ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২১ মার্চ ২০১৫

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহু কাক্সিক্ষত ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। পরিচ্ছন্ন নগর ও নাগরিক সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্যই এ নির্বাচন। নাগরিকদের ভোটের অধিকারকে সুরক্ষা করার বিষয়টিও এ নির্বাচনের লক্ষ্য। এই নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যেও ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় প্রচারের কাজে আটঘাট বেঁধে নেমেছেন। বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে তিন সিটিতে একই দিনে নির্বাচনের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা করেন। ২০০২ সালের ১৫ মে সর্বশেষ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হতে পারেনি। এক পর্যায়ে সিটি কর্পোরেশনে বসবাসরত মানুষের নাগরিক সুবিধাকে বিবেচনায় এনে কর্পোরেশনের পরিধি বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০১১ সালের ২৯ নবেম্বর জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। নির্বাচিত মেয়র না থাকায় প্রশাসক দিয়ে এখন দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। ২০১১ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করে। এই ঘোষণায় ২৪ মে নির্বাচন হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু ভোটার তালিকা ও সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হওয়ায় আদালত নির্বাচনের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপর ২০১৩ সালের ১৩ মে আদালত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে কমিশন একই বছরের নবেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু ঢাকার সুলতানগঞ্জ ইউনিয়ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত না থাকায় আবারও উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে দু’জন মেয়র ও সাধারণ ওয়ার্ডের কমিশনার ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে কমিশনার পদে লড়বেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মেয়রপ্রার্থীসহ সাধারণ ওয়ার্ড, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নানাবিধ সমস্যা সমাধানে মেট্রোপলিটন গবর্নমেন্ট ধারণার বাস্তবায়ন সর্বাগ্রে প্রাধান্য পাবে এই নির্বাচনে এ রকম মতামত ব্যক্ত করেছেন নগর বিশেষজ্ঞরা। নাগরিক সুবিধাকে সাধারণ মানুষের আওতায় আনা ও জনসেবার পরিধি বাড়ানো গেলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সুফল পাবে নাগরিকবৃন্দ।
×