ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৮ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১৯ মার্চ ২০১৫

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৮ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের তাড়াহুড়োর কারণে সূচকের পতন ঘটলেও আগের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। আগের দিনের ধারাবাহিকতায় বুধবার প্রধান পুুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সব ধরনের সূচক কমলেও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেখানে সোমবারের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। একইভাবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকই কমেছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় গুজব ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের বড় একটি অংশ বাজারে ভাল কোম্পানির শেয়ার অল্প দামে হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় তৎপর হয়ে উঠেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরু করলেও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ভাল ছিল। আগামীতে শেয়ারবাজারে সূচকের আরও পতন ঘটতে পারেÑ এমন আশঙ্কার কারণে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ শেয়ার বিক্রি বাড়িয়েছেন। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের অপর একটি অংশ অল্প দামে ভাল শেয়ার কেনার জন্য ক্রয়াদেশ বাড়িয়েছেন। ফলে সার্বিকভাবে বাজারে লেনদেন বেড়েছে। দিনশেষে ডিএসইতে ৩১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ২৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বেশি। সোমবারে ডিএসইতে ২৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। শুরুতে বড় ধরনের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও শেষ বিকেলে সূচকের পতন কিছুটা কম ছিল, যার কারণে দিনশেষে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৪৪২ পয়েন্টে। ডিএস ৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৪ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচকও কমেছে ১৬ পয়েন্ট। এই সূচক অবস্থান করছে এক হাজার ৬৭৫ পয়েন্টে। পুরোদিনে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩০৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৪টির, কমেছে ১৬১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির শেয়ার দর। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, গ্রামীণফোন, এসিআই লিমিটেড, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি, ইফাদ অটোস, স্কয়ার ফার্মা, শাশা ডেনিমস, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট, বেক্সিমকো এবং এমজেএল বাংলাদেশ। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো- ডিবিএইচ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, এবি ব্যাংক, ব্র্র্যাক ব্যাংক, আইসিবি দ্বিতীয় এনআরবি, এ্যাপেক্স স্পিনিং, যমুনা ব্যাংক, নাভানা সিএনজি, সাইফ পাওয়ার টেক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো- ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, হা-ওয়াহ টেক্সটাইল, সামাতা লেদার, আল আরাফাহ ব্যাংক, স্টাইল ক্রাফট, আজিজ পাইপস, ফাস্ট লিজ ফাইন্যান্স ও মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স। এদিকে ঢাকার মতো দেশের অপর বাজারেও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ভাল ছিল। তবে লাফার্জ সুরমার মতো কোম্পানিগুলোর দরপতন বাজারকে আতঙ্কিত করে তোলে। দিনশেষে সিএসইতে ২২ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক ১৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৬৬ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ১৪৭টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, জিপিএইচ ইস্পাত, বেক্সিমকো, শাশা ডেনিমস, গ্রামীণফোন, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড, সামিট পোর্ট এলায়েন্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড ও স্কয়ার ফার্মা।
×