ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রকে আসাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে ॥ কেরি

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ১৭ মার্চ ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্রকে আসাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে ॥ কেরি

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন যে, সিরীয় সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধান প্রয়োজন এবং আলোচনায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে জড়িত করা উচিত বলে তিনি এখনও বিশ্বাস করেন। তিনি রবিবার প্রচারিত এক সাক্ষাতকারে একথা বলেন। আসাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে বলে বছরের পর পর ধরে মন্তব্য করার পর কেরি স্বীকার করলেন যে, সিরীয় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হলে ওয়াশিংটনকে আসাদের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হতে হবে। খবর এএফপি ও নিউইয়র্ক টাইমস অনলাইনের। কেরি বলেন, আমরা নতুন শান্তি আলোচনা আবার শুরু করার লক্ষ্যে অন্যান্য স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে কাজ করছি। তিনি ‘সিবিএস শো ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন। কেরি বলেন, শেষ পর্যন্ত আসাদের আলোচনায় বসতে হবে। সিরিয়ার ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ পাঁচ বছরে পড়ার এ সময়ে কেরি ঐ মনোভাব ব্যক্ত করলেন। এ যুদ্ধে ২ লাখ ১৫ হাজার লোক নিহত এবং দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেক বাস্তুচ্যুত হয়। এতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সিরিয়াকে হতাশ করার দায়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অভিযুক্ত করে। কিন্তু কেরির মন্তব্যে মার্কিন কৌশলের পরিবর্তন নয়, ঐ রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের অবসান ঘটাতে তার চেষ্টা চালানোর দৃঢ় সঙ্কল্পই প্রতিফলিত হয়। পরে পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা বলেন যে, কেরি তাঁর টিভি সাক্ষাতকারে যা কিছুই বুঝিয়েছিলেন বলে মনে হোক না কেন, যুক্তরাষ্ট্র আসাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে রাজি নয়। আসাদকে ক্ষমতা ত্যাগে রাজি করানোর জন্য তার ওপর যথেষ্ট চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্র কি পরিকল্পনা নিয়েছে তা অস্পষ্ট রয়ে গেছে। আসাদের ক্ষমতা ত্যাগ যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য। তিনি আসাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে কেরি বলেন, যদি সিরীয় প্রেসিডেন্ট ২০১২ সালের জেনেভা শান্তি সম্মেলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য মেনে নেন, তাহলে কেরি আসাদের সঙ্গে কথা বলবেন। ঐ সম্মেলনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এক নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে মতৈক্য হয়। প্রশাসন কর্মকর্তারা পরে বলেন যে, কেরি মার্কিন ক্ষতির কোন পরিবর্তন ঘটার আভাস দিতে চাননি। তাঁরা বলেন, ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আসাদের সঙ্গে যোগ দেয়া বা সিরীয় প্রেসিডেন্টই ক্ষমতায় থাকবেন এমন কোন পরিণতি মেনে নেয়ার কোন ইচ্ছা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। ঐ সাক্ষাতকারে কেরি আসাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার ইচ্ছার আভাস দিয়েছেন বলে মনে হলেও পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র পরে বলেন যে, আমেরিকান কর্মকর্তারা কেবল আসাদ সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গেই কথা বলবেন। ২০১১ সালের ১৫ মার্চ সিরিয়ার রাস্তায় রাস্তায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখানোর মধ্য দিয়ে সরকারবিরোধী অভ্যুত্থানের সূচনা হয়। কিন্তু সরকার প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান চালালে এ গণঅভুত্থান সামরিক রূপ নিয়ে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়। রণক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে এক অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
×