ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুণ্যস্নান ও মেলা সম্পন্ন

মুছে যাক অতীতের সব পাপ

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৯ মার্চ ২০১৫

মুছে যাক অতীতের সব পাপ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভগবানের কাছে নতুন প্রত্যাশায় অতীতের সব পাপ ধুয়ে মুছে যাবে- এমন প্রত্যাশায় বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারুণী স্নান সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে কোন কোন স্থানে মেলাও হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে শাহ্ আরেফিনের ওরস ও বারুণী মেলা। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো- সুনামগঞ্জ ॥ বাংলার হিন্দু-মুসলমানের এই অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে যাক বিশ্বময়। এমনই প্রত্যাশা নিয়ে দুই ধর্মের লাখো পুণ্যার্থী ও ভক্ত আশেকানদের এক মহামিলনমেলায় পরিণত হয়েছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নবগ্রাম। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুণ্যস্নান ও মুসলমানদের শাহ্ আরেফিনের (র) ওরস মোবারক উপলক্ষে যাদুকাটা নদীর তীরে দুই ধর্মের লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পুণ্যস্নান ও শাহ্ আরেফিনের (র) ওরস উপলক্ষে এপার ও ওপার দুই বাংলার প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাখো মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে যাদুকাটা নদীর তীরবর্তী ধু ধু বালুচর। হবিগঞ্জ ॥ জেলার ৮ উপজেলা ছাড়াও আশপাশের সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ অন্তত ১৫-২০টি অঞ্চল থেকে ছোট-বড় যানে করে ওই তীর্থস্থানে আগত লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। এই ধর্মীয় উৎসবটিতে যেন এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। সাধু-সন্যাসীসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের এ সব মানুষের ধারণা- ওই রকম ভাবনা থেকে বেলশ্বরী নদীতে স্নান করলে মন ও শরীর থেকে সকল পাপ ঝড়ে পড়বে। সেই সঙ্গে প্রসাদ হাতে নতুন কিছুর প্রত্যাশা করলে তাও ভগবান ফিরিয়ে দেবেন না। মাগুরা ॥ সদর উপজেলার কেচুয়াডুবি গ্রামে ফটকি নদীতে বুধবার হিন্দু সম্প্রদায়ের বারুণী স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফটকি নদীতে স্নানে নানান বয়সের নারী-পুরুষ অংশ নেন। এ উপলক্ষে বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বসে গ্রামীণ মেলা। মেলায় বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, মাটির সামগ্রী, বাঁশ-বেতের সামগ্রীসহ নানা পণ্য উঠে বিক্রির জন্য। কেচুয়াডুবি আশ্রম কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শেরপুর ॥ শ্রীবরদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গড়জড়িপার কালীদহ সাগরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারুণী স্নান সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিপুলসংখ্যক সনাতন ধর্মাবলম্বী বৈদিকমন্ত্র উচ্চারণসহ সাগরের পুণ্য সলিলে অবগাহনে মেতে উঠেন। ওই সময় পুণ্যার্থীগণ পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তির জন্য তর্পণ করেন। পঞ্চগড় ॥ বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ বোয়ালমারীতে প্রতিবছরের মতো এবারও মহাবারুণী মেলা শুরু হয়েছে। বুধবার ভোর থেকে পুণ্যস্নানোৎসব শুরুর মাধ্যমে একই সঙ্গে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী মেলাও। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফটিকছড়ি ॥ হাটহাজারী উপজেলার মন্দকিনী গ্রামে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের বারুণী ¯œান ও মেলা সম্পন্ন হয়েছে। ফাল্গুনের মধুকৃঞ্চা ত্রয়োদশী তিথিতে দুই দিনব্যাপী মঙ্গলবার থেকে এ ¯œান শুরু হয়ে বুধবার পড়ন্ত বেলায় শেষ হয়। হাজার বছর ধরে ঐতিহ্যের ধারক নিয়ে অন্যান্য বছরে ন্যায় এবারও জাঁকজমকপূর্ণ ও ধর্মীয় উৎসাহে এ স্নানে পূর্ণতা লাভের আশায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পুণ্যার্থীরা মন্দকিনীতে এসে স্নান করেন। বান্দরবান ॥ পার্বত্য জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান গঙ্গা পূজা ও বারুণী স্নান বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে। ধর্মীয় এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে বান্দরবান শহরের সাঙ্গু নদীর তীরে বিপুলসংখ্যক পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে। সকাল হতেই দূর-দূরান্ত থেকে সাঙ্গু নদীর তীরে শত শত তীর্থযাত্রীরা এসে ভিড় জমান।
×