ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চিত্রশ্রুতির মাধ্যমে ওড়িশি নৃত্য পরিবেশনা

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৯ মার্চ ২০১৫

চিত্রশ্রুতির মাধ্যমে ওড়িশি নৃত্য পরিবেশনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মঞ্চকে সাজানো হয়েছে দেব আরাধনার উপযোগী করে। শিল্পীরা মঙ্গল কামনায় নৃত্যশৈলীতে জগন্নাথ বন্দনায় লিপ্ত। চিত্রশ্রুতির মাধ্যমে আলেচিত হচ্ছে- ওড়িশি নৃত্যের বর্ণনা, এর উৎপত্তি, বিবর্তন ও ঐতিহাসিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা। এমনই এক নৃত্যকথন ও প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর ডেইলি স্টার বেঙ্গল আর্টস প্রিসিঙ্কটে বুধবার সন্ধ্যায়। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘শাস্ত্রীয় নৃত্য উপলব্ধি’ শীর্ষক চতুর্থ পর্বের এ আয়োজনে ছিল ওড়িশি নৃত্যকলা। একই সঙ্গে এ আয়োজনে ছিল বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ শিল্পীদের পরিবেশনা। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন শিল্পী শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পীরা জগন্নাথ বন্দনা দিয়ে শুরু করে একের পর এক ওড়িশি নৃত্যপরিবেশন। কথনের মাধ্যমে তুলে ধরেন এর ইতিহাসসহ বিভিন্ন ধারা। শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল- প্রণাম, চৌক, ত্রিভঙ্গী, চারী, ভ্রমরী, দৃষ্টিভেদ, শিরভেদ, গ্রীবা, মার্গম, মঙ্গলাচরণ, বটু, পল্লবী, অভিনয় ও মোক্ষ। নৃত্য পরিবেশনায় গুরু পঙ্কজচরণ দাশ ও গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের প্রদর্শিত শৈলী অনুসরণ করা হয়। ধারাবর্ণনায় বলা হয়, ওড়িশি পূর্ব ভারতের ওড়িশা রাজ্যের একটি শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলী। এটি ভারতের আটটি ধ্রুপদী নৃত্যশৈলীরও অন্যতম। ভারতীয় নৃত্যের আদিগ্রন্থ নাট্যশাস্ত্র এই নৃত্যশৈলীটিকে ওড্র-মাগধী নামে অভিহিত করেছে। ভুবনেশ্বরের নিকটে উদয়গিরি পর্বতে প্রাপ্ত খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে নির্মিত একটি খোদাইচিত্র থেকে এই নৃত্যের প্রাচীনত্ব প্রমাণিত হয়। অনুমিত হয়, ব্রিটিশ আমলে এই নৃত্যশৈলীটি কিছুটা অবদমিত হয়েছিল; কিন্তু স্বাধীনতার পর আবার এর পুনরুজ্জীবন ঘটে। ওড়িশি নৃত্যে ত্রিভঙ্গি এবং চৌকা এই দুয়ের ওপর অতিরিক্ত গুরুত্বারোপ ওড়িশিকে অন্যান্য শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলী থেকে পৃথক করেছে। ওড়িশি সংস্কৃতিতে তিনটি ঘরানার উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়Ñ মহারি, নর্তকী ও গোতিপুয়া। ওড়িশার মন্দিরগুলোতে দেবদাসীদের মহারি নামে অভিহিত করা হতো। শব্দটির উৎস মহা ও নারী শব্দদ্বয়; দুয়ে মিলে মহারি বা নির্বাচিত কথাটি এসেছে। এই দেবদাসীরা মূলত পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নর্তকী ছিলেন। প্রাচীন মহারিগণ মন্ত্র ও শোকের ভিত্তিতে নৃত্য (বিশুদ্ধ নৃত্য) ও অভিনয় (কাব্যপাঠ) উপস্থাপনা করতেন। পরবর্তীকালের মহারিগণ জয়দেব রচিত গীতগোবিন্দম কাব্যের গীতি কবিতাগুলোর সঙ্গতে নৃত্য উপস্থাপনা শুরু করেন। ভিতরি গৌণী মহারিরা মন্দিরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারেন। কিন্তু বাহারি গৌণী মহারিরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারলেও গর্ভগৃহে তাঁদের প্রবেশাধিকার নেই। নর্তকী নৃত্যশৈলীটির উদ্ভব প্রাক-ব্রিটিশ যুগে। ওড়িশার রাজপ্রাসাদে এই নৃত্য উপস্থাপিত হতো। এ সময় দেবদাসী প্রথার অবমূল্যায়ণ ভীষণভাবে সমালোচিত হয়। এ কারণে মন্দির থেকে দেবদাসী প্রথার উচ্ছেদ করা হয় এবং রাজসভাতেও এই প্রথা অপ্রচলিত হয়ে পড়ে। কেবলমাত্র গোতিপুয়া ঘরানার কিছু উদাহরণ টিকে যায়। এই নৃত্যর পুনরুজ্জীবনের সময় প্রতœতাত্ত্বিক ও নৃতাত্ত্বিক উপাদানগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়। ‘একজন মায়াবতী’ নিয়ে নির্মিত ধারাবাহিক নাটক প্রচার শুরু হচ্ছে ছোট পর্দায় ॥ নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ প্রয়াত হলেও রয়ে গেছে তাঁর সমৃদ্ধ সৃষ্টিসম্ভার। তাঁর প্রখ্যাত উপন্যাসের একটি ‘একজন মায়াবতী’। উপন্যাসটি অবলম্বনে ‘একজন মায়াবতী’ শিরোনামে ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করেছেন পাক্ষিক অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। ষাট পর্বের এই ধারাবাহিকটি আগামী ২২ মার্চ থেকে প্রচার শুরু হচ্ছে চ্যানেল আইতে। প্রতি সপ্তাহের রবি ও সোমবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিকটি। এ উপলক্ষে চ্যানেল আই ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন হয় বুধবার দুপুরে। সংবাদ সম্মেলনে নাট্যজন রামেন্দু মজুমদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেনÑ অভিনয়শিল্পী মামুনুর রশীদ, হাসান ইমাম, মেহের আফরোজ শাওন, সোহেল খান, নাট্যনির্মাতা মাজহারুল ইসলাম, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর প্রমুখ। আবুল মনসুর আহমদকে নিয়ে কালের ধ্বনির বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ॥ ইমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেছেন, সাহিত্যিক হিসেবে বাংলা সাহিত্যে আবুল মনসুর আহমদের আসন স্থায়ী। আমরা তাঁকে ভুলে গেলেও তার আসন অবিচল থাকবে। বুধবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে আবুল মনসুর আহমদকে নিয়ে প্রকাশনা সংস্থা কালের ধ্বনির বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘শিশু-কিশোর ও নারীর স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ॥ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায়। আমরা কুড়ি আয়োজিত ‘শিশু-কিশোর ও নারীর স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
×