ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ময়মনসিংহে মন্দিরের জমি দখল করে দোকান নির্মাণ

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২১ মার্চ ২০১৫

ময়মনসিংহে মন্দিরের জমি দখল করে দোকান নির্মাণ

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহ শহরতলীর শম্ভুগঞ্জ বাজারের শত বছরের পুরনো দুর্গা মন্দিরের জায়গা জবরদখল করে তাতে রাতারাতি দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ শম্ভুগঞ্জ বাজারের রঘুরামপুর নলুয়াপাড়ার স্থানীয় যুবলীগ নেতা কামাল মিয়া, মিজানুর রহমান ও হাবিবুর রহমানের পরিবার এই জায়গা জবরদখল করে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ নিয়ে স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কোতোয়ালি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন তালুকদার জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে বসার কথা রয়েছে। কাগজপত্র দেখে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী সমাধান করা যাবে বলে আশা করছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জ বাজারের সিএস ১১৭২ দাগের ৫৫ শতাংশ জমি দেবোত্তর সম্পত্তির তালিকাভুক্ত। এই জমিতে কালিমন্দির ছাড়াও একটি পুকুর রয়েছে। কামাল, মিজান ও হাবিব মন্দিরের সামনের রাস্তা সংলগ্ন ১৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থের খালি জায়গার মালিকানা দাবি করে দোকানঘর নির্মাণ শুরু করলে মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা বাধা দিয়ে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বরকে অবহিত করা হলে তারাও সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হন। শেষতক বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ দোকানঘর নির্মাণে নিষেধ করে চলে যায়। তারপরও বন্ধ হয়নি নির্মাণ কাজ। পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিসহ মন্দির কমিটির কর্মকর্তাদের আপত্তির পরও তড়িঘড়ি করে জবরদখল করা জায়গাতে দোকানঘর নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি, জবরদখল করা জায়গা দেবোত্তর সম্পত্তি এবং জবরদখলকারীরা মালিকানার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। মন্দির কমিটির সভাপতি তপন কুমার সাহা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, যুবলীগ নেতা পরিচয়ধারী কামাল, মিজান ও হাবিবের পরিবারের কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকার পরও কেবল গায়ের জোরে প্রকাশ্য এভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরের জায়গা জবরদখল করে নেয়ায় তিনি হতবাক। এই ধরনের ঘটনা সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করবে বলে মন্তব্য করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট বিকাশ রায়।
×