ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিটি নির্বাচন ॥ আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ

আজকের মধ্যে ব্যানার বিলবোর্ড নামিয়ে ফেলতে হবে

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২০ মার্চ ২০১৫

আজকের মধ্যে ব্যানার বিলবোর্ড নামিয়ে ফেলতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যেসব প্রার্থী অংশ নেবেন তাদের কঠোরভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে এ নির্বাচনে সিটি কর্পোরেশন আচরণ বিধিমালা ২০১০ কার্যকর রয়েছে। এ বিধিমালার কোন বিধান লঙ্ঘন করা হলে তার বিরুদ্ধে ৬ মাসের কারাদ- বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দ-ে দ-িত হবেন। এছাড়া কোন মেয়র প্রার্থী তা প্রতিদ্বন্দ্বী কোন কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে এ বিধিমালার কোন বিধান লঙ্ঘন করলে নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হতে পারেন বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী কোন প্রার্থী নির্বাচনের ২১ দিন আগে প্রচার চালাতে পারবে না। কিন্তু যেসব সম্ভাব্য প্রার্থী এ আইন ভঙ্গ করে আইন নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছেন তাদের আজ শুক্রবার রাত ১২টা মধ্যে নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত ব্যানার, বিলবোর্ড নামিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে যেসব মেয়র প্রার্থীদের নামে এসব বিলবোর্ড টানানো হয়েছিল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে তা অপসারণ শুরু হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মেয়র পদে দক্ষিণের সাঈদ খোকন, হাজী সেলিম, উত্তরের আনিসুল হক, কামাল মজুমদারের নামে যেসব বিলবোর্ড ও ব্যানার টানানো হয়েছিল তা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশের পর নামিয়ে ফেলা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বেঁধে দেয়া ৪৮ ঘণ্টার সময়ের মধ্যে প্রার্থীদের টানানো বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন নামিয়ে ফেলতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছেও চিঠি পাঠিয়েছে ইসি। কমিশনের যুগ্মসচিব জেসমিন তুলি স্বাক্ষরিত চিঠি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাত ১২টার মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সাঁটানো ব্যানার-বিলবোর্ড অপসারণ না করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। ঢাকার উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ নির্বাচনে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১০ কর্যকর রয়েছে। সেই বিধিমালার কোন বিধান লঙ্ঘন করা হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় (২০১০) উল্লেখ করা হয়েছে কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ নির্বাচনের ২১ দিন আগে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবে না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগামী ৯ এপ্রিল এ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন ঘোষণা করা হয়েছে। এর পর যেসব প্রার্থী নির্বাচনে থাকবে ১০ এপ্রিল নির্বাচনের জন্য তাদের নামে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক বরাদ্দের পরই কেবল কোন প্রার্থী নির্বাচনের অংশ প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে। তিনি বলেন, আশা করি নির্বাচনে সব প্রার্থীই আচরণবিধি মেলে চলবেন। কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন। ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বিধিমালায় মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য প্রতীক নির্দিষ্ট করা হয়েছে। যারা মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের জন্য প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ রয়েছে কমলালেবু, ক্রিকেট ব্যাট, চরকা, টেবিল ঘড়ি, টেলিস্কোপ, ডিশ এন্টেনা, দিয়াশলাই, ফ্লাস্ক, বাস, ময়ূর, হাতি, ইলিশ মাছ। সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য কেটলী, গ্লাস, পান পাতা, পিঞ্জর, টিস্যু বক্স, বৈয়ম, মুলা, মোড়া, শিলপাটা, স্টিল আলমারি। এছাড়া সাধারণ আসনের কাউন্সিলরদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে কাঁটা চামচ, মিষ্টি কুমড়া, এয়ারকন্ডিশনার, করাত, ঘুড়ি, টিফিন ক্যারিয়ার, ট্রাক্টর, ঠেলাগাড়ি, ঝুড়ি, ব্যাটমিন্টন, রেডিও, লাটিম। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে প্রার্থীদের পোস্টার সাদাকালো রঙের হতে হবে। পোস্টার সাইজ হবে ২৩ ইঞ্চি বাই ১৮ ইঞ্চি। নির্বাচনী প্রতীকের আকার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা কোনক্রমেই তিন মিটারের বেশি হবে না। পোস্টারে পোট্রেট ছবি ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোন ছবি ব্যবহার নিষিদ্ধ। নির্বাচনী প্রচারে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজ ছবি ও প্রতীক ব্যতীত কোন রাজনৈতিক দলের নাম প্রতীক, রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম বা ছবি ব্যবহার করতে পারবে না। মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানে নাম ঠিকানা ও তারিখ বিহীন কোন পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ। কোন প্রার্থী সিটি কর্পোরেশনের এলাকাভুক্ত কোন স্থাপনার বেড়া, দেয়াল যানবাহনের কোন পোস্টার লাগাতে পারবে না। তবে পোস্টার ও হ্যান্ডবিল বিলি বা ঝুলাতে পারবে। মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় ৫ জনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে না। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতি থানায় একের অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প করতে পারবেন না। কাউন্সিলর প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটির অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন না। নির্বাচনী অফিসে কোন টেলিভিশন, ভিসিআর ডিভিডি ব্যবহার করতে পারবেন না। কোন প্রার্থীর পক্ষে দেয়াল লিখন করে নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। গেট তোরণ, বা ঘের নির্মাণ করতে পারবেন না। আলোকসজ্জা করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারকালে কোন প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন, উস্কানি বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য দেয়া যাবে না। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ। কোন প্রার্থী একই ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য একটির অধিক মাইক্রোফোন বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন না। গাড়ি পাচ্ছে ৩২ টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ স্টাফ রিপোর্টার ॥ গাড়ি পাচ্ছে দেশের ৩২ টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ক্লাস ও প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহারের জন্য একটি করে গাড়ি দেয়া হবে। আগামী ২৮ মার্চ পুরনো গাড়ি হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী জানিয়েছেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের এক প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টিকিউআই প্রকল্পের অধীনে প্রথমে ৩২ জেলা শিক্ষা অফিসে দেয়া হবে নতুন গাড়ি। একই দিনে জেলা অফিসে ব্যবহৃত ৩২ পুরনো জিপ হস্তান্তর করা হবে ৩২ টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। তিনি আরও জানান, সারাদেশে সরকারী ৪৯ পলিটেকনিক, ৬৪ টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ এবং ৩ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে গাড়িসংক্রান্ত মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, ড্রাইভিং ও আনুষঙ্গিক কোর্স আছে। প্রতিষ্ঠানের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ক্লাস পরিচালনায় আধুনিক অথচ পুরনো গাড়িগুলো অবদান রাখবে বলে আশা করে মন্ত্রণালয়। শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল ॥ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ফের বললেন, শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল হবে। বেতনও অনেক বেশি হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মিলনায়তনে ‘শিক্ষার বৈপ্লবিক উন্নয়নে বর্তমান’ শীর্ষক সেমিনার ও জাতীয় প্রতিনিধি সভায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
×