা-খুলনা রেলপথে  রাতারাতি স্থাপনা

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা-মংলা রেললাইনের নির্মাণ কাজ শুরুর আগেই জমির কতিপয় মালিক রেললাইনের নকশাকৃত জমির ওপরই রাতারাতি গড়ে তুলছেন স্থাপনা। অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে রেললাইন স্থাপনের জন্য চিহ্নিত জমিতে একতলা এমনকি দোতলা ভবন নির্মাণ শুরু“ করেছে। প্রশাসনের মার্কিং করা জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণের ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। রাতারাতি ঘরবাড়ি নির্মাণের পেছনে একশ্রেণীর অসৎ কর্মকর্তার ইন্ধন রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) খুলনা-মংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। প্রকল্পের অধীনে মোট ৮৫ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের খুলনা অংশের জন্য ৪শ’ একর, বাগেরহাট অংশে ২৭৮ একর এবং পোর্ট এলাকার ৭৩ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে লাইন নির্মাণের জন্য জায়গা চিহ্নিত করে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। খুলনার-ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে খুলনা-মংলা রেললাইনটি শুরু হবে। খুলনায় রেললাইন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত বিভিন্ন স্থানে বহু পাকা স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। এলাকায় গিয়ে অনেক ঘরবাড়ি তৈরি করতে দেখা গেছে। ফুলতলা এলাকায় রেলওয়ের পাহারারত আনসার সদস্য মোবারক শেখ বলেন, ‘মাস দুয়েক আগে থেকে এখানে দায়িত্ব পালন করছি। স্যারেরা লাল ফ্ল্যাগ পুঁতে রেললাইনের জায়গা চিহ্নিত করেছেন। সেই চিহ্নিত স্থানে জমির মালিকরা নতুন ঘরবাড়ি তৈরি করছেন। ফাঁকা বিলের মধ্যেও পাকা বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে।’ খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মোঃ সুলতান আলম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী জমির মালিকদের জমির মূল্য ও ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। খুলনা-মংলা রেললাইনের নকশা অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ ও যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার চিত্র ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে কোন স্থাপনা তৈরি হয়ে থাকলে বাড়তি কোন সুবিধা কাউকে দেয়া হবে না।
×